ওমিক্রনে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে সারা বিশ্বে বর্তমানে যে মহামারী টি সবথেকে ভয়ানক আকার ধারণ করেছে সেটি হচ্ছে নোবেল করোনাভাইরাস। বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে যতই মহামারী আসুক না কেন করোনাভাইরাস তারমধ্যে সবথেকে বেশি ভয়ানক। আশা করা হচ্ছে আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত মহামারী দেখা দিয়েছে তার মধ্যে আক্রান্তের হার এবং মৃত্যু হার করোনাভাইরাস এর ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি। এটি এক প্রকার ভাইরাস জনিত রোগ হওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে এর ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে। এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা সকল মানুষের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই ভাইরাসে আক্রান্তের হার গুণানুপাত হারে বেড়ে চলেছে আক্রান্ত ব্যক্তি হতে দুইজন তারপর চারজন এইভাবে এর বিস্তার ঘটছে। Read in English
করোনার শেষ পরিস্থিতি
গোটা বিশ্বে প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তেমনি করে বাড়ছে এর বিভিন্ন প্রকারভেদ। করণা মহামারী প্রথম থেকে আসার পর অনেক ধরনের রূপ পরিবর্তন করছে। এর বিভিন্ন রূপের লক্ষণ আলাদা হলেও আক্রান্ত হওয়ার ধরন এবং মৃত্যুহার একই রকম। করোনা মহামারীর একটি ঢেউ শেষ হতে না হতেই আরেকটি নতুন প্রজাতি তার নতুন রূপে আবিষ্কৃত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কার্যকরী কোন টিকা আবিষ্কার করতে পারেনি। তবে এর মধ্যে যে সকল টিকা আমরা পাচ্ছি তা পুরোপুরি কার্যকরী নয়। তবে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন যে তারা যে সকল টিকা আবিষ্কার করেছে সেগুলো পুরোপুরি করোনার জন্য কার্যকরী না হলেও সেসকল টিকার পরিপূর্ণ ডোজ সম্পন্ন করলে আক্রান্তের হাত থেকে বাঁচা না গেলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা অনেক গুণে বাড়বে। আজকের সর্বশেষ এবং সারা বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি হচ্ছে –
মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ কোটি ৬৪ লাখ ৭০ হাজার ৪২৭ জন।
মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯ লাখ ৯ হাজার ৭১৪ জন।
সুস্থতার সংখ্যা ৩৫ কোটি ৩৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৮ জন।
মরণব্যাধী ওমিক্রন
বর্তমানে করোনার ওমিক্রন ধরনের জন্য গোটা বিশ্বব্যাপী নতুন করে আবারো আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে গোটা বিশ্বের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি দপ্তর সমূহ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অমিক্রণ এর এই ঢেউ না যাওয়া পর্যন্ত ইন্ডিয়া বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ড সহ অন্যান্য অনেক দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। করণা মহামারীর কারণে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা একদিকে পড়াশোনার প্রতি অমনোযোগী হচ্ছে এবং অন্যদিকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর প্রতি আসক্ত হচ্ছে। অতি দ্রুততার সহিত যদি কোনো কার্যকরী টিকা আবিষ্কার না হয় তবে গোটা পৃথিবী কে বড় একটি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে শিক্ষা চিকিৎসা বাসস্থান ব্যবসা বাণিজ্য আমদানি।
রপ্তানিসহ গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ঝুঁকির মুখে পড়ে যাবে। যার ফলে মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা গুলো পূরণ করার জন্য তাদের অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। যতদিন পর্যন্ত করোনার কোন কার্যকরী টিকা আবিষ্কার না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল প্রকার কাজ করার জন্য অন্যকে উৎসাহিত করতে হবে এবং নিজেকে সচেতন থাকতে হবে। করোনার থেকে বাঁচার জন্য এবং আক্রান্ত হাত থেকে বাঁচার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO এর নির্দেশিকা পরিপূর্ণভাবে আমাদেরকে মেনে চলতে হবে। পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আমরা করোনার হাত থেকে অনেকটা রেহাই পেতে পারি। কিছুক্ষণ পর পর সাবান পানিতে হাত ধোয়া হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা ফেস মাস্ক ব্যবহার করা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা করোনার সংক্রমণ হতে নিজেকে রক্ষা করতে পারি।