আমের রাজা কোন আম কে বলা হয়? এবং কেন?
আমের রাজা কোন আম : আম হল গৃষ্মকালীন উদ্ভিদে জন্মানো এক ধরনের সুস্বাদু ফল। কাঁচা অবস্থায় আমের রং সবুজ এবং পাকা অবস্থায় হলুদ হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাওয়ার জন্য এই ফল চাষ করা হয়। এই প্রজাতিগুলো বেশিরভাগই বন্য আম হিসেবে প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। আম সারা পৃথিবীতে এত জনপ্রিয় একটি ফল যা দ্বিতীয় টি আর নেই। এমন কোন জাতি নেই যারা আম পছন্দ করে না। আর এ কারণেই এ কে সম্মান দিয়ে ফলের রাজা বলা হয়। Read in English
আম এর জন্মস্থান নিয়ে রয়েছে নানা তর্ক–বিতর্ক। ইতিহাস থেকে জানা যায় খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ এ আলেকজান্ডার সিন্ধু উপত্যকায় আম দেখে ও খেয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন। এ সময়ে ছড়িয়ে পড়ে মালয় উপদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ ও মাদাগাস্কার এ। আমের রয়েছে বাহারি নাম বর্ণ গন্ধ ও স্বাদ। ফজলি আশ্বিনা, ন্যাংড়া, ক্ষিরসাপাত, গোপালভোগ, মোহনভোগ, জিলাপিভোগ, লক্ষণভোগ, বোম্বাই, ক্ষীরভোগ, বৃন্দাবনী, হাড়িভাঙ্গা, সিঁদুরা, কালিভোগ, বউ ভুলানি, জামাই পছন্দ, বাদশা ভোগ, রাজভোগ, দুধসর, কালোপাহাড় সহ চাপাইনবাবগঞ্জে পাওয়া যায় প্রায় ৩০০ প্রজাতির আম। তবে এর অনেকগুলোই এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম আছে। আম এর প্রায় কয়েশ জাত রয়েছে। বাংলাদেশের রাজশাহী, নওগাঁ, দিনাজপুর, নাটোর, সাতক্ষীরা–যশোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম চাষ বেশি পরিমাণে থাকে।

আমের রাজা কোন আম কে বলা হয়?
আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রজাতির আম পাওয়া যায়। এরমধ্য হিমসাগর, ন্যাংড়া, ক্ষিরসাপাত, আমরুপালি গোপালভোগ, ফজলি, আসিনা, বোম্বাই এইসব উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে যে কয়টি অতি উৎকৃষ্ট জাতের আম রয়েছে এগুলোর মধ্যে ন্যাংড়া আম জনপ্রিয়তার বিচারে সবচেয়ে এগিয়ে। আমের গন্ধ এবং স্বদের উপর ভিত্তি করে ল্যাংড়া আম কে আমের রাজা বলা হয়। ভারতের বেনারসে উদ্ভব হয়েছিল এই আম। সেখানে এক খোড়া ফকিরের নাম অনুসারে এর নাম রাখা হয় ল্যাংড়া আম। ল্যাংড়া আম অনেকটা আয়তাকার গোল হালকা সবুজ রঙের খোসা। পাকলে হালকা হলুদ হয়। খোসা পাতলা হলুদ শাঁস, আমের আটি খুব ছোট।

ভালোভাবে না পাকলে আম খেলে মুখ চুলকাতে পারে। কাঁচা অবস্থায় এই আম অত্যন্ত টক। তবে আমটি পাকার পর অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মিষ্টি। সুঘ্রাণের সুখ্যাতি রয়েছে ল্যাংড়া আম এর। জুন মাসের ৬ তারিখের পর থেকে ল্যাংড়া আম ভাঙ্গা/ নামানো শুরু হয়। আমটি বাজারে আসে আষাঢ় মাসের শেষ অব্দি অর্থাৎ জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায়। অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের আমদানিকৃত ভারতীয় আম বাংলাদেশের বড় বাজার গুলোতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই ন্যাংড়া আম জন্মে থাকে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর এলাকায় ল্যাংড়া আম বেশি পাওয়া যায়। ঘরের মধ্যে ন্যাংড়া আম রাখলে একটা সুগন্ধী তে ভরে যায়। ল্যাংড়া আম পাকলে ৮–১০ দিন রাখা যায়। অর্থাৎ ন্যাংড়া আম পাকার কিছুদিনের মধ্যে না খেলে আম পচে যায়।
ল্যাংড়া আম কে কেন আমের রাজা বলা হয়।

বর্তমান বাংলাদেশে প্রচুর ল্যাংড়া আমের প্রজাতির আম থাকলেও হাজিপুরী ল্যাংড়া আম কে সর্বোত্তম প্রজাতির ল্যাংড়া আম হিসেবে ধরা হয়। ন্যাংড়া আমকে আমের রাজা বলা হয় ল্যাংড়া আমের স্বাদ ও গন্ধ এর কারণে। ল্যাংড়া আমের চামড়া পাতলা আন্টি ছোট আঁশবিহীন অত্যন্ত মিষ্টি এবং সুস্বাদু আম। এসব কারণে ল্যাংড়া আম কে আমের রাজা বলা হয়। ল্যাংড়া আম পোক্ত হলে আম নামানোর ২০ থেকে ২৫ দিন পূর্বে আমকে কার্বোহাইড্রেট দিয়ে গাছ থেকে পাকিয়ে নামানো হয়। তবে ল্যাংড়া আম কে গাছে রেখে পাকিয়ে না মানো হলে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়। এমনিতেই ন্যাংড়া আম অনেক সুগন্ধ এবং স্বাদযুক্ত একারণে ন্যাংড়া আমকে আমের রাজা বলা হয়। এছাড়া ল্যাংড়া আম আঁশবিহীন একটি আম। যার জন্য মানুষের কাছে এটি অত্যন্ত পছন্দের একটি আম। ল্যাংড়া আম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম আছে।
আপনারা যারা প্রতিবছর উন্নত মানের সুস্বাদু এবং ফরমালিনমুক্ত আম খোজেন তারা আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করার মাধ্যমে আমাদের তা জানাতে পারেন। এবং আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করে উন্নত মানের সুস্বাদু এবং ফরমালিনমুক্ত আম ক্রয় করতে পারবেন। আপনি যদি আমের রাজা ল্যাংড়া আম কে খুজেন তবে আমাদের কাছে তা পেয়ে যাবেন।