স্মার্টফোনে যে ফিচারগুলো আপনার অবশ্যই চালু রাখা উচিত

স্মার্টফোনে যে ফিচারগুলো আপনার অবশ্যই চালু রাখা উচিত : আপনি যদি পোস্টটি পড়তে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে ধরে নেওয়াই যায় আপনার একটি স্মার্টফোন আছে। যদি না থাকে তাহলে আপনার পরিবারের কারো না কারো কাছে তো নিশ্চয়ই আছে। যদি তাও না থাকে, নিকট ভবিষ্যতে তো অবশ্যই হবে, তাইনা? কেননা স্মার্ট ফোন ছাড়া আজকাল জীবনযাপন করা বেশ কঠিন। কিন্তু এই স্মার্টফোনের কিছু সেটিংস যদি আপনি চালু না রাখেন, তাহলে হয়তো আপনাকে এর জন্য কঠিন মূল্য দিতে হতে পারে। আর আমি চাই আমার লিখা যারা পড়েন তারা চমৎকার একটা ডিজিটাল লাইফ উপভোগ করুন। আর সেই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় আজ আমি এই পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। তাহলে চলুন যেনে নিই আপনার নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে স্মার্টফোনে যে ফিচারগুলো এখনই আপনার চালু করে নেয়া উচিত। Read in English

সিম পিন কোড

অনেকে ভাইয়ের সিমে পিন কোড চেক ফিচার চালু রাখতে চান না। কারণ সাধারণত তিনবার কবুল পিনকোড দিলেন এরপর অন্য একটা সিকিউরিটি কোড (পাক কোড) ছাড়া সিম কার্ড চালু করা যায় না। সিমের সাথে যে কাগজপত্র দেয়া হয় সেখানে এই পাক কোড লেখা থাকে। সিমের পিন কোড পরিবর্তন করে এরপর যদি পিনকোড ভিসা চালু করে দেন তাহলে প্রতিবার ফোন চালুর সময় পিনকোড ইন্টার করতে হবে। অন্যথায় ওই সিম চালু করতে পারবেন না। সুতরাং এ অবস্থায় আপনার ফোন যদি হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায় তখন সিম কার্ড কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ এর পিনকোড শুধু আপনি জানেন।

পিনকোড পিকচার চালু রাখলে সেই সিম কুনিয়া চালু হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিক পিন এন্টার না হবে। ৩ বার ভুল পিন ও সাধারণত ১০ বার ভুল পাক কোড দিলে সেই সিমি স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং এই গুরুত্বপূর্ণ ফিচারটি চালু করে নিলে মোবাইলের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহারের হাত থেকে রেহাই পাবেন।

মোবাইলের ব্যাটারি ও চার্জ নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা গুলো জেনে নিন

স্মার্টফোনে যে ফিচারগুলো আপনার অবশ্যই চালু রাখা উচিত

স্টোরেজ এনক্রিপশন

স্মার্টফোন যদি আপনি পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে রাখেন তার পরেও বিশেষ উপায়ে এটা থেকে আপনার ছবি ভিডিও যাবতীয় সংরক্ষিত ডাটা উদ্ধার করা সম্ভব। অনেককেই দেখেছি ফোন হারানোর পরে ব্যক্তিগত ডাটা ফাঁস হওয়ার ভয়ে হাহাকার করেন। কিন্তু স্ক্রীন লকের সাথে সাথে আপনি যদি ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ এবং মেমোরি কার্ড উভয় স্টোরিজ এনক্রিপ্ট করে রাখেন তাহলে এনক্রিপশন পাসওয়ার্ড ছাড়া উইফি এবং মেমোরি কার্ডের ডাটা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। প্রাইভেসির জন্য এনক্রিপশন একটি জনপ্রিয় প্রযুক্তি যা বাইপাস করে ডাটা উদ্ধার করা সাধারণ মানুষের কাজ নয়। তবে কোনো কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বঙ্ সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে এনক্রিপশন বাইপাসের কৌশল থাকতে পারে যা আসলে কোনো কিছুর মাধ্যমে বিরত রাখা সম্ভব নয়।

স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বৃদ্ধির অজানা কিছু কৌশল

জিপিএস ট্র্যাকিং

ফোনের ডাটা লোকেশন/ জিপিএস চালু থাকলে আপনি ফাইন্ড মাই ডিভাইস জাতীয় ফিচার ব্যবহার করে ফোন কোথায় আছে তা ম্যাপে দেখতে পারেন এবং আপনি চাইলে সেটি লক করে কিংবা ডাটা মুছে ফেলতে পারেন। তবে জোর যদি আপনার ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট দিয়ে দেয় তাহলে জিপিএস ট্রেকিং আর কাজ করবে না।

অ্যাপ লকার

আপনার ফোন যদি মাঝেমধ্যে অন্যদের হাতে দিতে হয় তাহলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ লিটার সুরক্ষার জন্য অ্যাপ লকার ব্যবহার করতে পারেন। শাওমি সহ কিছু কিছু ফোনে সেটিংস অ্যাপ লকার ফিচার দেওয়াই থাকে যার মাধ্যমে ফোনের বিভিন্ন ফাংশন লক করে রাখতে পারবেন যা পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়া ওপেন করা যাবে না। এছাড়া third-party কিছু অ্যাপ আছে যার মাধ্যমে এই সুবিধাটি চালু করা যায়। সুতরাং এর মাধ্যমে আপনি আপনার প্রাইভেসির যথাযথ সুরক্ষা করতে পারবেন।

অনলাইনে কন্টাক্ট সিনক্রোনাইজেশন

আপনার ফোনের কন্টাক্ট মেসেজ প্রকৃতি অনলাইনে সিনক্রোনাইজেশন করে রাখুন। প্রায় প্রতিটি ফোন নির্মাতা কোম্পানি হিসেবে টি দিয়ে থাকে যার মাধ্যমে অনলাইনে ফোন নাম্বার মেসেজ নোট সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ব্যবহার করতে পারেন গুগোল কন্টাক্টস অ্যাপ। আর আইফোনের জন্য আইক্লাউড তো আছেই।

স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ একই হলে সুবিধা ও অসুবিধা

ক্লাউড ফাইল স্টোরেজ

ফোন থেকে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল লক ওমেন প্রভৃতি অনলাইন আপলোড করে রাখতে পারেন পরে ফোনের কোন সমস্যা হলে আপনি আপনার সব ডাটা আবার অনলাইন এক্সেস করতে পারবেন এজন্য গুগোল ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারেন।

স্মার্টফোনে যে ফিচারগুলো আপনার অবশ্যই চালু রাখা উচিত

অনলাইনে ফটো ভিডিও আপলোড

ফোনের স্টোরেজ যতই হোক একদিন তাকে কি ফুরিয়ে যাবে অর্থাৎ পূর্ন হবে তখন যাতে কিছু চিরতরে হারাতে না হয় সেজন্য অনলাইন এ ফটো এবং ভিডিও সিনক্রোনাইজ করে রাখতে পারেন এক্ষেত্রে গুগোল ফটো অথবা ফ্লিকারে ব্যবহার করতে পারেন গুগোল ফটো সেভ বিনামূল্যে আনলিমিটেড ফটো ও ভিডিও আপলোড করা যায়।

ওয়াইফাই চালু করলে গ্যালারি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এগুলো অনলাইনে আপলোড হয়ে যায় যার প্রাইভেসি নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই থাকবে আর ফ্লিকারে আপনার ফুল রেজুলেশনের ফটোগুলো আপলোড করে রাখতে পারেন ১০০০ জিবি স্পেস পর্যন্ত।

স্মার্টফোনে যে ফিচারগুলো আপনার অবশ্যই চালু রাখা উচিত

অনলাইন ছাড়াও আইফোনে অর্থাৎ আপনার কম্পিউটারে সব ডাটা ব্যাকআপ রাখতে পারেন ফলে ফোন বেহাত হলেও আপনার দরকারি তথ্য আপনার হাত ছাড়া হবে না।

কিছু কিছু ফোন যেমন আইফোন অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যাক্টিভেশন লক সিস্টেম প্রদান করে যার মাধ্যমে সঠিক আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে অনলাইনে সাইন-ইন না করলে ওই ফোন আর ব্যবহার করাই যাবে না আইফোন এর ক্ষেত্রে এটাকে আইক্লাউড লক বলা হয়ে থাকে ফাইন্ড মাই আইফোন ফিচার অন করলে তাতে আইক্লাউড লক বা অ্যাক্টিভেশন লক নিজে থেকে চালু হয়।

মহাকাশে মোট কতটি স্যাটেলাইট আছে? এবং এদের কাজ কি?

এ অবস্থায় ফোন রিসেট দিতে গেল অ্যাপেল একাউন্টে সাইন ইন করা লাগবে। সেক্ষেত্রে যার অ্যাপেল আইডি দিয়ে আইক্লাউড চালু করা হয়েছে তার আইডি পাসওয়ার্ড দরকার হবে এরকম অ্যাক্টিভেশন লক ওপেন করতে না পারলে ডিভাইস এর পার্টস খুলে নেওয়া ছাড়া আর কোন কাজে ব্যবহার করা যায় না।

আমাদের এই আলোচনাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই আলোচনায় যে সব ফিচার এর কথা বলা হয়েছে এর মধ্যে আপনার যেটা পছন্দ হয় সেটি চালু করে রাখতে পারেন।

Start a Conversation

Your email address will not be published. Required fields are marked *