সারা শরীর ফর্সা হলেও গোপনাঙ্গ বা ঊরুসন্ধিস্থল কালো হয় কেন?
গোপনাঙ্গ বা ঊরুসন্ধিস্থল কালো হওয়া নিয়ে আমাদের মাঝে অনেকের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। বিশেষ করে এসে ওদের মধ্যে এ ধরনের হতাশা বেশি দেখা যায়। আর এ কারণেই দক্ষিণ এশিয়ার এসব দেশগুলোতে ক্রিম মলম যৌনাঙ্গ ফর্সা হওয়া ক্রিম ইত্যাদির ব্যবসা বেশি চলে। আমাদের আজকের আলোচনায় আমরা জানাবো গোপনাঙ্গ বা ঊরুসন্ধিস্থল কালো কালো হয় কেন। তো চলুন আলোচনা শুরু করা যাক। Read in English
গোপনাঙ্গ বা ঊরুসন্ধিস্থল কালো হওয়া নিয়ে আমরা অনেকেই খুব চিন্তিত হয়ে যাই। এবং আমরা ইউটিউবে অথবা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে গোপনাঙ্গ বা ঊরুসন্ধিস্থল ফর্সা করার যে বিজ্ঞাপন দেখা যায় তা দেখে চেষ্টা করি। কিন্তু আপনারা কি জানেন গোপনাঙ্গ বা ঊরুসন্ধিস্থল কালো হওয়া মোটেই উদ্বেগজনক কিছু না। শরীরের অন্যান্য জায়গার তুলনায় গোপনাঙ্গ বা ঊরুসন্ধিস্থল রং তুলনামূলক গাঢ় হয়। অঞ্চলভেদে এর হার বেশি বা কম হতে পারে ।
ব্লাড প্রেসার মাপার সঠিক নিয়ম |
গোপনাঙ্গ বা ঊরুসন্ধিস্থল কালো হয় কেন?
মেলানিনের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে গায়ের রং ফর্সা হলেও গোপনাঙ্গ বা ঊরুসন্ধিস্থল কালো হয়ে থাকে। মেলানিন হচ্ছে মানুষের শরিরের ত্বকের একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান। এটি একটি জটিল পলিমার যা অ্যামাইনো এসিড টাইরোসিন থেকে পাওয়া যায়। এটি এক প্রকার রঞ্জক পদার্থ যা মেলানোসাইট কোষ থেকে উতপন্ন হয়ে মানুষের শরিরের চামড়ার এপিডার্মিস স্তরে অবস্থান করে।
এই মেলানিনের উপস্থিতির জন্য মানুষের শরিরের চামড়া, চুল ও চোখের রংয়ের ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। মানুষের গায়ের রং এই মেলানিনের উপস্থিতির কম বেশির উপর নির্ভর করেই ফর্সা, কালো নির্ধারিত হয়। নানা রকম বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটি প্রমানিত হয় যে এই মেলানিনের আধিক্যের কারনেই মানুষের গায়ের রং কালো হয়। বংশানুক্রমে জিনগত বৈশিষ্ট্যের ধারাবাহিকতায় মানুষের রংয়ের এই ভিন্নতা চলে আসে।
মেলানিনের উপস্থিতির কমের জন্য জাতিগত ভাবে ইউরোপ, আমেরিকার মানুষেরা ফর্সা বা সাদা আর এশিয়া,আফ্রিকার মানুষেরা কালো অথবা বাদামী রংয়ের হয়ে থাকে। মানুষের শরিরে বিভিন্ন কারণে মেলানিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই মুখের তুলনায় যৌনাঙ্গ কালো হওয়ায় চিন্তার কোনো কারণ নেই।
তবে পর্নে যা দেখানো হয় তার বেশিরভাগই এডিট করা এবং মেকাপ করা। তাই সেগুলো দেখে যৌনাঙ্গ ফর্সা করার জন্য উঠে পড়ে লাগার কোনো কারণ নেই। নিয়মিত পরিষ্কার করলে, শেভিংয়ের বদলে ট্রিমিং করলে ভালো থাকবে।
খুশকি দুর করার উপায় সহজ উপায় |
তবে বিজ্ঞাপনগুলি আসলে ব্যবসায়িক ধান্দা ছাড়া কিছুই না। মনে রাখবেন, এখনো যৌনাঙ্গ ফর্সা করার কোনো সুস্থ্য পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি। আর ইউটিউবে / বিভিন্ন সাইটে দেখানো ঘরোয়া পদ্ধতি কোনো কাজে দেয় না। যদিও সম্প্রতি থাইল্যান্ডে যৌনাঙ্গ ফর্সা করার ট্রিটমেন্ট চালু হয়েছে, তবে তাতে রয়েছে ক্যান্সারের সম্ভবনা।
তবে হঠাৎ করেই যৌনাঙ্গের রং ফর্সা/ পরিবর্তিত হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন, সেটা রোগের কারণে হতে পারে।
অনলাইনে অফলাইনে যত জায়গায় যৌনাঙ্গ ফর্সা করার ক্রীম, যৌনাঙ্গ ফর্সা করার ওষুধ, যৌনাঙ্গ ফর্সা করার উপায়, যৌনাঙ্গ ফর্সা করার টিপস, কীভাবে যৌনাঙ্গ ফর্সা করা যায়,ফর্সা যৌনাঙ্গ, গোপনাঙ্গ ফর্সা করার টিপস, গোপনাঙ্গ ফর্সা করার ক্রীম, গোপনাঙ্গ ফর্সা করার ওষুধ টাইপের বিজ্ঞাপন দেখবেন সব ভুয়ো।
শেষ কথা
সুতরাং সচেতন হোন এবং সারা শরীর ফর্সা হলেও গোপনাঙ্গ বা ঊরুসন্ধিস্থল এটা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বুজতেশিখুন আর ভুয়া বিজ্ঞাপন দেখে নিজেদের ছোট ভাবার কিছু নেই। আমাদের আজকের আলোচনায় আমরা দেখিয়েছি গোপনাঙ্গ বা ঊরুসন্ধিস্থল কালো হয় কেন। এছাড়াও আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে সকল ধরনের তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও এমন ইন্টারেস্টিং অনেক তথ্য রয়েছে যেগুলোর যেগুলো আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। সুতরাং আমাদের সাথে কানেক্টেড থাকুন।