অনলাইন ইনকাম সোর্স কোনগুলো

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে এসে অনলাইন ইনকাম খুবই সাধারণ একটি বিষয়। কিছুদিন আগে পর্যন্ত মানুষ অনলাইনে ইনকামের কথা শুনলে হেয় করতো। তবে মানুষ অনেক বদলে গিয়েছে। বর্তমানে দেশে কর্মসংস্থানের অভাব পূরণের জন্য অনেকে অনলাইনে কাজ শুরু করেছে। অনলাইনে ইনকাম করে স্বাবলম্বী হচ্ছে শত শত জনগণ। আজকে আমরা আলোচনা করব অনলাইনে ইনকাম সোর্স গুলো নিয়ে। Read in English

আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে অনলাইনে ইনকাম করতে পারি। এবং প্রতি বছর অনেক তরুণতরুণী অনলাইন থেকে ইনকাম করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। অনলাইন আয় এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সোর্স রয়েছে তবে এ ক্ষেত্রে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কেননা এই সোর্স গুলোর মধ্যে অনেকগুলো রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি প্রতারণার শিকার হতে পারেন। তাই আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব এমন কিছু ইনকাম সোর্স যেগুলো থেকে আপনি অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। তো চলুন আলোচনা করা যায় অনলাইনে ইনকাম সোর্স গুলো সম্পর্কে।

অনলাইনে যেভাবে টাকা ইনকাম করবেন

অনলাইনে যেভাবে টাকা ইনকাম করবেন। অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারি। সে ক্ষেত্রে আমাদের অনলাইন সোর্স গুলো খুঁজে ঠিকমতো কাজ করতে হবে। আমরা আজকে আপনাদের জানাবো এমন কিছু অনলাইন সোর্সের কথা যেগুলো থেকে আপনি প্রতিমাসে মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন তরুণতরুণী এসব সোর্স থেকে অনেক অর্থ উপার্জন করছে এবং নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে। এই সোর্সগুলোর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েবসাইট তৈরি, এফিলিয়েট মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, জরিপ সার্চ ও রিভিউ, ভার্চুয়াল সহকারি, অনুবাদ, অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ওয়েবডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ব্লগিং, ইউটিউব, পিটিসি, অন্যতম।

এখানে আমরা ৫ টি সোর্স সম্পর্কে আলোচনা করব বাকি গুলি সম্পর্কে জানতে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন

ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় দেখুন এখানে

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ৫টি সোর্স সম্পর্কে তথ্য।

৫ টি অনলাইনে ইনকাম সোর্স

আমরা আমাদের আলোচনায় এ পর্যায়ে পাঁচটি অনলাইন ইনকাম সোর্স নিয়ে আলোচনা করব। বাকি ইনকাম সোর্স গুলির সম্পর্কে আমরা অন্য একটি পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি দেখতে উপরের লিংকে ক্লিক করুন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন ইনকাম সোর্স। যেগুলি থেকে আপনি প্রতিমাসে 20 থেকে 30 হাজার বা তারও অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

আপনারা ইতিমধ্যে হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর যেমন ফেসবুক স্ন্যাপচ্যাট ইত্যাদির মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড এর পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালকদের প্রচুর অর্থ দেয়া হয় তাদের ব্র্যান্ডের প্রচারপ্রচারণা কাজের জন্য। অনলাইনে গ্রাহক টানা, প্রচার করার জন্য অবশ্য সৃজনশীলতা দরকার রয়েছে বিভিন্ন পোস্ট তৈরী ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমগুলোতে প্রকাশ করা এবং তা ভাইরাল করতে পারলে ভালো হতো পাওয়া যাবে। তবে ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এন্ড ফলোয়ার তৈরিসহ তাদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য প্রয়োজন।

ওয়েব ডিজাইন

আপনি ওয়েব ডিজাইন করে প্রতিমাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে ওয়েবডিজাইনে চাহিদা ব্যাপক কোন প্রজেক্টে 20 হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত সহজে আয় করা যায় ওয়েব ডিজাইনের মাধ্যমে সব ব্যবসায়ী প্রযুক্তিপ্রেমী নয় নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরিতে তাদের ওয়েব ডিজাইনের দরকার পড়ে যারা ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান তারা নিজেদের ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকে ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। এছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি ব্যবস্থাপনাও হালনাগাদ এর জন্য ওয়েব ডিজাইনারের দরকার পড়ে ফলে ওয়েব ডিজাইনার কে বসে থাকতে হয়না ক্লায়েন্টও কাজের উপর ভিত্তি করে ওয়েব ডিজাইনাররা নিজেদের আয় বাড়াতে পারে।

কনটেন্ট রাইটিং

আপনি যদি লিখালিখি করতে ভালো পারেন তবে আপনার জন্য কনটেন্ট রাইটিং হতে পারেন ভালো একটি অনলাইন ইনকাম সোর্স। এছাড়া আপনি যদি একাধিক ভাষায় সাবলীল ভাবে লিখতে পারেন তাহলে আপনার জন্য কাজের অভাব হবে না। অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করে বা লিখে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আর্টিকেল লেখার মান এর উপর ভিত্তি করে আয় করা যায়। কাজ দাদা নির্দিষ্ট নীতি মেনে লেখার জন্য বলতে পারে। নির্দিষ্ট বিষয়ে বা নিশ ধরে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারলে আয়ের ধারাও বেড়ে যায়।

ব্লগিং

আপনি চাইলে ব্লগিং করে ও অনলাইন থেকে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন। অনেকের শখের বিষয়ে অনেক কিছু লিখতে পারেন। তবে শখের বিষয়টি যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে আপনি শখ‌ও মেটাতে পারবেন। আর আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। দুই উপায় ব্লগ থেকে আয় করা যায় একটি হচ্ছে নিজের ব্লগ সাইট তৈরি করে ওয়ার্ডপ্রেস বা টাম্বলার প্লাটফর্মে বিনামূল্যে ব্লক শুরু করতে পারেন অথবা যা চাইলে নিজের ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লক চালু করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনি যদি নিজে ব্লক চালু করতে চান সে ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার প্রয়োজন পড়বে ডোমেইন হোস্টিং কিনতে হবে নিজে ব্লক শুরু করাটাই ভালো কারণ এতে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী অনেক পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে বিজ্ঞাপন ফেসবুকে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল পণ্যের পর্যালোচনা প্রভৃতি নানা উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন তবে ব্লগ লিখে আয় করতে গেলে রাতারাতি আইন আসবে না এর জন্য প্রচুর সময় অধৈর্য থাকতে হবে অনেকের ব্লগ থেকে আয় করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যায় ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেটসমূহ তারা সক্রিয় রাখতে কাজ করে যেতে হবে ঠিকমতো কাজ করতে পারলে ব্লগিং থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

ইউটিউব থেকে আয়

যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এবং ইউটিউব সম্পর্কে জানেনা এমন লোক বর্তমানে খুবই কম। আমরা আমাদের বেশিভাগ সময় ইউটিউবে স্ক্রল করে বিভিন্ন ভিডিও দেখে নষ্ট করি। আমরা এই সময়টুকু কে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাদের ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আপনি আয় করতে পারবেন আপনার চ্যানেলে কোন ক্যাটাগরি এবং তাতে কোন ধরনের ভিডিও রাখবেন তা কি ঠিক করে রাখুন যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি সেসব বিষয়ের ভিডিও না রাখলে মানুষ তা দেখবে না আর ভিডিও না দেখলে আয় সম্ভব না সুতরাং মানুষের রুচিশীল এবং শিক্ষনীয় কনটেন্ট আপলোড করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা এবং ব্লগিং এ কনটেন্ট তৈরি করা একই ব্যাপার ইউটিউবে শুধুমাত্র ভিডিও আকারে কন্টেন প্রকাশিত হয়। চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার এবং ভিডিও দেখার সময় বারলে আপনার ইনকাম বৃদ্ধি পেতে থাকবে। প্রতি হাজার ভিউ এর হিসেবে।

আমাদের আজকের আলোচনায় আমরা অনলাইনে ইনকামের পাঁচটি বছর সম্পর্কে তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া আরও বিস্তারিত তথ্য দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

Start a Conversation

Your email address will not be published. Required fields are marked *