গোপনে গোপনে মেয়েরা যে দশটি জিনিস সবচেয়ে বেশি সার্চ করেন
গোপনে গোপনে মেয়েরা যে দশটি জিনিস সবচেয়ে বেশি সার্চ করেন গুগোল তা জানলে আপনি হয়তো অবাক হবেন। গুগোল আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন তথ্য সার্চ করে থাকি। আপনার যেকোনো জানা অজানা প্রশ্ন আমরা গুগলের কাছে করে থাকি। এরকম আজব কিছু প্রশ্ন মেয়েরা গুগলে করে থাকে। এমনই কিছু প্রশ্ন এবং উত্তরের পর্ব নিয়ে আমরা আজ হাজির হয়েছি। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক গোপনে গোপনে মেয়েরা যে দশটি প্রশ্ন সবচেয়ে বেশি সার্চ করেন গুগলে। এবং এর উত্তর। Read in English
১। দেহের অবাঞ্ছিত লোম অপসারণে নিরাপদ উপায় কোনটি?
উত্তর: দেহের লোম অপসারণের জন্য রয়েছে একাধিক উপায়। আপনি কোন উপায়টি ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করছে আপনার ত্বকের ধরন এবং লোম গজানোর তীব্রতার ওপর। চোখের ভ্রুর জন্য থ্রেডিং এবং টোয়েকিং ভালো কাজ করে থাকে। হাত বা পায়ের জন্য ওয়াক্সিং সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হতে পারে। আর আপনি যদি লেজার হেয়াল রিমুভাল পদ্ধতি ব্যবহার করতে চান তবে অভিজ্ঞ কোনো কসমেটিকস সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
স্থায়ীভাবে শরীরের লোম দূর করার উপায় |
২। চুল কীভাবে দ্রুত গজানো যায়?
উত্তর: সারাদিন চুলের সঙ্গে নিষ্ঠুর সব আচরণ করে দিনশেষে এসে চুল কীভাবে দ্রুত গজানো সম্ভব তা নিয়ে গুগলে সার্চ করার কোনো মানে হয় না। চুল দ্রুত গজাতে চাইলে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চুলকে সরবরাহ করতে হবে। এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে হবে। আর চুল দ্রুত গজানোর কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করার সময় আপনাকে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। একদিনেই এর কোনো সমাধান পাওয়া সম্ভব নয়। অনেকে আবার এসময় চুল ছাটা বন্ধ করে দেন। কিন্তু সময় মতো চুল ছাটা হলে তা চুলের বৃদ্ধিতে আরো সহায়তা করে।
৩। ত্বক ফর্সা করব কিভাবে?
উত্তর: নারীরা প্রায়ই ত্বক ফর্সা করার জন্য প্রচুর পরিমাণে কসমেটিকস কেনেন। যেমন, পাউডার, ফাউন্ডেশন এবং আরো নানা ধরনের প্রসাধনী। কিন্তু ত্বক ফর্সা হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনই মূল চাবিকাঠি। এজন্য প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, ফল ও জুস খেতে হবে, ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে এবং শরীর চর্চা করতে হবে। এর পাশাপাশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত ঘরোয়া দাওয়াই ব্যবহার করা যেতে পারে।
ত্বক ফর্সা করার উপাই জেনে নিন বিস্তারিত |
৪। ত্বকের ধরন নির্ণয় করব কীভাবে?
উত্তর: ত্বকের ধরন নির্ণয় করার সবচেয়ে ভালো বিজ্ঞানসম্মত উপায় হলো একটি মেডিকেল স্কিন টেস্ট করানো। ঘরে বসেও প্রাথমিক পদ্ধতিতে ব্লটিং পেপার ব্যবহার করেও স্কিন টেস্ট করা যায়। ব্লটিং পেপারটি আপনার ত্বকের বিভিন্ন এলাকায় লাগিয়ে দিন। এরপর তা তুলে আলোতে দেখুন। এতে যদি প্রচুর পরিমাণ তেল থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বকের ধরন হলো তৈলাক্ত। আর যদি কম তেল থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক হলো শুষ্ক ত্বক। তবে আপনার গালের তুলনায় যদি নাক একটু বেশি তৈলাক্ত হয় তাহলে বিস্মিতি হওয়ার কিছু নেই।
স্কিন টেস্টের সর্বশেষ ঘরোয়া পদ্ধতিটি হলো মুখ পরিষ্কার করে একঘন্টা পর তা পর্যবেক্ষণ করুন। একঘন্টাও পরও যদি আপনার মুখে তেল এবং মেদ থেকে ক্ষরিত রস থাকে তাহলে আপনার ত্বক হলো তৈলাক্ত ত্বক। কিন্তু যদি কোনো পরিবর্তন না দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক হলো শুষ্ক ত্বক। আর আপনার নাক এবং কপাল যদি কিছুটা চকচকে হয়ে ওঠে তাহলে আপনার ত্বক স্বাভাবিক ধরনের।
৫। ট্যাটু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর?
উত্তর: সবার জন্য যে ট্যাটু ক্ষতিকর এমন নয়। তবে যারা স্থায়ী ট্যাটু এঁকেছেন তাদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ট্যাটুর জন্য তাদের ত্বকের সমস্যা বেড়েছে। অর্থাৎ ট্যাটুতে ঝুঁকি আছে। সুতরাং আপনি যদি পুরোপুরি নিরাপদ থাকতে চান তাহলে ট্যাটু না করানোই ভালো। আর যদি ট্যাটু করাতেই হয় তাহলে ভালো কোনো পার্লার এবং ভালো কোনো শিল্পীকে দিয়ে করতে পারেন।
চুলের যত্ন নিবেন কিভাবে |
৬। চুলে কয়দিন পরপর শ্যাম্পু করবো?
উত্তর: শ্যাম্পু তখনই করা উচিত যখন চুল ও মাথার ত্বকে ময়লা জমে। তবে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর শ্যাম্পু করালে চুল ভালো থাকে। আর চুলের যত্নে শ্যাম্পু করার পাশাপাশি তেল, কন্ডিশানার, ভলুমাইজার এবং অন্যান্য জিনিসও ব্যবহার করতে হবে। অনেকে মনে করেন প্রতিদিনই শ্যাম্পু করলে চুল নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আপনার চুলে যদি প্রতিদিনই কদাকার হয়ে ওঠে তাহলে প্রতিদিনই শ্যাম্পু করাতে হবে। এতে কোনো ক্ষতি হবে না।
৭। চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করব কীভাবে?
উত্তর: চোখের নিচের ফোলা ভাব দূর করতে শসা ও আলুর ফালি এবং আইস বা ঘুমের রুটিন বদলে আপনি আইব্যাগ বা চোখের ফোলাভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে কর্কশ কিছু ব্যবহার করবেন না। কারণ তাতে আপনার চোখের দৃষ্টির ক্ষতি হতে পারে। আর তাতেও যদি আইব্যাগ দূর না হয় তাহলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৮। স্মোকি আই মেকআপ করা সম্ভব কীভাবে?
উত্তর: স্মোকি আই মেকআপ করার পদ্ধতি বিষয়ে ইন্টারনেটে প্রচুর সংখ্যক লেখা রয়েছে। যে কোনো একটি পদ্ধতি বাছাই করে সে অনুযায়ী কাজ করুন। তবে কখনোই দুটো পদ্ধতি সমন্বয় করবেন না তাহলে কিন্তু বিপদ হতে পারে। এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। আর যেসব কসমেটিকস কেবল চক্ষুবিজ্ঞান এর পদ্ধতি পরিক্ষীত কেবল সেগুলোই ব্যবহার করুন।
মেহেদী ডিজাইন দেখুন |
৯। বলিরেখামুক্ত ত্বক পাওয়া যাবে কীভাবে?
উত্তর: বলিরেখামুক্ত ত্বক পেতে হলে প্রথম থেকেই ত্বকের যত্ন শুরু করুন। ৩০ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। কিন্তু আপনি যদি বলিরেখা পড়ার জন্য অপেক্ষা করেন এবং এরপর তা থেকে মুক্ত হতে চান তাহলে আপনি ভুল করবেন। বলিরেখার প্রথম লক্ষণ হলো কপালে ভাজপড়া। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ত্বকের বলিরেখা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কিত নানা লেখা আছে। সেসব পড়ে পড়ে ত্বকের যত্ন করুন ধৈর্য্য ধরে।
১০। কনসিলার প্রয়োগ করতে হয় কীভাবে?
উত্তর: কোনো মেয়েই একদিনে কনসিলার প্রয়োগ করা শিখে যান না। এছাড়া কোন ধরনের কনসিলার ব্যবহার করছেন তাও একটি বিবেচ্য বিষয়। আবার সব মেয়েরা কনসিলার ব্যবহার করেন না। যাদের ত্বকে কোনো মার্ক বা দাগ আছে তাদেরকে অবশ্যই কনসিলার কিনতে হবে। কনসিলার কেনার আগে ক্রস চেক করে নিতে হবে সেটি আপনার ত্বকের টোনের সঙ্গে মানানসই কিনা এবং আপনার উদ্দেশ্য পুরণ করতে পারবে কিনা। কনসিলারের নানা ধরন ্যয়েছে। ফলে কেনার আগে জেনে নিতে হবে।
আজ এই পর্যন্তই।