সালমান খান নামটা বললে তাকে চেনে না পৃথিবীতে এমন মানুষ খুব কমই দেখা যাবে। সালমান খান বলতে যেটা বুঝা যায় বলিউডের সবচাইতে হ্যান্ডসাম সিক্স প্যাক ওয়ালা ভাইজানকে। জীবনে এখন পর্যন্ত বিয়ের পিঁড়িতে বসা হয়নি সালমানের। বলিউডের অভিনেতারা কাজের পাশাপাশি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন কিন্তু ভাইজান সকলের থেকে আলাদা তিনি কখনোই বিয়ে নিয়ে মাথা ঘামান না। শুধু গড়ে গেছেন তাঁর ক্যারিয়ার। তার ক্যারিয়ার এখন এতটাই উজ্জল যে তার মত হওয়ার স্বপ্ন দেখে লাখো লাখো মানুষ। Read in English
সালমানকে বিয়ে করার জন্য পাকিস্তান ছেড়েছিলেন সোমি আলি
বলিউড অভিনেতা সালমান খানের জীবনে অনেক নারী এসেছেন। গুঞ্জন রয়েছে তাদের অনেকের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ‘ভাইজান’। এদের মধ্যে কেউ তাকে বিয়ের জন্য দেশ ছেড়েছেন কিনা তা শোনা যায়নি। এখন পর্যন্ত বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নি কিন্তু বলিউডে তার প্রেমিকার সংখ্যা আছে অনেকগুলোই তাদের মধ্যে অন্যতম বর্তমান অভিষেক পত্নী ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন ক্যাটরিনা কাইফ জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ ও আরো অনেকে। সালমান এবং ঐশ্বরিয়া রায়ের প্রেমের বিষয়টি কমবেশি সকলেই জানতো এই নিয়ে বলিউডপাড়ায় ছিল বেশ গঞ্জন কিন্তু সালমানের সাবেক প্রেমিকা সমীরের জন্যে হার মানতে হয় ছোট কিছুর জন্য তাদের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। সালমানকে বিয়ে করতে নাকি পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমান সোমি। পাকিস্তানের করাচিতে জন্ম সোমি আলির। তবে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় থাকতেন। সেখান থেকেই স্বদেশে না থেকে সোজা ভারতে চলে আসেন এ অভিনেত্রী।
বলিউড লাইফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালমানের ‘মেয়নে পেয়ার কিয়া’ সিনেমা দেখার পর তার প্রেমে পড়ে যান সোমা আলি। ১৯৯১ সালে পাকিস্তানের এই সুন্দরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান সালমান। টানা ৮ বছর প্রেম করেন তারা। প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসেন এ নায়িকা। তখন বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর।
এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে সোমি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই হিন্দি ফিল্মের পোকা ছিলাম। সালমানের ‘মেয়নে পেয়ার কিয়া’ মুক্তির সময় আমি স্কুলে পড়তাম। সেটি দেখেই তার প্রেমে পড়ি। এক রাতে আমি তাকে স্বপ্নেও দেখলাম। আমার বয়স তখন ১৬। সেই সময়ের বয়সে যেমন অনুভূতি কাজ করে। আমি ভাবলাম, স্বপ্নে দেখা মানে সালমানকে বিয়ে করা আমার প্রতি সৃষ্টিকর্তার আদেশ। তখনই ঠিক করি, বিয়ে করলে সালমানকেই করব। একদিন ছোট্ট একটা স্যুটকেস হাতে নিয়েই মাকে বললাম— আমি মুম্বাই যাচ্ছি মা সালমানকে বিয়ে করতে এখন মাঝে মাঝে ভাবি তখন মুম্বাইয়ে আসাটা কতটাইনা বোকামি ছিল কতটাই না বোকা ছিলাম তখন। আসলে বয়সের সাথে মানুষের বোকামির মাত্রাটাও কম-বেশি হতে থাকে।
সালমানের প্রতি সোমির ভালোবাসা
ভারতে এসে বলিউডে নিজের অবস্থান তৈরি করেন সোমি। বছর পাঁচেক কাজও করেন। এরই মধ্যে সালমানের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেন। নিজের ইচ্ছার কথা নাকি সালমানকে জানিয়েছিলেনও তিনি। একদা নেপাল ট্যুরে পাশাপাশি আসনে সালমানকে পেয়ে সোমি বলেছিলেন, তোমাকে বিয়ে করতেই এত দূর থেকে ভারতে এসেছি। তখন সালমানের মন্তব্য ছিল, আমার গার্লফ্রেন্ড আছে। তখনও হার মানিনি আমি। সালমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলি। সালমানই একদিন আমাকে বলেন, আমি তোমায় ভালোবাসি।
সালমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান সোমি। সেখানে নতুন করে উচ্চশিক্ষা শুরু করেন। এর পর লেখিকা, সমাজকর্মী হিসাবে নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছেন সাবেক অভিনেত্রী। নব্বইয়ের দশকে কয়েকটি সিনেমায় দেখা গেছে এ নায়িকাকে। রূপালি জগত ছেড়ে বর্তমানে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন সোমা। ধর্ষণ, পারিবারিক নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সব সময় সরব থাকেন সালমানের এ পাকিস্তানি প্রেমিকা।
সালমানের জীবনে অনেক প্রেমিকা আসলেও কোন প্রেমিকাই হয়তো সোমা আলীর মত দেশ বা পরিবার ত্যাগ করেননি। সোমা আলী তাকে এতটাই ভালোবাসতেন দেশ বা পরিবার ছাড়ার আগে একমুহূর্ত ভাবেননি। বলতেই হয় সোমা আলী কি তাহলে সালমানের প্রকৃত প্রেমিকা ছিল আমরা কি বলতে পারি না ভাইজানের জীবনে অসংখ্য প্রেমিকা থাকলেও দ্বিতীয় সোমা হয়তো ভাইজান আর একটিও পাবেন না। কেননা ভালোবাসি কথাটা সবাই বলতে পারলেও এটা রক্ষা করতে পারে কজন। তাই আমরা বলতে পারি ভাইজানের জীবনে অসংখ্য প্রেমিকা আসলেও হয়তো সোমা আলী ছিল ভাইজানের প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষী।