Tag: দেশ

রাজশাহীকে গ্রীন সিটি কেন বলা হয়?

রাজশাহীকে গ্রীন সিটি কেন বলা হয় : বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীন একটি নগরী হল রাজশাহী। উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় শহর রাজশাহী পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। রাজশাহী শহর বেশকিছু পণ্যের জন্য বিখ্যাত। রাজশাহী সিল্কের নাম কিনা শুনেছে। এছাড়াও রাজশাহী আকর্ষণীয় রেশমি বস্ত্র, আম, লিচু এবং মিষ্টান্ন সামগ্রীর জন্য সবার নিকট অধিক পরিচিত। রাজশাহী শহর এবং তার আশেপাশে কিছু বিখ্যাত স্থাপনা রয়েছে। বাংলাদেশের সকল শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহী সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন এবং সবুজ শহর। Read in English

রাজশাহী শহরকে অনেকগুলো নামে ডাকা হয়। কখনো কখনো রাজশাহীকে বলা হয় রেশমি নগরী, কখনো রাজশাহী শহরের নাম হয়ে ওঠে সিল্কসিটি, কখনো বা রাজশাহী কে শিক্ষানগরী বলে ডাকা হয়। রাজশাহী নগরীর আরো একটি নাম রয়েছে যা তাকে শুধুমাত্র দেশে নয় সারা বিশ্বের নিকট পরিচিত করেছে সেটি হল গ্রীন সিটি। সারা বিশ্বের সবচেয়ে পরিষ্কার এবং বায়ু দূষণ মুক্ত শহরগুলোর মধ্যে সর্ব প্রথমে রয়েছে রাজশাহী শহর। আমাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাকে জানাবো রাজশাহীকে গ্রীন সিটি কেন বলা হয়। 

রাজশাহী জেলার নামকরণ

প্রাচী শব্দটি বিশ্লেষণ করলে দুটি ভিন্ন ভাষার অর্থবোধক শব্দ সংযোজক দেখা যায়। সংস্কৃত ভাষার শব্দ রাজ এবং ফারসি শব্দ শাহ যুক্ত হয়ে রাজশাহী শব্দটি তৈরি হয়েছে। উভয় শব্দের অর্থ বাদশাহ ও বাদশাহ। বাংলা ভাষায় যেমন আমরা একই সাথে একই অর্থের শব্দ উচ্চারণ করে থাকে তেমনি ভাবে হয়তো আছে শব্দটি তৈরি হয়েছে। যেমনভাবে অনেক ক্ষেত্রে আমরা বলে থাকি ভুল ত্রুটি, বিপদ আপদ, ধারদেনা ইত্যাদি। দুইটি শব্দের অর্থ কিন্তু এক ঠিক তেমনিভাবে যাচ্ছে শব্দটিও হয়তো এসেছে। রাজশাহীকে গ্রীন সিটি কেন বলা হয়। 

রাজশাহীকে গ্রীন সিটি কেন বলা হয়
রাজশাহী শহর

বলা হয়ে থাকে এখানে বহু রাজা জমিদারের বসবাস ছিল বলেই এর নাম রাখা হয় রাজশাহী।

রাজশাহীকে গ্রীন সিটি কেন বলা হয়

রাজশাহী শহর বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী একটি জেলা। পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত এই জেলাটি চারপাশে সবুজ দিয়ে ঘেরা। রাজশাহী জেলার উত্তরে রয়েছে নওগাঁ জেলা। পূর্বে নাটোর পশ্চিমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা এবং দক্ষিনে রয়েছে পদ্মা নদী। রাজশাহী শহরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আম গাছ। আমের জন্য রাজশাহী জেলা বিখ্যাত। মূলত আমাদের আজকের এই আলোচনার মূল বিষয় হল রাজশাহীকে ক্লিন সিটি কেন বলা হয়। রাজশাহীকে গ্রীন সিটি বলার কারণ সমূহ নিয়েই আজকের আলোচনা করছি। রাজশাহী জেলার পরিচয় এবং অবস্থান সম্পর্কে কিছু তথ্য আমরা জানলাম। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় আসা যাক। রাজশাহীকে গ্রীন সিটি কেন বলা হয়। 

গ্রীন সিটি রাজশাহী

রাজশাহীকে সবুজ নগরী বলে ডাকা হয়। বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সকল শহর থেকে রাজশাহী শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা কম। এই শহর পরিষ্কার। বাংলাদেশ বা বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে তখন বিশ্বের অনন্য এক স্বীকৃতি পেয়েছেন আছে শহর। এই শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা মাত্র ৬৭.০১% । রাজশাহীকে গ্রীন সিটি কেন বলা হয় । 

রাজশাহী শহরের অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে পরিবেশ দূষণ হতে পারে না।

বিশ্বের অন্যতম পরিষ্কার শহর গুলোর মধ্যে রাজশাহী একটি। সিটি কর্পোরেশনের দক্ষ পরিচালনার জন্য যেকোনো ময়লা-আবর্জনা নিমিষের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছানো হয়। যার ফলে এই ময়লা-আবর্জনা কোন শহরের বাতাসকে দূষিত করতে পারে না। আপনি রাজশাহী শহরের অভ্যন্তরে কোথাও ময়লা আবর্জনার স্তুপ দেখতে পাবেন না। যদিও কখনো ময়লা আবর্জনার স্তুপ রাখা হয় তবে নির্ধারিত সময়ের পূর্বে তারা সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয়। রাজশাহীকে গ্রীন সিটি কেন বলা হয় ।

Why-Rajshahi-is-called-Green-City
সবুজ রাজশাহী শহর

এই দক্ষ পরিচালনা এবং নিয়ম-কানুন মানার ফলে রাজশাহীকে গ্রীন সিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।

পরিষ্কার শহর রাজশাহী

রাজশাহী শহর এর চারপাশ সবুজে ঘেরা। রাজশাহী শহর থেকে বাইরে বের হলেই চারপাশে নজরে আসবে বড় বড় আমের বাগান। এই আমের বাগান গুলো যেন শেষ হতে চায় না। রাজশাহীকে গ্রীন সিটি হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই আমবাগান গুলোর ভূমিকা অনেক। রাজশাহীর আম দেশ বিখ্যাত। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমের চাষ হলেও রাজশাহীর আমের একটা আলাদা সুনাম রয়েছে। এই আম স্বাদে-গুনে অনন্য। রাজশাহী শহর কে বিখ্যাত করে তুলেছে যে সকল পণ্য গুলো তার মধ্যে এই জেলার আম অন্যতম। রাজশাহীকে গ্রীন সিটি কেন বলা হয়।

উপসংহার

রাজশাহীকে গ্রীন সিটি কেন বলা হয় এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্যই আমরা আজকে আলোচনাটি সাজিয়েছিলাম। আশা করি আমরা আপনাকে এই প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে পেরেছি। আমাদের প্রশ্নের উত্তর থেকে অবশ্যই আপনারা উপকৃত হয়েছেন। কাশী শহর সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সমূহ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে জানিয়েছি। রাজশাহীকে গ্রীন সিটি কেন বলা হয় এই প্রশ্নের উত্তর যেমন আপনারা আমাদের আজকের এই আলোচনা থেকে জানতে পারলেন তেমনি রাজশাহীর আরো সকল তথ্য সমূহ জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

বাংলাদেশের যে কোন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন। আলোচনার কোনো অংশে বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই আপনারা কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের যেকোনো বিষয়ে সর্বাত্মক সাহায্য করার চেষ্টা করব।

রাজশাহীর সেরা ৫ সরকারি কলেজ

রাজশাহীর সেরা ৫ সরকারি কলেজ: রাজশাহী শহর সংক্রান্ত আরও একটি নিবন্ধে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা রাজশাহীর সরকারি কলেজ সমূহের নাম ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। রাজশাহী বাংলাদেশের অতি প্রাচীন শহর গুলোর মধ্যে অন্যতম। Read in English

উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী শহরে অবস্থিত। প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। রাজশাহী শহরে অবস্থিত দেশের সেরা কলেজ। বরাবর দেশ সেরা কলেজ হয়ে আসছে রাজশাহী কলেজ।

রাজশাহী কলেজ ছাড়াও এই শহরে আরো সরকারি কলেজ রয়েছে। আমরা আমাদের আজকের এই নিবন্ধে আপনাকে সেই কলেজগুলো সম্পর্কে জানাবো। তাই আপনি যদি রাজশাহী শহরে অবস্থিত সরকারি কলেজগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই প্রতিবেদনটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

রাজশাহীর সেরা ৫ সরকারি কলেজ

এসএসসি উত্তীর্ণ হবার পর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনের সময় শিক্ষার্থীরা শহরের সরকারি কলেজ গুলোর খোজ করে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের সকল সরকারি কলেজগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা থাকে না। আশাকরি আমাদের এই প্রতিবেদন থেকে তাদের উপকার হবে। আমাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা রাজশাহী শহরে অবস্থিত বা রাজশাহীর সেরা ৫ সরকারি কলেজ সমূহের নাম ও পরিচয় প্রদান করেছি। 

রাজশাহী শহরে মোট ১১ টি সরকারি কলেজ রয়েছে। আমাদের আজকের এই নিবন্ধ থেকে আপনারা সকল কলেজের নাম এবং তাদের পরিচয় জানতে পারবেন। এই তথ্যগুলো থেকে আপনি সহজেই আপনার পছন্দের কলেজ টি সিলেক্ট করতে পারবেন। অথবা আপনি অন্য কোনো প্রয়োজনে কলেজের লিস্ট সমূহ জানতে চাইলে সহজেই তা জেনে নিতে পারবেন। রাজশাহী শহরের সরকারি ১১ টি কলেজ হলো-

  • রাজশাহী কলেজ
  • রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ
  • নিউ গভ: ডিগ্রী কলেজ
  • রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ
  • রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ
  • শহীদ এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান সরকারি ডিগ্রি কলেজ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজ
  • রাজশাহী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ
  • রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল ও কলেজ
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ এবং
  • বরেন্দ্র কলেজ রাজশাহী।

রাজশাহী সরকারি ১১ টি কলেজের লিস্ট উপরে প্রদান করা হলো। এখন আমরা রাজশাহী শহরের সেরা কয়েকটি সরকারি কলেজের বিস্তারিত তথ্য জানবো। রাজশাহীর সেরা ৫ সরকারি কলেজ। 

রাজশাহী কলেজ

শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রাজশাহী কলেজ রাজশাহী শহরের অন্যতম প্রধান একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজশাহী শহরের সবচেয়ে প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল রাজশাহী কলেজ। ১৮৭৩ সালে রাজশাহী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা কলেজ এবং চট্টগ্রাম কলেজের পরে রাজশাহী কলেজ দেশের তৃতীয় প্রাচীনতম কলেজ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ৬৮৫ কলেজের মধ্যে রাজশাহী কলেজ বাংলাদেশের সেরা। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম রাজশাহী কলেজ থেকেই মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করা শুরু হয়।

রাজশাহীর সেরা ৫ সরকারি কলেজ
রাজশাহী কলেজ

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজ এর জাতীয়করণ হয় ১৯৮২ সালে। রাজশাহী শহরের অন্যতম সরকারি কলেজ গুলোর মধ্যে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে একটি। রাজশাহী সিটি কলেজ মোট ১৪ টি বিভাগে স্নাতক সম্মান ডিগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়াও মোট ১২০০ টি আসলে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করে।

নিউ গভ: ডিগ্রী কলেজ

রাজশাহী নিউ গভ: ডিগ্রী কলেজ ১৯৬৬ সালে কাজিহাটা এলাকায় (জেলখানা মাঠের বিপরীতে) প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয় এই কলেজ থেকে। বর্তমানে রাজশাহী শহরের অন্যতম প্রধান একটি কলেজ হল নিউ গভ: ডিগ্রী কলেজ । এছাড়াও দেশের সেরা কলেজ গুলোর মধ্যে নিউ গভ: ডিগ্রী কলেজ অন্যতম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সেরা কলেজ গুলোর মধ্যে সামনের দিকে অবস্থান করে নিউ গভ: ডিগ্রী কলেজ টি। বর্তমানে এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় সূত্রটি বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ে ১৫ টি এবং অনার্স পর্যায়ে ৭ টি বিষয় অধ্যায়নের সুযোগ রয়েছে।

রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ

রাজশাহীর আরো একটি অন্যতম প্রধান সরকারি কলেজ হল রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ। রাজশাহী জেলার মেয়েদের জন্য একমাত্র সরকারি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হল রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ। তবে এই কলেজে রাজশাহী জেলার মেয়েদের চেয়ে জেলার বাইরের মেয়েদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ১৯৬২ সালের ২৫ এপ্রিল রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় রাজশাহীর কিছু বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি উদ্যোগে ও জনসাধারণের আর্থিক সহায়তায় এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাজশাহী জেলার মেয়েদের জন্য আদর্শ একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হল রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ।

Rajshahi-Government-Women-s-College

রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ

রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে। পূর্ব বাংলায় ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে উইলিয়াম বেন্টিং এর উৎসাহ প্রদানের ফলে বাউলিয়া ইংলিশ স্কুল নামে সর্বপ্রথম এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৮৭৩ সালে এই স্কুলটির নতুন নামকরণ করা হয় কলেজিয়েট স্কুল।

রাজশাহী শহরের সকল সরকারি কলেজ সমূহের লিস্ট এবং রাজশাহীর সেরা ৫ সরকারি কলেজ এর বিস্তারিত তথ্য আমাদের আজকের এই আলোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করি আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সমূহ আমাদের আজকের এই আলোচনা থেকে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আলোচনা সম্পর্কিত কোন তথ্য বুঝতে সমস্যা হলে অথবা এ সংক্রান্ত আরো তথ্য জানতে চাইলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন পোস্টের শেষে। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর 10 টি শহর

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর 10 টি শহর: বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট একটি রাষ্ট্র। রূপে গুণে অনন্যা এই দেশ। ছোট্ট এই দেশে রয়েছে অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর ছোট ছোট শহর। আজ আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাদের সামনে বাংলাদেশের সেরা শহর এর তালিকা তৈরি করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশের সেরা শহর কোনগুলো সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আজ আমরা জানাবো। আপনি যদি বাংলাদেশের সেরা শহর সম্পর্কে প্রতিবেদন জানতে আগ্রহী হন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। Read in English

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর 10 টি শহর নিয়ে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি সাজানো হয়েছে। বাংলাদেশের ছোট ছোট সুন্দর শহর গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনি আজকে জানতে পারবেন। আর আপনাকে সেরা শহর সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আলোচনার প্রতিটি অংশ মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তাহলে চলুন আমাদের আজকের আলোচনা শুরু করে নেয়া যাক। এবং বাংলাদেশের সেরা শহর সম্পর্কে তথ্য জেনে নেয়া যাক।

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর 10 টি শহর

শহরকে ঘিরেই যুগ , সমাজ আবর্তিত হতে থাকে। বর্তমানে জীবনব্যবস্থা পুরোটাই শহরকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। ছুটির সময়ে সবাই গ্রামে ঘুরতে গেলেও জীবনযাপনের সুবিধার জন্য শহরকেই প্রতিদিনের বসবাসযোগ্য করে তুলছে। দেশের গ্রামাঞ্চল এবং পাহাড়ি এলাকার সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই ছোট ছোট সুন্দর শহর গুলো তার মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমাদের আজকের এই আয়োজনে আমরা বিশেষ সুন্দর সুন্দর দশটি শহর নিয়ে তথ্য উল্লেখ করেছি। নিচে এই তথ্যগুলো জেনে নিন।

রাজশাহী শহর: সুন্দর শহর বর্ণ করতে গেলে প্রথমে যে শহরটির নাম আসে সেটি হল রাজশাহী শহর। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর শহর হিসেবে রাজশাহী সুনাম পুরো বিশ্ব জুড়ে। রাজশাহী শহরকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। কখনো কখনো কাছে শহরকে বলা হয় গ্রীন সিটি বা সবুজ নগরী, কখনও আবার রাজশাহী কে সিল্কসিটি নামে ডাকা হয়, আবার কখনো রাজশাহী শহরের নাম হয়ে ওঠে শিক্ষা নগরী। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর মতে রাজশাহী শহরের বায়ু দূষণ 67.2 শতাংশ এর চেয়ে ও কম। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর 10 টি শহর

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর 10 টি শহর

সিলেট শহর: সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত সিলেট শহর কে আমাদের আজকের সেরা 10 শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রাখা হয়েছে। সিলেট শহরের চারপাশে অবস্থিত পাহাড়, নদী, চা বাগান ও জলপ্রপাতের সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণের স্থান।

ঠাকুরগাঁও শহর: প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ও নদীর জন্য ঠাকুরগাঁও শহর অনেক বিখ্যাত। ব্রিটিশ আমলে কোন এক ঠাকুর পরিবারের প্রচেষ্টায় বর্তমান পৌরসভার কাছাকাছি এই শহরটি প্রতিষ্ঠা হয়। সেই পরিবারের নাম অনুসারেই এই শহরের নাম রাখা হয় ঠাকুরগাঁও। আঠারো শতকের তৈরি অনেক পুরনো মন্দির রয়েছে এ ঠাকুরগাঁও শহরে।

পাহাড়পুর শহর: রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার ছোট্ট একটি স্থান পাহাড়পুর। বৌদ্ধবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার যা ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অংশ। পাহাড়পুর শহরের বৌদ্ধ বিহারটি এই শহরের সৌন্দর্য অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর 10 টি শহর

কমলগঞ্জ শহর: মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত সুন্দর একটি শহর হল কমলগঞ্জ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি এই কমল গঞ্জ শহর। এই শহরের পাশে অবস্থিত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, নয়নাভিরাম চা বাগানের জন্য শহরটি বিখ্যাত। আমাদের আজকের এই তালিকায় ছোট এই শহরের অবস্থান পঞ্চম।

মেহেরপুর শহর: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী ও দেশের সবচেয়ে ছোট একটি জেলা হল মেহেরপুর। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই গ্রামেই বাংলাদেশের প্রথম সরকারের মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করে। সুন্দরী শহরটি আমাদের আজকের এই তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর 10 টি শহর

সোনারগাঁও শহর: বাংলাদেশের আরও একটি সুন্দর শহর হলো সোনারগাঁও। সোনাবিবির মাজার, পাঁচ বিবির মাজার সহ নানা স্থাপনা এলাকায় দেখা যায়। সুন্দর এই শহরে স্থান আমাদের তালিকায় সপ্তম।

10-Most-Beautiful-Cities-in-Bangladesh

কক্সবাজার শহর: বিশ্বের সবথেকে বড় সমুদ্র সৈকত এর সহরে কক্সবাজার। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে কি গড়ে ওঠা এই শহরটি পর্যটকদের নিকট অনেক আকর্ষণীয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শহর হল কক্সবাজার। শুধুমাত্র দেশি পর্যটক দেরি নয় অনেক বিদেশি পর্যটকদের ও আকর্ষণের মূল কেন্দ্র হয়ে আছে কক্সবাজার।

বাগেরহাট শহর: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত শান্তিপূর্ণ ঐতিহাসিক শহর হল বাগেরহাট। ১৫ শতকে সুফি সাধক খানজাহান আলীর মাজার ও ষাট গম্বুজ মসজিদ রয়েছে বাগেরহাট শহরে। অনেক পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু স্থাপনাগুলো জন্য বাগেরহাট শহর বিখ্যাত। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর 10 টি শহর

ময়মনসিংহ শহর: ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত ময়মনসিংহ শহর বাংলাদেশের অনেক পুরাতন একটি শহর। এই শহরটি আমাদের আজকের তালিকায় দশম স্থানে অবস্থান করছে। ময়মনসিংহ এর রয়েছে সাংস্কৃতিক ঐতিহাসিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যা দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নজর কাড়তে পারে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর 10 টি শহর গুলো নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আমরা আজকের এই প্রতিবেদনে জানিয়েছি। আমরা আশা করছি আমাদের প্রকাশিত এই তথ্যগুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন এবং তা আপনাদের উপকারে এসেছে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা সকল তথ্য সুন্দর ভাবে সহজ ভাষায় প্রকাশ করেছি। আলোচনার কোন অংশে বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের সকল সমস্যার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করব। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার : বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় প্রাচীন এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও স্থাপনা। এসব স্থাপনা ও স্থানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার অন্যতম। বর্তমানে এই স্থানটি ঘুরে দেখার জন্য প্রতিদিনই দেশবিদেশ থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় জমায়। অথচ এক সময় কালে গর্তে হারিয়ে গিয়েছিল এই বৌদ্ধ বিহারটি। প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার অন্যতম নিদর্শন পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ ও ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ইতিহাস থেকে শুরু করে ধ্বংসাবশেষ পুনরুদ্ধার ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। Read in English

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার এর অবস্থান ও ইতিহাস

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বৌদ্ধ বিহার হিসেবে খ্যাত সোমপুর বিহার, সোমনাথ বিহার, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার নামে সুপরিচিত। এই বৌদ্ধ বিহারটি নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর নামক ইউনিয়নে অবস্থিত বর্তমানে একাধিক নামে ডাকা হলেও সোমপুর বিহারে এটি প্রাচীন নাম ছিল বলে জানা যায়। পাল বংশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজা ধর্মপাল অষ্টম শতাব্দীর শেষের দিকে কিংবা নবম শতাব্দীর প্রথমদিকে এই প্রতিষ্ঠা করেন বলে অনুমান করা হয়। তবে তার পুত্র দেবপাল নির্মাণ করেছিলেন বলেও লোকমুখে কথিত রয়েছে। তবে ধর্মপাল কিংবা দেবপাল যেই নির্মাণ করে থাকুক না কেন এটি পাল রাজাদের তারাই নির্মিত হয়েছিল এই বিষয়ে কোন মতভেদ নেই।

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার

প্রায় ৩০০ বছর ব্যাপী এই বৌদ্ধ বিহারটি বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় প্রাণকেন্দ্র হিসেবে টিকে ছিল। তখনকার সময়ে চীন, তিব্বত, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া সহ বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধরা ধর্মচর্চা ও ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের জন্য এখানে আসতেন। অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান খ্রিস্টীয় দশম শতকে এই বিহারের আচার্য ছিলেন বলে মনে করা হয়। সোমপুর বিহার টি হঠাৎ করেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয় পাল বংশের পর এই উপমহাদেশে হিন্দু রাজাদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে আস্তে আস্তে এই বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধদের আনাগোনা কমতে থাকে ধীরে ধীরে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার এর মূল মন্দিরের উপর মাটি জমা হতে থাকে এবং গাছপালা ও জন্ম নিতে থাকে আর এভাবে দেখতে অনেকটা পাহাড়ের মতো উঁচু হয়ে যায়। ফলে জনগণের কাছে পাহাড় বলে মনে হতো আর এর থেকে এই স্থানের নাম পাহাড়পুর হিসেবে পরিচিত।

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার

দীর্ঘ ৬০০ বছর মাটিচাপা থাকার পর হাজার উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এই ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায় এরপর ১৮৭৯ সালে আলেকজান্ডার কানিংহাম এই স্থান পরিদর্শন করতে আসে এখানে খনন কার্য পরিচালনা চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয়দের বাধার মুখে ব্যর্থ হয়ে যান। পরবর্তীতে ব্রিটিশ ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে কিছুটা খনন কার্য পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। তারপর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আশির দশকে এখানে পুরোদমে খনন কার্য পরিচালনা করা হয় এবং পুরুষ সম্পূর্ণরূপে জনগণের কাছে উন্মোচন করা হয়। কালের গর্তে হারিয়ে যাওয়া এই বৃহৎ ও প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারটি।

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার

অভ্যন্তরীণ বর্ণনা ও বর্তমান সৌন্দর্য

প্রায় ২৭ এপ্রিল আকাশ জুড়ে অবস্থিত সোমপুর বিহার দিতে ১৭৭ টি কক্ষ রয়েছে এবং মাঝে রয়েছে বিখ্যাত মূল মন্দিরটি এই মন্দির কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে চতুর্ভুজাকৃতির এসব ভিক্ষুকরা অবস্থান করতেন বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্দিরের উচ্চতা প্রায় ৩০ মিটার এর চেয়েও বেশি ছিল বলে ধারণা করা হয় স্থানীয়দের ধারণা অনুযায়ী আশির দশকে যখন করা হয়েছিল তখন ও উচ্চতা আর একটু বেশি ছিল।

এই মন্দিরের দেয়ালে টেরাকোটার কাজ করা ছিল এখনও বিদ্যমান আছে কেন্দ্রীয় মন্দির এগুলো ছাড়াও স্নানাগার শৌচাগার সন্ধ্যাবতীর ঘাট উন্মুক্ত অঙ্গন সত্যপীরের ভিটা গন্ধেশ্বরী মন্দির ক্ষুদ্রাকৃতির অনেকগুলো ইমারত রন্ধনশালা ভোজনশালা পাকা নর্দমা বিভিন্ন মুহূর্তে ইত্যাদির সমন্বয়ে সম্প্রতি তখনকার সময় অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থাপনা হিসেবে পরিচিত ছিল যার ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান রয়েছে। এই ধ্বংসাবশেষ দেখতেই প্রতিদিন ভিড় করে অসংখ্য দর্শনার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন গবেষক ও গণতান্ত্রিকদের দল।

বর্তমানে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে জাদুঘর বিহার থেকে শুরু করে মন্দির পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে রয়েছে বিভিন্ন ফুলের বাগান যা দর্শকদের সহজেই মোহিত করে আবার দেখতে পাবেন প্রাচীনকালে নির্মিত লাল রঙের ছোট ছোট প্রশ্ন এটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ইতিমধ্যে একটি বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি পরিকল্পনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে।

পাহাড়পুর সংলগ্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত উল্লেখযোগ্য মূর্তি

  • বেলে পাথরের চামুণ্ডা মূর্তি
  • লাল পাথরের দণ্ডায়মান শীতলা মূর্তি
  • কৃষ্ণ পাথরের বিষ্ণুর খণ্ডাংশ
  • কৃষ্ণ পাথরের দণ্ডায়মান গণেশ
  • বেলে পাথরের কীর্তি মূর্তি
  • দুবলহাটির মহারাণীর তৈলচিত্র
  • হরগৌরীর ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তি
  • কৃষ্ণ পাথরের লক্ষ্মী নারায়ণের ভগ্ন মূর্তি
  • কৃষ্ণ পাথরের উমা মূর্তি
  • বেলে পাথরের গৌরী মূর্তি
  • বেলে পাথরের বিষ্ণু মূর্তি
  • নন্দী মূর্তি
  • কৃষ্ণ পাথরের বিষ্ণু মূর্তি
  • সূর্য মূর্তি
  • কৃষ্ণ পাথরের শিবলিঙ্গ
  • বেলে পাথরের মনসা মূর্তি

সোমপুর বিহার নিয়ে বেশকিছু ভিডিও ডকুমেন্টারি নির্মাণ হয়েছে, ২০১৬ সালের ঈদুল আযাহায় চ্যানেল আই তে একটি বিশেষ টেলিফিল্ম রাজিব হাসান এর রচনা ও পরিচালনায় ”চাঁদের শহর” প্রচার হয় যার সম্পূর্ণ গল্প ও চিত্রায়ন সোমপুর বিহারকে ঘিরে ।

ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব ২০২৩

ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হল দেশের কেন্দ্রবিন্দু। দেশের অন্যান্য সকল জেলা শহরের নির্দিষ্ট দূরত্ব নির্ধারণ করা হয় ঢাকা কে কেন্দ্র করে। আমাদের আজকের এই আলোচনায় আমরা ঢাকা থেকে দেশের অন্যান্য ৬৩ জেলার দূরত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ অন্য স্থানে গমন করছেন। ভ্রমণ ছাড়াও বিভিন্ন কাজের মানুষ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গিয়ে থাকেন। Read in English

আমরা যখন দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায় তখন সেই স্থানের নির্দিষ্ট দূরত্ব সম্পর্কে জানতে ইচ্ছা প্রকাশ করি। নির্দিষ্ট দূরত্ব সম্পর্কে জানা থাকলে একটি স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে কতটুকু সময় লাগবে সে ধারণা গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু নির্দিষ্ট দূরত্ব না জানলে কোনভাবেই সেই সময় সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়। তাই আমরা আমাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব (কিলোমিটারে) উল্লেখ করেছি। আপনারা সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ আজকের এই আলোচনা থেকে জেনে নিতে পারবেন। ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব।

আপনি যদি দেশের যেকোনো স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য বের হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই দূরত্ব সম্পর্কে জানার আগ্রহ আসে। ঢাকা থেকে অন্যান্য যে কোন জেলার দূরত্ব জানা থাকলে আপনার নির্দিষ্ট জেলা থেকেও তার দূরত্ব বের করা সম্ভব। আপনি যদি ঢাকা থেকে যে কোন জেলার দূরত্ব সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে আপনার নির্দিষ্ট স্থান থেকে সেই জেলার দূরত্ব বের করতে পারবেন। তাই আপনার যদি এই তথ্য সম্পর্কে জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে আমাদের আজকের এই আলোচনাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি আপনারা সকল তথ্য সমূহ বুঝতে পারবেন।

Distance-From-Dhaka-to-other-Districts-2022

ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব

বছরের বিভিন্ন সময়ে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে ঢাকা জেলা থেকে অসংখ্য মানুষ গন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। প্রতিদিনের যাতায়াতও রয়েছে। যাতায়াতের জন্য সময় নির্ধারণ করতে গেলে ঢাকা জেলা থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। এই ধারণা থাকলে আমাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। ঢাকা জেলা থেকে অন্য জেলায় পৌঁছাতে কতটুকু সময় লাগতে পারে তার আনুমানিক হিসাব আমরা দূরত্ব থেকে বুঝতে পারি। আর সেই হিসাব করতে হলে অবশ্যই আমাদের ঢাকা জেলা থেকে অন্যান্য জেলার নির্দিষ্ট দূরত্ব সম্পর্কে জানতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব সম্পর্কে জানা না থাকলে কোন ভাবেই আমরা আনুমানিক সময় হিসাব করতে পারবোনা। ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব। 

ঢাকা জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াতকারী সকল জনগণের জন্য আমাদের এই নিবন্ধে ঢাকা জেলা থেকে অন্যান্য ৬৩ টি জেলার নির্দিষ্ট দূরত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের আজকের এই নিবন্ধ প্রকাশিত দূরত্ব গুলো গুগল ম্যাপ থেকে হিসাব করা হয়েছে। তাই প্রতিটি দূরত্ব শতভাগ সঠিক হওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করা যাচ্ছে। আমাদের আলোচনায় প্রকাশিত এই দূরত্ব থেকে আপনাদের অনেক সময় বাঁচবে বলে আশা করছি। আপনারা দূরত্ব অনুযায়ী পৌঁছানোর নির্দিষ্ট সময় হিসেব করে যথা সময়ে যাত্রা শুরু করতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবেন।

ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব

তাই কাছে জেলা থেকে অন্যান্য জেলার নির্দিষ্ট দূরত্ব সংক্রান্ত তথ্য জানতে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলেই আপনি খুব সহজে ঢাকা জেলা থেকে অন্যান্য সকল জেলার নির্দিষ্ট দূরত্ব সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ঢাকা থেকে বাকি জেলার দূরত্ব

জেলার নামঢাকা থেকে জেলাগুলোর দূরত্ব
রাজশাহী২৪৫ কি.মি.
সিরাজগঞ্জ১৩১ কি.মি.
পাবনা১৪৬ কি.মি.
বগুড়া১৮৮ কি.মি.
নাটোর২০৫ কি.মি.
জয়পুরহাট২৪৬ কি.মি.
চাপাইনবাবগঞ্জ৩১৪ কি.মি.
নওগা২৩৭ কি.মি.
কুমিল্লা১০৫  কি.মি.
ফেনী১৬১ কি.মি.
বি-বাড়িয়া১০৭ কি.মি.
রাঙ্গামাটি৩০৬ কি.মি.
নোয়াখালী২০১ কি.মি.
চাদপুর১০৯ কি.মি.
লক্ষীপুর১৩৬ কি.মি.
চট্টগ্রাম২৪৯  কি.মি.
কক্সবাজার৩৯৫ কি.মি.
খাগড়াছড়ি২৭০ কি.মি.
বান্দরবান৩২৩ কি.মি.
যশোর২১৮ কি.মি.
সাতক্ষীরা২৬৭ কি.মি.
মেহেরপুর২৬১ কি.মি.
নড়াইল১৫১ কি.মি.
চুয়াডাঙ্গা২৩২ কি.মি.
কুষ্টিয়া২১০ কি.মি.
মাগুরা১৬৭ কি.মি.
খুলনা২২০ কি.মি.
বাগেরহাট২১৫ কি.মি.
ঝিনাইদহ১৯৫ কি.মি.
ঝালকাঠি২০২ কি.মি.
পটুয়াখালী২২৬ কি.মি.
পিরোজপুর২১৫ কি.মি.
বরিশাল১৮২ কি.মি.
ভোলা১৮৭ কি.মি.
বরগুনা২৬৫ কি.মি.
সিলেট২৪০ কি.মি.
মৌলভীবাজার২০৩ কি.মি.
হবিগঞ্জ১৬০ কি.মি.
সুনামগঞ্জ২৬৭ কি.মি.
নরসিংদী৪৯ কি.মি.
গাজীপুর২৭ কি.মি.
শরীয়তপুর৯৮ কি.মি.
নারায়ণগঞ্জ৩০ কি.মি.
টাঙ্গাইল৮৩ কি.মি.
কিশোরগঞ্জ৯৮  কি.মি.
মানিকগঞ্জ৫৫ কি.মি.
মুন্সিগঞ্জ৪৩ কি.মি.
রাজবাড়ি১৪৭ কি.মি.
মাদারীপুর১০৭ কি.মি.
গোপালগঞ্জ১৬০ কি.মি.
ফরিদপুর১২০ কি.মি.
পঞ্চগড়৪২২ কি.মি.
লালমনিরহাট৩৩০ কি.মি.
দিনাজপুর৩২৭ কি.মি.
নীলফামারী৩৪৫ কি.মি.
গাইবান্ধা২৫৯ কি.মি.
ঠাকুরগাঁও৩৮৪ কি.মি.
রংপুর২৯৫ কি.মি.
কুড়িগ্রাম৩৩২ কি.মি.
শেরপুর১৮৬ কি.মি.
ময়মন সিংহ১১২ কি.মি.
জামালপুর১৭১ কি.মি.
নেত্রকোনা১৬৯ কি.মি.

আমাদের ওয়েবসাইটে উপরের আলোচনার মাধ্যমে ঢাকা জেলা শহর থেকে দেশের অন্যান্য ৬৩ জেলার নির্দিষ্ট দূরত্ব করা হয়েছে। আশা করছি আমাদের আজকের নিবন্ধে প্রকাশিত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। আমরা শতভাগ সঠিক দূরত্ব প্রকাশ করেছি। এবং ঢাকা জেলা শহর থেকে অন্যান্য জেলাশহরগুলোর এই দূরত্ব গুগল ম্যাপ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাদের আলোচনায় প্রদত্ত কোন তথ্য যদি কোন প্রকার ভুল থাকে তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। ছোটখাটো ভুল গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব। 

এবং আলোচনার কোনো অংশে বুঝতে সমস্যা হলে অথবা আমাদের আলোচনা সম্পর্কিত আপনার যে কোন মূল্যবান মতামত জানাতে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনার সকল সমস্যা সমাধানের আপ্রাণ চেষ্টা করব এবং আপনার সকল অনুরোধ রাখব। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। শিক্ষা দেশ ও সমসাময়িক বিষয় সম্পর্কিত যে কোন তথ্য জানতে এখনই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে সকল ধরনের তথ্য নিয়মিত ভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।

রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ

রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ : শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজশাহী অনেক এগিয়ে। রাজশাহীতে বেশকিছু সরকারি এবং বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। এই পোস্টে আমরা রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ তুলে ধরব। রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর নাম সমূহ জানতে আলোচনাটি সম্পন্ন পড়ুন। Read in English

রাজশাহীত অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। রাজশাহীর অলিতেগলিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও রাজশাহী পরিবেশ শিক্ষা ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। রাজশাহী সুন্দর মনোরম বৈচিত্র্যময় পরিবেশের পাশাপাশি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক উন্নত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা রাজশাহীতে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে আসে। রাজশাহীতে অনেক সরকারি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। আজ আমরা আলোচনা করব রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ সম্পর্কে। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ। এজন্য আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হয়েছি রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ। আমাদের এই আলোচনাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি জানতে পারবেন রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ এবং এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ সম্পর্কে। তাহলে চলুন বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যায়।

রাজশাহীর সেরা বিরিয়ানি কোথায় পাওয়া যায়?

রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। আমাদের রাজশাহীতেও কিছু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। আজ আমরা এখানে রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ তুলে ধরব। নিচে রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ দেওয়া হল

  • রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল
  • গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, রাজশাহী
  • রাজশাহী শিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
  • পিএন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • হাজী মুহাম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল

রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সমূহ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ

রাজশাহীতে যে সকল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। শুধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নয় রাজশাহীতে সব রকমের শিক্ষাব্যবস্থা খুব উন্নত। এই অংশে আমরা রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরব।

রাজশাহী পদ্মা গার্ডেন। সুন্দর একটি বিকেল কাটানোর জন্য সুন্দর জায়গা

রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল

রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব বাংলায় ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক এর উৎসাহ প্রদানের ফলে বাউলিয়া ইংলিশ স্কুল নামে এটি সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৮৭৩ সালে স্কুলটি এর নতুন নামকরণ করা হয় কলেজিয়েট স্কুল।

রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ

২০০৮ সালে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রথমবার একাদশ শ্রেণি চালু করা হয় এবং এই শ্রেণীতে বিজ্ঞান ব্যবসায় শাখা খোলা হয়। বর্তমানে অসংখ্য শিক্ষার্থী রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি রয়েছে। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের বর্তমান

  • অধ্যক্ষ : . নুরজাহান বেগম।
  • ইমেল : [email protected]
  • টেলিফোন : 0721776347
  • ওয়েবসাইট : www.rcs.edu.bd

গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল রাজশাহী

গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল রাজশাহী বাংলাদেশের একটি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়। যারা সেই শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় অবস্থিত। এটির ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই স্কুলের মত হল শেখার জন্য এসো, সেবার জন্য যাওএখানে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হয়।

রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ

গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল রাজশাহী সীমান্তে অবস্থিত ট্রেনিং কলেজ ভবনের কয়েকটি কক্ষ শুরু করে এবং পরে লক্ষ্মীপুরে নিজস্ব সবুজ চত্বরে স্থানান্তরিত হয়। ক্যাম্পাসে একটি এই চাকরিতে তিনতলা ভবনের সঙ্গে একটি খোলা মাঠ ফুলের বাগান একটি দুই তলা আবাসিক ছাত্রাবাস ব্যায়ামাগার এবং প্রধান শিক্ষকের বাসভবন রয়েছে। গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল রাজশাহীর বর্তমান

  • প্রধান শিক্ষক : আব্দুর রশিদ
  • ওয়েবসাইট : www.rglhs.edu.bd
রাজশাহীর ভালো মানের খাবার হোটেল কোনটি

শিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

হাজার ১৯৬৭ সালের ১ই জানুয়ারি হযরত শাহ মখদুম (.) এর পুণ্য স্মৃতি বিজড়িত পদ্মাবিধৌত রাজশাহীর ঘনবসতিপূর্ণ শিরোইল মহল্লায় শিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশের হাতে গোনা যে কয়টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় জন্মগতভাবে সরকারি তাদের মধ্যেও শিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অন্যতম।

রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ

শিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর অবস্থান শিরোইল মহল্লার ঘোড়ামারা ডাকঘরের বোয়ালিয়া থানার রাজশাহী জেলায় অবস্থিত। শিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ৯৫৭ জন। শিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান

  • ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক : শিশিরকুমার উপাধ্যায়
  • ওয়েবসাইট : www.sghs.edu.bd
রাজশাহী জেলার মোট উপজেলা, পৌরসভা ও পোস্ট অফিস

পিএন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

সরকারি প্রমথ নাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রাজশাহীর অন্যতম একটি প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টি পিএন গার্লস স্কুল নামে স্থানীয় ভাবে পরিচিত। আজ থেকে দেড়শ বছর পূর্বে প্রমথ নাথ রায় ১৯৬১ সালে এই স্কুলের জন্য ছয় হাজার রুপি দান করেন।

রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ

তার নাম অনুসারে এই স্কুলের নাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বাংলাদেশের স্কুলের মধ্যে এটি একটি। পিএন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর বর্তমান

  • অধ্যক্ষ : তৌহিদ আরা
  • ওয়েবসাইট: www.pn.edu.bd

রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৭ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি আলহাজ্ব এতিমন নেছা, মিসেস মমতাজ জাহান, অশ্বিনী কুমার সাহা ও হাসিনা রহমান এই চারজন মিলে শিক্ষা প্রদান শুরু করে। 

রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ

১৯৬৮ সালে প্রথম একাডেমিক ভবনে ক্লাস শুরু হয় এর পূর্বে প্রধান শিক্ষিকার বাসভবনে ক্লাস হত। সেই সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর বর্তমান

  • অধ্যক্ষ: তৌহিদ আরা
  • ওয়েবসাইট:
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়

হাজী মুহাম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রাজশাহী শহরে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক অবস্থায় মাদ্রাসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বর্তমানে নাম পরিবর্তন করে হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণ করা হয়েছে।

রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ

১৮৭৪ সালে প্রাচীন ভারতের মুসলিম শিক্ষার প্রসারের জন্য রাজশাহীতেই সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত করা হয় রাজশাহী মাদ্রাসা বর্তমানে হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিত। হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫০+

হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর বর্তমান প্রধান শিক্ষক : মোশতাক হাবিব। ওয়েবসাইট : www.rajmohsin.edu.bd

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল ও কলেজ

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল ও কলেজ বোয়ালিয়া থানা রাজশাহী বাংলাদেশের একটি সরকারি কলেজ । এই কলেজটি “রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কলেজ” নামে পরিচিত। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ শ্রেণীকক্ষ, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার এবং সাধারণ কক্ষ রয়েছে। কলেজ রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে মুক্ত ফলে কলেজটি জেলার অন্যতম কলেজের স্বীকৃতি পেয়েছে।

আমাদের আজকের আলোচনায় আমরা দেখেছি রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সমূহ এবং সংক্ষিপ্ত কিছু ধারনা। এরকম আরও তথ্য জানতে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান।

রাজশাহী থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব ২০২৩

রাজশাহী থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব: রাজশাহী থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে আজকের এই নিবন্ধটি সাজানো হয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময় নানা প্রয়োজনে রাজশাহী শহর থেকে দেশের অন্যান্য জেলা শহরে ভ্রমণ করে থাকি। বেড়াতে যাওয়া উদ্দেশ্য ছাড়াও বিভিন্ন কাজে আমরা অনেক জেলাসমূহে যায়। বিভিন্ন জেলাতে যাওয়ার সময় আমরা রাজশাহী জেলা থেকে অন্য জেলার দূরত্ব সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকি। আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আমরা রাজশাহী থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব (কিলোমিটারে) জানাবো। Read in English

আপনি যদি রাজশাহী থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বা রাজশাহী থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আলোচনাটি আপনার উপকারে আসবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে আজকের এই আলোচনার সম্পূর্ণ পড়তে হবে। শুধুমাত্র তাহলেই আপনি এ সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

রাজশাহীর সেরা বিরিয়ানি কোথায় পাওয়া যায়?

রাজশাহী থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব

বছরের বিভিন্ন সময়ে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে রাজশাহী জেলা থেকে অসংখ্য মানুষ গন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। প্রতিদিনের যাতায়াতও রয়েছে। যাতায়াতের জন্য সময় নির্ধারণ করতে গেলে রাজশাহী জেলা থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। এই ধারণা থাকলে আমাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। রাজশাহী জেলা থেকে অন্য জেলায় পৌঁছাতে কতটুকু সময় লাগতে পারে তার আনুমানিক হিসাব আমরা দূরত্ব থেকে বুঝতে পারি। আর সেই হিসাব করতে হলে অবশ্যই আমাদের রাজশাহী জেলা থেকে অন্যান্য জেলার নির্দিষ্ট দূরত্ব সম্পর্কে জানতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব সম্পর্কে জানা না থাকলে কোন ভাবেই আমরা আনুমানিক সময় হিসাব করতে পারবোনা।

রাজশাহী থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব

রাজশাহী জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াতকারী সকল জনগণের জন্য আমাদের এই নিবন্ধে রাজশাহী জেলা থেকে অন্যান্য ৬৩ টি জেলার নির্দিষ্ট দূরত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের আজকের এই নিবন্ধ প্রকাশিত দূরত্ব গুলো গুগল ম্যাপ থেকে হিসাব করা হয়েছে। তাই প্রতিটি দূরত্ব শতভাগ সঠিক হওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করা যাচ্ছে। আমাদের আলোচনায় প্রকাশিত এই দূরত্ব থেকে আপনাদের অনেক সময় বাঁচবে বলে আশা করছি। আপনারা দূরত্ব অনুযায়ী পৌঁছানোর নির্দিষ্ট সময় হিসেব করে যথা সময়ে যাত্রা শুরু করতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবেন।

রাজশাহী পদ্মা গার্ডেন। সুন্দর একটি বিকেল কাটানোর জন্য সুন্দর জায়গা

তাই কাছে জেলা থেকে অন্যান্য জেলার নির্দিষ্ট দূরত্ব সংক্রান্ত তথ্য জানতে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলেই আপনি খুব সহজে রাজশাহী জেলা থেকে অন্যান্য সকল জেলার নির্দিষ্ট দূরত্ব সম্পর্কে জানতে পারবেন।

রাজশাহী থেকে অন্যান্য জেলার দূরত্ব

রাজশাহী থেকে বাকি জেলার দূরত্ব

জেলার নামরাজশাহী থেকে জেলাগুলোর দূরত্ব
ঢাকা২৪৫ কি.মি.
সিরাজগঞ্জ১২৭ কি.মি.
পাবনা১০৫ কি.মি.
বগুড়া১১৩ কি.মি.
নাটোর৪২ কি.মি.
জয়পুরহাট১১৩ কি.মি.
চাপাইনবাবগঞ্জ৬৮ কি.মি.
নওগা৮১ কি.মি.
কুমিল্লা৩৪৭ কি.মি.
ফেনী৪০৪ কি.মি.
বি-বাড়িয়া৩১৪ কি.মি.
রাঙ্গামাটি৫৫২ কি.মি.
নোয়াখালী৪৪২ কি.মি.
চাদপুর৩৫২ কি.মি.
লক্ষীপুর৩৮২ কি.মি.
চট্টগ্রাম৪৯১ কি.মি.
কক্সবাজার৬৪০ কি.মি.
খাগড়াছড়ি৫১৫ কি.মি.
বান্দরবান৫৬৯ কি.মি.
যশোর২০৮ কি.মি.
সাতক্ষীরা২৭৬ কি.মি.
মেহেরপুর১৫৬ কি.মি.
নড়াইল২৪২ কি.মি.
চুয়াডাঙ্গা১৬৬ কি.মি.
কুষ্টিয়া১২১ কি.মি.
মাগুরা১৯২ কি.মি.
খুলনা২৬৬ কি.মি.
বাগেরহাট৩০৫ কি.মি.
ঝিনাইদহ১৬৬ কি.মি.
ঝালকাঠি৩৫৮ কি.মি.
পটুয়াখালী৩৮২ কি.মি.
পিরোজপুর৩৩৪ কি.মি.
বরিশাল৩৩৮ কি.মি.
ভোলা৩৮৫ কি.মি.
বরগুনা৪০১ কি.মি.
সিলেট৪৪৭ কি.মি.
মৌলভীবাজার৪১০ কি.মি.
হবিগঞ্জ৩৬৭ কি.মি.
সুনামগঞ্জ৪৭৪ কি.মি.
নরসিংদী২৬৫ কি.মি.
গাজীপুর২২৭ কি.মি.
শরীয়তপুর৩১১ কি.মি.
নারায়ণগঞ্জ২৭২ কি.মি.
টাঙ্গাইল১৬৮ কি.মি.
কিশোরগঞ্জ২৯৩ কি.মি.
মানিকগঞ্জ২২৬ কি.মি.
মুন্সিগঞ্জ২৮৫ কি.মি.
রাজবাড়ি১৯১ কি.মি.
মাদারীপুর২৮৫ কি.মি.
গোপালগঞ্জ৩১২ কি.মি.
ফরিদপুর২১৯ কি.মি.
পঞ্চগড়২৯২ কি.মি.
লালমনিরহাট২৪০ কি.মি.
দিনাজপুর১৯৭ কি.মি.
নীলফামারী২১৫ কি.মি.
গাইবান্ধা১৯১ কি.মি.
ঠাকুরগাঁও২৫৩ কি.মি.
রংপুর২২৭ কি.মি.
কুড়িগ্রাম২৬৪ কি.মি.
শেরপুর২৪৬ কি.মি.
ময়মন সিংহ২৩৮ কি.মি.
জামালপুর২৩২ কি.মি.
নেত্রকোনা২৭৬ কি.মি.

আমাদের ওয়েবসাইটে উপরের আলোচনার মাধ্যমে রাজশাহী জেলা শহর থেকে দেশের অন্যান্য 63 জেলার নির্দিষ্ট দূরত্ব করা হয়েছে। আশা করছি আমাদের আজকের নিবন্ধে প্রকাশিত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। আমরা শতভাগ সঠিক দূরত্ব প্রকাশ করেছি। এবং রাজশাহী জেলা শহর থেকে অন্যান্য জেলাশহরগুলোর এই দূরত্ব গুগল ম্যাপ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাদের আলোচনায় প্রদত্ত কোন তথ্য যদি কোন প্রকার ভুল থাকে তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। ছোটখাটো ভুল গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

এবং আলোচনার কোনো অংশে বুঝতে সমস্যা হলে অথবা আমাদের আলোচনা সম্পর্কিত আপনার যে কোন মূল্যবান মতামত জানাতে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনার সকল সমস্যা সমাধানের আপ্রাণ চেষ্টা করব এবং আপনার সকল অনুরোধ রাখব। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। শিক্ষা দেশ ও সমসাময়িক বিষয় সম্পর্কিত যে কোন তথ্য জানতে এখনই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে সকল ধরনের তথ্য নিয়মিত ভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান গুলো কি কি ?

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান : পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর যার নাম রাজশাহী । বিভাগের সবচেয়ে বড় শহর রাজশাহী জেলাটি বিখ্যাত আম ও রেশমি বস্ত্রের জন্যে। এইখানে আম এবিং রেশম চাষ হয় অনেক। এই রাজশাহী শহরে রয়েছে প্রাচীন বাংলার ইতিহাস সমৃদ্ধ বিখ্যাত মসজিদ, মন্দির ও ঐতিহাসিক স্থাপনা। পদ্মার নদীর তীরে এই শহরে পর্যটকদের জন্য দর্শনের মতো অনেক স্থান রয়েছে। আমাদের আজকের আলোচনায় আমরা এমনি কিছু রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান গুলো। Read in English

রাজশাহী কলেজ

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের অন্যতম এবং শীর্ষ কলেজ রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী। প্রতি বছর অনেক শিক্ষার্থী রাজশাহী কলেজে ভর্তি হয়। শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজশাহী সবার আগে এর পেছনে রয়েছে রাজশাহী কলেজ। এটি রাজশাহীর প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত । রাজশাহী জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ৫ মিনিট এর পথ হাটলেই রাজশাহী কলেজ। এখানে ইন্টারমিডিয়েট থেকে অনার্স, ডিগ্রি, মাস্টার্স পর্যুন্ত পড়ানো হয়। রাজশাহী তে আসলে রাজশাহী কলেজ একবার ঘুরে আসতে পারেন । খুবই মনমুগ্ধকর । রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে রাজশাহী কলেজ এর নাম থাকবে না তা হয় না।

রাজশাহী কলেজ

বরেন্দ্র জাদুঘর

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান

রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলার কেন্দ্রে পদ্মা নদীর পাশেই বরেন্দ্র জাদুঘর অবস্থিত। চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, বাগান এবং নির্জন প্রকৃতির এই সৌন্দর্য যেন মনকে ছুঁয়ে যাবে। মনকে নিয়ে সুখের এক অজানা রাজ্যে। এই জাদুঘরে পুরাতাত্ত্বিক জিনিসের সাথে সাথে আছে কৃত্রিম লেক ও পাহাড়। যেখানে দাড়ালে সূর্যাস্তের এক অপরুপ দৃশ্য। জাদুঘরের পাশেই এবং পদ্মা নদীর সাথেই লাগানো আছে হযরত শাহ মখদুম (রা)-এর মাজার। তিনি ছিলেন একজন ইয়েমেন-এর শাসক। তিনি এখানে এসে সমাজের অনেক কুসংস্কার দূর করেন, শিক্ষা দেন, ইসলামের প্রতিষ্ঠা করেন এবং মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেন। রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে প্রাচিনতম স্থান এটি।

শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান

রাজশাহী জেলার কেন্দ্রে টি-বাধের পাশে অবস্থিত শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি স্থান
জানা গেছে যে, ব্রিটিশ আমলে ইংরেজরা আমাদের দেশে ঘোড়দৌড় বা রেস খেলার প্রচলন করে। তখন খেলা দেখা ও বাজি ধরায় প্রচণ্ড উত্তেজনা সৃষ্টি হত। এমনকি শহরাঞ্চলেই ঘোড়দৌড় মাঠ বা রেসকোর্স ছিল। এই রেসের নেশায় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসতেন খেলা দেখতে। অনেকে এ খেলায় সর্বস্বান্তও হয়েছেন। কার্যত আয়োজকরাই বেশিরভাগ লাভবান হয়েছে। রাজশাহী শহরের রেসকোর্স ছিল পদ্মার পাড়ে। এখন এই রেসকোর্স ময়দান টি ‘রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা’ নামে প্রচলিত।

সাফিনা পার্ক

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান

রাজশাহী জেলাধীন গোদাগাড়ী উপজেলায় অবস্থিত সাফিনা পার্কের যাত্রা শুরু হয়ে থাকে। বলা যায়, ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দিগরাম খেঁজুরতলায় ৪০ বিঘা জমির উপর সাফিনা পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। এই পার্কের ভেতরে দুইটি লেকে দর্শনার্থীদের পানিতে চলাচলের জন্য নৌকা রয়েছে। আবার পার্কের সমস্ত এলাকা জুড়ে ফুলের বাগানের সঙ্গে রয়েছে কৃত্রিম উপায়ে তৈরিকৃত বিভিন্ন জীবজন্তু। যা দেখলে মনে হবে বাস্তব জীবিত জীবজন্তু।

পুঠিয়া রাজবাড়ি

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান

রাজশাহী অঞ্চলের আর একটি ঐতিহাসিক পর্যটন স্থান হচ্ছে পুঠিয়া প্রাসাদ। এটি রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় অবস্থিত। এই স্মৃতি স্তম্ভটির আরো একটি নাম হচ্ছে গোবিন্দ মন্দির। এখানের ভবন গুলোর উভয় পাশেই দীঘি আছে। দীঘি দিয়ে এই প্রাসাদের চারপাশ ঘেরা। তবে বর্তমানে প্রধান ভবনে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে বিখ্যাত সাধক শাহ দেউলা এবং আরো অনেক সুফি সাধকের কবর আছে।

পুঠিয়া শিব মন্দির

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান

রাজশাহী শহর থেকে ০৮ হতে ১৩ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং উত্তর পশ্চিমে দেওপাড়া, কুমারপুর ও বিজয়নগরে এর অবস্থান। এটি পুঠিয়া প্রাসাদের পাশেই অবস্থিত।

রাজশাহীর যে স্থানটি পর্যটকদের সবচেয়ে বেশী আকৃষ্ট করবে সেটি হল নিঃসন্দেহে পুঠিয়া রাজবাড়ি। রাজা পিতাম্বর ছিলেন মূলত পুঠিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ষষ্ঠাদশ শতাব্দীর শেষভাগে এবং সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে পুঠিয়ায় রাজধানী স্থাপন করেন। তারপরে তিনি একাধিক সুদৃশ্য ইমারত নির্মাণসহ জলাশয় খনন করেন। রাণী ভূবনময়ীর জন্যে বিশাল একটি জলাশয়ের সম্মুখে ভুবনেশ্বর শিবমন্দির নির্মাণ করেন (১৮২৩-১৮৩০)। এটি পঞ্চরত্ন শিবমন্দির নামেও খ্যাত। বাংলাদেশে বিশালাকারের ও বহু গুচ্ছচূড়া বিশিষ্ট শিবমন্দিরগুলোর মধ্যে পুঠিয়ার পঞ্চরত্ন শিবমন্দিরটি স্থাপত্যশৈলীতে শ্রেষ্ঠত্বের দাবী রাখে। রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে একটি

হাওয়াখানা

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান

ঢাকা রাজশাহী মহাসড়কের তারাপুর মোড় হতে ১ কি.মি. দক্ষিণে তারাপুর গ্রামে হাওয়াখানা অবস্থিত। হাওয়াখানার চারপাশে রয়েছে শুধু দিঘী। এটি একটি সুন্দর তিনতলা ভবন।পানির মধ্যে ১ম তলা রয়েছে। পানির উপরে রয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা। পুঠিয়ার রাজাগণ গ্রীষ্মকালে বাতাসের জন্য হাওয়খানায় শরীর ও মন ঠাণ্ডা করতেন।

গোয়ালকান্দি জমিদার বাড়ি

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে একটি হলো গোয়ালকান্দি জমিদার বাড়ি। রাজশাহী জেলায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী গোয়ালকান্দি জমিদারবাড়ির জমিদার ছিলেন জমিদার কংস নারায়ন। অনুমান করে বলা যায় আনুমানিক ১৯৪৭ সালের দিকে এদেশের জমি-জমা বিনিময় প্রথার মাধ্যমে বিনিময় করে ভারত চলে গেছেন এই জমিদার। সেই সুবাদে আজও ওই জমিদার বাড়ি অমনি আছে এবং অনেক পর্যটক আসেন এই জমিদার বাড়ি দেখতে

সরমংলা ইকোপার্ক

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান

রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় অবস্থিত সরমংলা ইকো পার্কটি। ২০০৩ সালের দিকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে গোদাগাড়ী উপজেলার নিত্যনন্দপুর থেকে হরিশংকরপুর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার খাঁড়ি খনন করা হয়েছিল। খননের পরে খাঁড়ির দুই পাড়ে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়।

মহারানী হেমন্ত কুমারীর পুঠিয়া রাজবাড়ি সম্পর্কে কিছু কথা

মহারানী হেমন্ত কুমারীর পুঠিয়া রাজবাড়ি : প্রাচীন ঐতিহ্য আর সবুজ শ্যামল এ ঘেরা আমাদের এই বাংলাদেশ। এদেশে রয়েছে মনমুগ্ধকর অনেক প্রাচীন স্থাপনা। কোথায় যে ইতিহাসের কি উপাদান লুকিয়ে আছে তা আমরা অনেকেই জানি না। আরে না জানার কারণে আমাদের আড়ালে রয়ে যায় অমূল্য সম্পদ। এসব অনেক সময় হারিয়ে যায়। বিলুপ্ত হয়ে যায় প্রাচীন স্থাপনা গুলি। Read in English

মহারানী হেমন্ত কুমারীর পুঠিয়া রাজবাড়ি

প্রত্নতান্ত্রিক সম্পদকে সব দেশে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়। এমন ভাবে সংরক্ষন করা হয় যা হয়ে ওঠে দর্শনীয়। তেমনি একটি প্রাচীন মনমুগ্ধকর স্থান রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ি বা মহারানী হেমন্ত কুমারীর পুঠিয়া রাজবাড়ি। মহারানী হেমন্ত কুমারীর এই বাসভবন পাচানি জমিদার বাড়ি নামেও পরিচিত। রাজশাহী জেলা সদর থেকে ৩২ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে নাটোর সড়ক অভিমুখে মহারানী হেমন্ত কুমারীর পুঠিয়া রাজবাড়ি অবস্থিত। পুঠিয়া রাজবাড়ি বা পাচানি জমিদার বাড়ি হচ্ছে মহারানী হেমন্তকুমারী দেবীর বাসভবন। বাংলায় প্রত্নতান্ত্রিক ঐতিহ্যের মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ি অন্যতম।

মহারানী হেমন্ত কুমারীর পুঠিয়া রাজবাড়ি এর ইতিহাস

মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয় পুঠিয়া রাজবংশ এর জমিদার ছিলেন বারো ভূঁইয়াদের একজন। এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা পীতাম্বর। পীতাম্বর এর মৃত্যুর পর তার অনুজ নীলাম্বর জমিদার হয়। সপ্তদশ শতকের মুঘল আমলে তৎকালীন বাংলা বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পুঠিয়া জমিদারি ছিল প্রাচীনতম। লোকমুখে কথিত আছে যে জৈনিক নীলাম্বর মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে রাজা উপাধি লাভ করার পর সেটি পুঠিয়া রাজবাড়ি রূপে পরিচিতি লাভ করে। ১৭৪৪ সালে জমিদারি ভাগ হয় সেই ভাগাভাগিতে জমিদারের বড় ছেলে পান সম্পত্তির সাড়ে পাঁচ আনা এবং অন্য তিন ছেলে পান সাড়ে তিন আনা।

মহারানী হেমন্ত কুমারীর পুঠিয়া রাজবাড়ি

১৯৫০ সাল পর্যন্ত জমিদারি প্রথা ছিল। প্রথা বিলুপ্ত হলে পুঠিয়া রাজবাড়ী জমিদারিও বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে জমিদারি বিলুপ্ত হলেও সে আমলে নির্মিত তাদের প্রাসাদ মন্দির ও অন্যান্য স্থাপনা ঠিকই এখনো টিকে রয়েছে। অপরুপ এ প্রাসাদ টি ১৮৯৫ সালে মহারানী হেমন্তকুমারী দেবী তার শাশুড়ি মহারানী শরৎ সুন্দরী দেবীর স্মরণে নির্মাণ করেন। ১৯৪২ সালে তিনি পরলোকগমন করার পর মহারানী হেমন্ত কুমারীর পুঠিয়া রাজবাড়ি এর আকর্ষণ ও জৌলুস ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে থাকে। এ কারণেই অযত্ন আর অবহেলায় এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। বেহাত হয়ে যায় জমিদারের ব্যবহৃত জিনিসপত্র গুলি। বর্তমানে সরকারি উদ্যোগে মহারানী হেমন্ত কুমারীর পুঠিয়া রাজবাড়ি কিছুটা মেরামত করা হয়।

পুঠিয়া রাজবাড়ি

পুঠিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে দ্বিতল বিশিষ্ট আয়তাকার পরিকল্পনায় নির্মিত মহারানী হেমন্ত কুমারীর পুঠিয়া রাজবাড়ি একটি আকর্ষণীয় ইমারত। জমিদার বা রাজারা এখান থেকে তাদের কর্ম পরিচালনা করতেন ভবনের সম্মুখভাগের স্তম্ভ অলংকরণ, কাঠের কাজের দেয়ালেও দরজার উপরে ফুল ও লতাপাতার চিত্রকর্ম চমৎকার নির্মাণশৈলী পরিচয় বহন করে। রাজবাড়ির ছাদ সমতল এবং টালি ব্যবহার করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য রাজবাড়ী চারপাশে পরিখা খনন করা হয়েছিল।

রাজ বাড়ির আশেপাশে রয়েছে ৬ টি রাজ দিঘী। প্রত্যেকটা দিঘির আয়তন ৬ একর করে। এবং ৬ টি মন্দির রয়েছে। সবথেকে বড় মন্দিরের নাম শিব মন্দির এছাড়াও রয়েছে রাধাগোবিন্দ মন্দির, গোপাল মন্দির, গোবিন্দ মন্দির, দোলমঞ্চ ইত্যাদি। প্রতিটি মন্দিরের দেয়ালে অপূর্ব সব পোড়ামাটির ফলক কারুকাজ রয়েছে। জোড়বাংলা মন্দির বাংলা মন্দির পঞ্চরত্ন অর্থাৎ চুরা বিশিষ্ট মন্দির। মোটকথা বাংলার বিভিন্ন গঠনরীতি মন্দিরগুলো প্রতিটি আকর্ষণীয় এছাড়া রানীর স্নানের ঘাট, অন্দরমহল মিলিয়ে বিশাল মহারানী হেমন্ত কুমারীর পুঠিয়া রাজবাড়ি এর প্রাঙ্গন।

পুঠিয়া রাজবাড়ি যাওয়ার উপায়

ঢাকা থেকে রাজশাহী : ঢাকা থেকে সড়ক রেল ও আকাশপথে রাজশাহী যাওয়া যায়। সড়ক পথে ঢাকা গাবতলী ও কমলাপুর থেকে বাসে উঠে যেতে পারবেন রাজশাহীতে। এজন্য গ্রীনলাইন দেশ ট্রাভেলস শ্যামলী হানিফ বাস সার্ভিস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। শ্রেণীভেদে ভাড়া ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

রেলপথে যাওয়ার জন্য রয়েছে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ও পদ্মা এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেন আরো একটি বর্তমানে যোগ হয়েছে বনলতা এক্সপ্রেস। রোববার ব্যতীত প্রতিদিন দুপুর ২ টা ৪০ মিনিটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস এবং মঙ্গলবার ব্যতীত প্রতিদিন রাত ১১ টা ১০ মিনিটে কমলাপুর থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এছাড়া আকাশপথে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ইউনাইটেড এয়ার ও ইউএসবাংলা বিমানে আসা যাওয়া যায়।

রাজশাহী থেকে মহারানী হেমন্ত কুমারীর পুঠিয়া রাজবাড়ি : পুঠিয়ার দূরত্ব রাজশাহী থেকে ৩৪ কিলোমিটার এবং নাটোর থেকে ১৮ কিলোমিটার রাজশাহী থেকে নাটোর গ্রামীণ বাসে চড়ে বা লোকাল বাসে করে রাজশাহী নাটোর মহাসড়ক এর পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ডে নেমে ৫ থেকে ১০ মিনিট হাঁটলেই মহারানী হেমন্ত কুমারীর পুঠিয়া রাজবাড়ি পেয়ে যাবেন।

রাজশাহী পদ্মা গার্ডেন। সুন্দর একটি বিকেল কাটানোর জন্য সুন্দর জায়গা

রাজশাহী পদ্মা গার্ডেন : রাজশাহী একদিকে শিক্ষানগরী অন্যদিকে শান্তিরও শহর। রাজশাহী তে এত বেশি শান্তি যে অন্য জায়গার মানুষও রাজশাহীতে বসবাস করতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে অনেক। ছুটির দিনে সুন্দর ভাবে কাটানোর জন্য একটা পারফেক্ট জায়গা এই রাজশাহী । সবকিছুই কেমন জানি অসাধারণ রকমের ভাল। তবে এর মধ্যেও সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর একটা স্থানের নাম বলায় যায় রাজশাহী পদ্মা গার্ডেন। যেখানে অনায়াসে চোখ বন্ধ করে বলা যাবে যে একটা সুন্দর বিকেল কাটানোর জন্য জায়গাটি অসাধারণ। রাজশাহীর কেন্দ্রে অবস্থিত একটা জায়গা। Read in English

সাগরের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য আর বিশালতা উপভোগ করতে হলে সাগরপাড়ে যাওয়া সম্ভব না হলে ঘুরে আসা যায় এই পদ্মার পাড় থেকে। প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মার পাড় ঘেঁষে ঘুরে বেড়ানোর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলা যেতে পারে পর্যটন কেন্দ্র। রাজশাহী পদ্মা গার্ডেন জায়গাটা এত সুন্দর এত মায়াবী যে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। দেখা যায় প্রতিদিনই এই জায়গায় মানুষের প্রচন্ড ভীড় থাকে। কারন পরিবেশটা কেন তার সম্পূর্ণ ভালবাসা, সৌন্দর্য, মায়া সবকিছু মনে হয়ে ঢেলে দেই এই পদ্মায়। এখন বাচ্চাদের খেলার জন্যও অনেক অনেক খেলনা দিয়ে সাজিয়েছে রাজশাহী পদ্মা গার্ডেন এই স্থান।

রাজশাহী পদ্মা গার্ডেন

রাজশাহী পদ্মা গার্ডেন

নদীর পাড়ে এইরকম একটা মন মাতানো জায়গায় বসে থাকতে কার না ভাল লাগে। যেখানে নদীর পানি আর আকাশের মিলন একসাথে ঘটে থাকে। আবার সূর্যাস্তটাও দেখতে অনেক ভালো লাগবে রাজশাহী পদ্মা গার্ডেন এই জায়গায়। একদিক বসে নদীর বাতাস আর অন্যদিকে সূর্যাস্তের এমন অপরূপ দৃশ্য কার না ভাল লাগে। সবাই চাইবে এমন অসাধারণ দৃশ্য দেখতে, এমন অমূল্যবান সময় কাটাতে। শীতের সকাল কিংবা পড়ন্ত বিকেলে পদ্মাপাড়ের উন্মুক্ত পরিবেশ আর নয়নাভিরাম দৃশ্য আকৃষ্ট করছে জনগণকে।

এই দৃশ্য শুধু রাজশাহীর জনগনকে আকৃষ্ট করে তা নয় রাজশাহীর বাইরে থেকে আসা পর্যটন বা দর্শনার্থীদেরও মন আকৃষ্ট করে। চাঁদনীরাতেও অনেক ভিড় থাকে এখানে।সূর্য কিংবা চাঁদের প্রতিবিম্ব যখন পানিতে পড়ে, তখন এক অসাধারণ দৃশ্যের অবতারণা হয় যা দেখতে চমৎকার ভাবে মনকে ছুয়ে দেয়। নদীর তীর ঘেঁষেই আবার কোথাও কোথাও রয়েছে মনোরম সবুজ মাঠ তবে এই সবুজ মাঠ শুধু ফাল্গুন চৈএতেই বেশি দেখা যায়। অনেকে আসেন এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

পদ্মার নদীর পাড়ে অবস্থিত রাজশাহী পদ্মা গার্ডেন। অসাধারণ একটা জায়গা যেখানে প্রতিদিন গেলেও হয়ত মন ভরবে না। কথায় বলে, সাগরপাড়ে দাঁড়ালে সমুদ্রের বিশালতায় নিজেকে খুব ক্ষুদ্র মনে হয়। তবে এখনও অত্র এলাকায় পর্যটক ও দর্শনার্থীবান্ধব বেশ কিছু সুযোগসুবিধার প্রয়োজন বলে মনে করেন আরো এক দর্শনার্থী তাহেরা কুসুম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী বলেন, কোথাও বেড়াতে গেলে আশেপাশে খাবারের কোনো ভালো ব্যবস্থা থাকলে ভালো হয়। এখানে এখনও ভালো কোনো রেস্টুরেন্ট নেই।

রাজশাহী পদ্মা গার্ডেন

এছাড়া বাঁধজুড়ে বেশ কয়েকটি বসার বেঞ্চ বানানো হয়েছে। যদিও তা পর্যাপ্ত নয়। এগুলো বাড়াতে হবে। নারী ও শিশুরা থাকলে কতক্ষণ আর দাঁড়িয়ে থাকা যায়? ছুটির দিন গুলোতে মানুষের চাপ বেশি থাকে। একই সঙ্গে পদ্মার কিনারা জুড়ে যদি ভালো আবাসিক হোটেল থাকে, তাহলে রাজশাহীর বাইরে থেকে যারা আসবেন, তারা রাতে থাকতে পারবেন। এমন কিছু পরিকল্পনা নিয়ে স্থানগুলো সাজানো হলে এখানে একটি ভালো পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে।

দর্শনার্থীদের এমন সব চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) তাদের সেবার পরিধি বাড়িয়ে দেন। এমনকি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বাংলা নিউজকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জানি। তবে এর জন্য পাড়ের পুরো এলাকার মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি স্থানকে দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এমনকি এর জন্য এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

এছাড়া এসব স্পটে যেন দর্শনার্থীরা সহজেই যাতায়াত করতে পারেন, সেই জন্য এর সঙ্গে সংযোগ সড়কগুলো প্রশস্ত করা হচ্ছে যাতে কোন অসুবিধা না হয়। এছাড়া এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণেরও কথা ভেবে রাখা হয়েছে। আশা করছি, এসব কাজ হয়ে গেলে দর্শনার্থীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন আর এখানে একটি পর্যটকবান্ধব ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এমনকি বাংলাদেশের একটি অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেও গন্য হবে।

এখানে বেড়াতে আসা অনেক দর্শনার্থীরা বলছেন, এমনিতেই দারুণ সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে রাজশাহীর পদ্মা নদীর পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে আরও কিছু সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হলে এটিই হয়ে উঠতে পারে রাজশাহীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র। ছুটির দিনে ছাড়াও একটা সুন্দর দিন সুন্দর বিকেল কাটানোর জন্য পারফেক্ট একটি জায়গা এই পদ্মা গার্ডেন।