আপনি জানেন কি পৃথিবীর বুকে এমন একটি জায়গা আছে যেখানে পুরুষের যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। আমরা সাধারণত কোথাও যাওয়ার বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নারীদেরই দেখে থাকি । আমাদের সমাজ ব্যাবস্থা মূলত পুরুষতান্ত্রিক তাই পৃথিবীর যে কোনো স্থানে যেকোনো জায়গায় পুরুষের অবাধ চলাচল থাকলেও নারীদের ক্ষেত্রে এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে শুধুমাত্র পুরুষ যেতে পারে। যে সকল স্থানে নারীরা যেতে পারে সে সকল জায়গায় পুরুষরা অবাধে চলাফেরা করতে পারে এটাই নিয়ম। কিন্তু এমন একটি জায়গা আছে যেখানে শুধুমাত্র নারীরাই যেতে পারে পুরুষদের যাবার ক্ষেত্রে নেই কোন অনুমতি।
পৃথিবীর বুকে এমনও এক দ্বীপ রয়েছে, যেখানে পুরুষ প্রবেশ নিষেধ! একটা গোটা দ্বীপে পা রাখতে পারেন না কোনও পুরুষ। একমাত্র মহিলাদেরই যাওয়ার ছাড়পত্র রয়েছে অত্যাশ্চর্য ওই দ্বীপে কিন্তু কেন কোনও পুরুষ যেতে পারে না ওই দ্বীপে? এমন কী রহস্য আছে ওই জায়গায়, যে পুরুষদের পক্ষে সেই দ্বীপে যাওয়া বিপজ্জনক? তাহলে কি পুরুষরা গেলে সেখানে তাদের কোন ক্ষতি হবে। অথবা কোন বিপদ। না, আদতে ওই দ্বীপে ভয়ঙ্কর কিছুই নেই । লুকিয়ে নেই কোনও রহস্যও। নাম আইল্যান্ড। দ্বীপটির সুপারসি ফিনল্যান্ডের কাছে বাল্টিক সাগরের বুকে অবস্থিত এই দ্বীপ। Read in English
শুধুই মেয়েদের দ্বীপ
আর গোটা দ্বীপটিই (৮.৪৭ একর) সম্প্রতি কিনে নিয়েছেন মার্কিন এক মহিলা ব্যবসায়ী, যার নাম ক্রিস্টিনা রথ । আর তিনিই ওই দ্বীপে পুরুষ প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। তাহলে কি পুরুষদের প্রতি তার কোন রাগ অভিমান আছে নাকি তাদের তিনি সহ্য করতে পারেন না। আসল বিষয়টি তেমন নয় তিনি সবসময় চাইতেন নারীদের জন্য আলাদা একটি জায়গার সৃষ্টি করতে সেখানে একটি নারী সকল কিছু ভুলে অবাধে চলাফেরা করতে পারবে। যেখানে তাকে কোন শাসন বারণ এর পরোয়া করা লাগবেনা। একটা নারী তার পরিবার কর্মস্থল থেকে যখন হাঁপিয়ে উঠবে তখন যেন নিজেকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে পারে যে স্থানে একটা নারী শুধুমাত্র সে নিজেকে খুঁজে পাবে।
তার এই কল্পনা থেকেই তিনি দ্বীপটি কিনে ফেলেন এবং শুধুমাত্র উন্মুক্ত করে দেন নারীদের জন্য। উন্মুক্ত বলতে সম্পূর্ন ফ্রি নয়। এর জন্য আপনাকে গুনতে হবে মোটা অংকের টাকা আপনি আপনার প্রশান্তি খুঁজতে যাবেন আর সেই ক্ষেত্রে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে না এমন তো হতে পারে না।
বাল্টিক সাগরের বুকে মেয়েদের দ্বীপ
আসলেক্রিস্টিনা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্যই এমন একটা জায়গা তৈরি করতে চেয়েছিলেন, যেখানে গিয়ে তারা সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। ওই দ্বীপে গিয়ে তারা দৈনন্দিন জীবন থেকে দূরে গিয়ে নিজেদের ফিটনেস, নিউট্রিশনের দিকে ধ্যান দিতে পারবেন। সেই জন্য রথ ওই দ্বীপে একটি রিসোর্ট গড়ে তুলছেন। সেখানে ৪টি বড় বড় কেবিন আছে এবং প্রতি কেবিনে ১০ জন করে মহিলা থাকতে পারবেন। রয়েছে স্পা, সওনা বাথের ব্যবস্থা। এর জন্য জনপ্রতি পাঁচদিনের খরচ দুই থেকে চার লক্ষ টাকা। তবে স্রেফ টাকা দিলেই ওই দ্বীপে যাওয়ার অনুমতি মিলবে না। এর জন্য বহুদিন আগে থেকে বুকিং করাতে হয় । তারপর হয় ইন্টারভিউ। সেই ইন্টারভিউ ক্লিয়ার করলে তবেই মিলবে ওই দ্বীপে যাওয়ার অনুমতি।
সুতরাং সবকিছু লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে যে পুরুষরা যেসকল জায়গায় যাওয়ার অনুমতি পাবে তেমনটা কিন্তু নয়। নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় সে তার স্বামীর সাথে বা সন্তানের সাথে যে কোন স্থানে যেতে পারে। কোনো অনুষ্ঠান বা কোন পার্টিতে গেলে তার স্বামীর সাথে যেতে হয় এক্ষেত্রে অনেক পার্টিতে তার স্বামী একা গেলেও স্ত্রী বা মেয়ে কিন্তু সকল পার্টিতে যাবার অনুমতি পায় না। তাই এখন স্ত্রী বা মেয়ে আপনাকে বলতে পারে এমন জায়গা আছে যেখানে তোমার যাবার অনুমতি নেই শুধুমাত্র আমরা মা মেয়ে যেতে পারবো।