সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি মাগুরা জেলা ২০২৩

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি মাগুরা জেলা ২০২৩ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মুসলিম উম্মার ওপর বরকতময় মাস রমজান মাস আমাদের মাঝে এসে পড়েছে। আরবি বছরের নবম মাস হল রমযান। মুসলিমরা এই মাসকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। এই মাস বরকতের মাস। রমজান মাসের ৩০ টি সিয়াম প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয করা হয়েছে। Read in English

সকল মুসলিম কল সুবিধা দিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং অন্যায় কাজ কর্ম থেকে বিরত থাকে। এই মাস মানুষকে ধৈর্য শেখায়। রমজান মাস মানুষ এর আত্ম পরিশুদ্ধ করে। এই মাস সকলকে জীবনে সফল হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। এই মাসে মানুষ চাইলেই যে কোন খারাপ কাজের অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারে। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সবচেয়ে সুন্দর উপায় এই মাসে রয়েছে। আল্লাহ এই মাসে তার বান্দাদেরকে বেশি বেশি সওয়াব প্রদান করে থাকেন। তাই প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির উচিত রমজান মাসের ৩০ টি সিয়াম পালন করা এবং প্রত্যেক ধরনের খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি ভালো কাজের ওপর গুরুত্ব প্রদান করা।

সেহরির শেষ সময় মাগুরা জেলা ২০২৩

পবিত্র শবে বরাতের ১৫ দিন পর থেকে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়। এ রমজান মাসে একজন মুসলিম তার সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার চেষ্টা করেন। রমজান মাসে প্রতিটা মুসলমান বছরের বাকি ১১ মাসের তুলনায় বেশী বেশী দান সদকা, আমল ইত্যাদি করে থাকেন। কেননা এই মাসের তাৎপর্য ইসলাম ধর্মে অনেক অনেক গুণ বেশি। এই মাসের সম্পর্কে পবিত্র কোরআন এবং হাদীসে এত এত ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে বলে তা কখনোই শেষ করা সম্ভব নয়।  আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা তখনই সম্ভব  যখন আপনার সিয়াম পালন শতভাগ নির্ভুল হবে। তাই সিয়াম সাধনার জন্য সেহরি ও ইফতারের সঠিক সময় আপনাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। এই আলোচনার মাধ্যমে আপনি সেহরী এবং ইফতারের সঠিক সময় পেয়ে যাবেন এবং চাইলে আপনি তা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। 

সেহরি ও ইফতারের সময় ২০২৩

ইফতারের সময় মাগুরা জেলা ২০২৩

বাংলাদেশের ভৌগোলিক কারণে ৬৪ জেলার সেহরী এবং ইফতারের সময় এক হয় না। ঢাকা যেহেতু রাজধানী তাই ঢাকা বাদে বাকি ৬৩ জেলার ক্ষেত্রে সময় ঢাকার সাথে যোগবিয়োগ করে গণনা করা হয়। সে ক্ষেত্রে কিছু জেলার সময় বৃদ্ধি হয় এবং কিছু জেলার সময় হ্রাস পায়। ঢাকার সময়কে সঠিক সময় ধরে বাকি জেলাগুলোর সময় যোগ বিয়োগ এর মাধ্যমে সঠিক সময় নির্ধারণ করা হয়। আপনি যদি একজন সিয়াম পালনকারী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আজকে ইফতারের সময় আপনার জানাটা অত্যন্ত জরুরী। আপনি যদি আজকের ইফতারের সঠিক সময় জানতে চান তাহলে নিচে লক্ষ্য করুন। আপনার জেলার সঠিক ইফতারের সময় আপনি কোন ঝামেলা ছাড়া পেতে আমাদের সাইট দেখুন। আমরা সঠিক সময় নির্ণয় করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করে থাকি।

সে ক্ষেত্রে আপনাদের বাড়তি কোনো ঝামেলা করার প্রয়োজন নেই। আপনি আমাদের এই সাইট ভিজিট এর মাধ্যমেই আপনার জেলা, বিভাগ সহ সমগ্র  দেশের সেহরির সময় এবং ইফতারের সময় পেয়ে যাবেন। আমরা আপনাদের জন্য সেহরির সময় জেলা ভিত্তিক, বিভাগভিত্তিক এবং দেশভিত্তিক ভাবে আলাদা আলাদা করে প্রকাশ করে থাকি। যেন আপনাদের সেহরী এবং ইফতারের সময় খোঁজার জন্য বেশি কষ্ট না করার প্রয়োজন হয়। 

image

রোজার নিয়ত বাংলায়

রোজা পালন উপলেক্ষ আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিন সকল! তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপরও ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। (সূরা বাকারা-১৮৩)

সিয়াম পালনের ক্ষেত্রে  অতি জরুরী কিছু বিষয় রয়েছে যার মধ্যে নিয়ত অন্যতম। বলা হয়ে থাকে সহিহ-শুদ্ধ নিয়ত না হলে আপনার রোজাটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা রোজার সঠিক নিয়ত কি। আজকে আমাদের আলোচনায় আমরা আপনাদের রোজার নিয়ত সম্পূর্ণ বাংলায় আলোচনা করার চেষ্টা করব। অনেকে আছেন যারা আরবি পড়তে পারেন না সমস্যা নেই আমরা তাদের জন্য রোজার নিয়ত সম্পূর্ণ বাংলায় সহি শুদ্ধভাবে আপনাদের জন্য প্রকাশ করছি। আপনি বাংলায় রোজার নিয়ত করেও আপনার সিয়াম পালন সম্পন্ন করতে পারেন। আপনার রোজার শুরুতে যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে সহিহ নিয়ত। তাই আপনারা রোজাটি শতভাগ নির্ভুল করার জন্য আমরা আপনাদের সামনে রোজার নিয়ত বাংলায় উপস্থাপন করছি। রোজার নিয়ত বাংলায় নিচে দেওয়া হল- 

রোজার নিয়ত : রমজানের রোজার জন্য সুবহে সাদিকের পূর্বে মনে মনে এই নিয়ত করবেন, নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

বাংলায় নিয়ত : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

সেহরি ও ইফতারের দোয়া এবং নিয়ত

নরমজান মাসের সিয়াম পালন হচ্ছে এমন একটা জিনিস যা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার শহীহ শুদ্ধ নিয়তের উপর। প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তির জন্য নিয়ত এমন একটি দৃঢ় মনোবল যা সকলের কাছেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বলা হয়ে থাকে সহিহ নিয়তে যেকোনো কাজ শুরু করলে সেটি সহিহ ভাবে শেষ হয়। অনেক ক্ষেত্রে বলতে শোনা যায় সহিহ নিয়ত গুনে সহিহ বরকত আসে। অনেকে আমরা সেহরী এবং ইফতারের নিয়ত সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখি না। যে সকল ব্যক্তি সেহরী এবং ইফতারের এর সঠিক নিয়ত সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য সম্পূর্ণ বাংলায় সেহরী এবং ইফতারের নিয়ত নিচে দেওয়া হল। আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী তা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন

সেহরির দোয়াঃ – নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আনতাস সামীউল আলীম।

বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমযান মাসে তোমার পক্ষ হতে ফরজ করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ হতে তা কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

ইফতারের দোয়া : আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা ওয়া তাওয়াক্কালতু আ’লা রিযকিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি।

ইফতারির মোনাজাত ও সুফল

সারা দিনের সিয়াম পালন শেষে আমরা ইফতারের জন্য সকলেই একত্রিত হই। আমরা আমাদের ইফতার সামনে থাকা সত্ত্বেও তা সেবন করি না বা গ্রহণ করি না। কেননা আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় সারাটা দিন রোজা রাখি এবং ইফতারের আশায় বসে থাকি। ইফতার এর পরবর্তী সময়ে আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা স্বরূপ আল্লাহর  কাছে আমরা মোনাজাত করে থাকি। মোনাজাতের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নিকট আমাদের সকল পাপের মুক্তি, আমাদের সুন্দর ভবিষ্যত, সকল রোগমুক্তিসহ দেখা অদেখা যত বিপদ আপদ আছে সবকিছু থেকে মুক্তি চেয়ে থাকি। মোনাজাত শব্দের অর্থ গোপনে কথা। অর্থাৎ আল্লাহর কাছে মোনাজাত করা মানে তার সাথে গোপনে আপনার সম্প্রিতি গড়ে তোলা। অর্থাৎ আপনার যদি আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাওয়ার থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। আমরা ইফতারের পূর্বে সকলে মিলে মোনাজাত করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকি।

আজকের আমাদের আলোচনায় আমরা রোজার নিয়ত, সেহরি ও ইফতারের নিয়ত, রোজার মোনাজাত ও সুফল সম্পর্কে সকল বিস্তারিত ধারণা লাভ করলাম। আমরা এই পবিত্র মাহে রমজানে বাস্তবিক জীবনে এই আলোচনাটির সম্পন্ন প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করব। এবং পবিত্র মাসে আমরা নিজেকে পরিপূর্ণ একজন মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করব।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *