ফটো এডিটের জন্য সেরা ৫ টি অ্যাপ : বর্তমান সময়ে আমরা কমবেশি সকলেই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করি। আর এখনকার সময়ের স্মার্টফোনগুলোর ক্যামেরা মোটামুটি ভালো হয়ে থাকে। এই স্মার্টফোনগুলো দিয়ে ছবি তুলে আমরা সেগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্লাটফর্মে পোস্ট করে থাকি। এসব ছবিকে আরও সুন্দর এবং প্রাণবন্ত করে সাজাতে আমাদের প্রয়োজন পড়ে বিভিন্ন অ্যাপ এর। যে অ্যাপ গুলির মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই ছবিগুলোকে সুন্দর করে সাজাতে পারি। আর এই কাজটি যদি আমরা মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারি তাহলে সেটা আরো সহজ হয়ে যায়। Read in English
আজ আমরা এমনই ৫ টি ফটো এডিটর নিয়ে হাজির হয়েছি। যেগুলো দ্বারা আপনি আপনার মোবাইল ফোন থেকে ফটো এডিট করতে পারবেন। তো চলুন সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।
PicsArt
বর্তমান সময়ে আমাদের ফটো এডিটিং অ্যাপ গুলোর মধ্যে অনেক ভালো মনের এক হচ্ছে PicsArt অ্যাপটি। বর্তমান সময়ে এই অ্যাপটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই অ্যাপটি এতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে এটি যে সার্ভিস প্রদান করে থাকে তা সত্যিই অসাধারণ। এই অ্যাপটি দিয়ে প্রায় ৩০০০ টুলস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার ফটকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং অন্য লেভেলে নিয়ে যেতে পারেন ছোটখাটো ফটো এডিটিং থেকে শুরু করে হাই ফটোগুলো এডিট করতে পারবেন এই অ্যাপের মাধ্যমে। এয়ার ফিল্টার গুলো দেন তো সুন্দর এবং আকর্ষণীয় এখানে শুধু ফটো এডিটিং হয়ে থাকে না এখানে ফটো ড্রইং ড্রইং টুলস ইত্যাদি করা যায়। ফটো এডিটর হিসেবে প্লে স্টোরে এটি Grossing in Photography জায়গা দখল করে আছে। প্লে স্টোরে এটি ডাউনলোড এর পরিমান ৫০০ মিলিয়ন এরও বেশি।
Snapseed ফটো এডিটের
গুগলের তৈরি ফটো এডিটর স্ন্যাপসিড। এই অ্যাপটি দেখতে অত্যন্ত সিম্পল এবং এর ইন্টারফেস গুলো অত্যন্ত সিম্পল তবে এই অ্যাপটি অসাধারণ পাওয়ারফুল একটি ফটো এডিটর অ্যাপ। অ্যাপটির এত সহজ ইন্টারফেস এর কারণে অনেকেই এই অ্যাপটি ব্যবহার করে থাকে। ছবির ব্রাইটনেস বাড়ানো কমানো থেকে শুরু করে একদম প্রিমিয়াম হাই কোয়ালিটির ছবি এডিট করার জন্য স্ন্যাপসিড অত্যন্ত উপযোগী। এএপি ফিল্টার এর পাশাপাশি ২৯ টি টুলস রয়েছে যার মাধ্যমে ফটকে খুব সহজে এডিট করা যায়। এই ২৯ টি টুল এর মধ্যে সিলেকশন টুল যেটি সাহায্যে ফটো নির্দিষ্ট অংশ মার্ক করে এডিট করা যায় খুব প্রয়োজনীয় একটি ফিচার। প্লে স্টোরে অ্যাপ ডাউনলোড এর পরিমাণ ১০০ মিলিয়নের বেশি।
Lightroom
সেরা ফটো এডিটরের লিস্ট করলে Lightroom জায়গা পাবে না তা কখনো হতে পারে না। এটি অনেক মানসম্পন্ন একটি ভালো মানের এডোবি Lightroom সিসি এর মোবাইল ভার্সন হচ্ছে Lightroom অ্যাপ টি। নামের সাথে সাথে এই অ্যাপের ফিচারের অনেক মিল রয়েছে এই অ্যাপের মাধ্যমে ফটোয়ালক কমবেশি করে ফটো কি সুন্দর করে সাজানো যায়। এছাড়া এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি র ফাইলকে এডিট করতে পারবেন যার জন্য ফটোর কোয়ালিটি কখনো লস হবে না। এই অ্যাপ এর যে ফিচারগুলো মানুষের বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায় তা হচ্ছে প্রিসেট হিলিং টুল সিলেক্টিভ টুল সিলেকশন টুল ইত্যাদি। বিশেষ করে আমাদের মধ্যে যারা ফটোগ্রাফি করে থাকে তাদের এই অ্যাপটি অনেক প্রয়োজন হয়ে থাকে।
Pixellab
আপনি যদি মোবাইল থেকে ফটো এডিট করেন এবং ফটোতে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি করতে চান সে ক্ষেত্রে Pixellab এই অ্যাপটির জুড়ি নেই। বিশেষ করে ব্লগে যেসব ব্যানার পোস্টার থামনেইল ইত্যাদি ব্যবহার করতে দেখেন সেগুলো বেশিরভাগই এই অ্যাপ দ্বারা বানানো হয়ে থাকে। লিখালিখি করার পাশাপাশি এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি কালার বিল্ডিং ক্রপ সাইজ এগুলো খুব ভালোভাবেই করতে পারবেন। এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি সাধারণ Text থেকে শুরু করে লোগো ডিজাইন ব্যানার ডিজাইন আরো অনেক কাজ করতে পারবেন। প্লে স্টোরে অ্যাপ টি ডাউনলোড এর পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন এর বেশি।
B162
এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত ফটো এডিট করতে পারবেন। যারা সেলফি লাভার রয়েছেন তাদের কাছে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই অ্যাপটির মধ্যে ১০০ এর অধিক ফিল্টার রয়েছে যা আপনার ছবিতে খুব দ্রুত এডিট করতে সহযোগিতা করবে। এই অ্যাপটির বড় সুবিধা হলো real-time বিউটি ইফেক্ট এর ছবি তোলা যায়। যে কারনে মেয়েদের কাছে এই অ্যাপটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই অ্যাপটির মাধ্যমে তারা ইনস্ট্যান্ট মেকআপ সুবিধা নিতে পারে। এছাড়া গ্যালারি থেকে ফটো নিয়ে সুন্দরভাবে বিভিন্ন টুলস এর মাধ্যমে এডিট করা যায়। প্লে স্টোরে অ্যাপ ডাউনলোড এর পরিমান ৫০০ মিলিয়নের বেশি।