কোরবানির ঈদ কবে হবে ২০২৩?
অনেকেই গুগলে সার্চ করার মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন ২০২৩ সালের কোরবানির ঈদ কবে হবে? আমরা আমাদের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের জানাব কোরবানির ঈদ কবে হবে ২০২৩। ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জন্য দুটি খুশির সময় হচ্ছে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ভাষায় অনেকে বড় ঈদ অর্থাৎ ঈদুল আযাহা এবং ছোট ঈদ বা ঈদুল ফিতর হিসেবে ডাকা হয়। Read in English
২০২৩ সালে কোরবানির ঈদ কবে হবে তা নিয়ে অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন। তাদেরকে বলব আমাদের এই আলোচনাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং সম্পূর্ণরূপে সঠিক তথ্য জেনে নিন। অর্থাৎ আর কিছুদিনের মধ্যেই আমরা কোরবানির ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারব।
সারাবিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর ঈদুল আজহা উৎসব পালন করে। ইসলামে হিজরি ক্যালেন্ডারের ১২তম চন্দ্রমাস জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোরবানি করার সময় হিসাবে নির্ধারিত। এ দিনে বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দেন। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন কোরবানির ঈদ কবে হবে ২০২২। আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা আমাদের এই আলোচনায় কোরবানির ঈদ কবে হবে ২০২২ নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছি। সুতরাং আমাদের আলোচনাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ঈদুল আজহা কবে হবে ২০২৩?
ঈদুল আজহা কবে হবে ২০২৩ এ সম্পর্কে আমরা এই আলোচনায় সকল তথ্য উল্লেখ করব। সুতরাং আমাদের এই আলোচনাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং ঈদুল আজহা কবে হবে ২০২৩ জেনে নিন। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ব্যক্তিরা ঈদুল আজহা কবে হবে ২০২৩ তা জানতে বিভিন্ন মাধ্যমে সার্চ করেছেন। তাই আপনাদের কথা চিন্তা করে আমরা সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা আমাদের এই আলোচনায় উল্লেখ করব ঈদুল আজহা কবে হবে ২০২৩।
কোরবানির ঈদ ২০২৩ কত তারিখে হবে?
আমাদের এই আলোচনা থেকে আপনি কোরবানির ঈদ ২০২৩ কত তারিখে হবে তা জানতে পারবেন। যেহেতু কোরবানির ঈদ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল তাই কবে চাঁদ উঠবে তার উপর নির্ভর করছে এগজ্যাক্টলি কোরবানির ঈদ কত তারিখে পালন করা হবে। যেহেতু জুলাই মাসে কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হবে সুতরাং এখন থেকেই কুরবানীর প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। আপনি যদি কুরবানী দিতে সক্ষম হয়ে থাকেন তবে আপনাকে অবশ্যই কোরবানি দেওয়া উচিত।
How to make money online (অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়)
ঈদুল আজাহা ২০২৩ কত তারিখে
আপনারা যদি ঈদুল আযহা ২০২৩ কত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে তা জানতে চান তাহলে আমাদের এই আলোচনাটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আমাদের এই আলোচনায় আমরা ঈদুল আযহা ২০২৩ কবে পালন করা হবে তা উল্লেখ করেছি। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে ঈদুল আযহা অর্থাৎ কুরবানীর ঈদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কোরবানির ঈদে আমরা বিভিন্ন পশু কোরবানির মাধ্যমে আনন্দ উৎসব পালন করে থাকি।
বাংলাদেশে কত তারিখে কুরবানী ঈদ হবে।
প্রতি বছর কোরবানির ঈদ কবে হবে তা জানিয়ে থাকে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ। আর মনেপ্রাণে আনন্দ করতে আমাদের মাঝে চলে এসেছে ঈদ উল আযহা অর্থাৎ কুরবানীর ঈদ। আমরা আমাদের এই আলোচনায় কোরবানির ঈদ কবে হবে তা উল্লেখ করেছি।
কোরবানির ঈদে করণীয়
মুসলিম উম্মাহর জন্য এটা উত্তম যে, সামর্থ্য থাকলে কোরবানি আদায় করা। কোনোভাবেই কোরবানি থেকে বিরত না থাকা। সক্ষম হলে নিজের ও পরিবার-পরিজনের পক্ষ থেকেও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করা। এর মাধ্যমে যেমন আল্লাহর নির্দেশ মানা হয় তেমনি সাহাবাদের অনুসরণ ও অনুকরণও হয়। ফলে এতে রয়েছে বিশাল সওয়াবের হাতছানি।
কোরআন-সুন্নার এসব দিকনির্দেশনা থেকে প্রমাণিত যে-
কোরবানি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে অর্থ খরচ করে স্বার্থ ত্যাগ করে এ ইবাদত করতে হয়। কোরবানির পর পরিবার ও দরিদ্রজনের উপর কোরবানির পশুর গোশত খরচ করা হয় এবং আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জন্য হাদিয়া ও উপঢৌকন পেশ করার সুযোগ হয়। কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্য করতে পেরেই মুমিন মুসলমান আনন্দ পেয়ে থাকে। মুমিনের সেই খুশিই হলো কোরবানির খুশি।
কোরবানি না করে কোরবানির টাকা গরিব-দুঃখীর মাঝে বণ্টন করে দিলে কোরবানির হক আদায় হবে না। কারণ কোরবানিতে আল্লাহর জন্য পশু জবাই করা হলো ইবাদত ও দ্বীন ইসলামের নির্দশন এবং প্রতীক। এ কারণেই ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন-
‘কোরবানি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ এবং সমগ্র মুসলিম জাতির এক আমল। আর কোথাও কথিত নেই যে, তাঁদের কেউ কোরবানির পরিবর্তে তার মূল্য সাদকাহ করেছেন। আবার যদি তা উত্তম হতো তবে তাঁরা নিশ্চয়ই তার ব্যতিক্রম করতেন না।’ (ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া)