Category: মহাকাশ

আকাশ নীল দেখায় কেন?

আকাশ নীল দেখায় কেন? : নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে আমাদের কত না ভালো লাগে। খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে কেমন করে যেন মন ভালো হয়ে যায়

আকাশের দিকে তাকাও তাহলেই তুমি রংধনু খুজে পাবে, না হলে তোমার জীবন অন্ধকারেই থেকেই যাবে।
— চার্লি চ্যাপলিন

অনেক সাহিত্যিক লেখক কবি আকাশ নিয়ে অনেক কবিতা লিখে গেছেন সাহিত্য লিখেছেন।

কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন আকাশ নীল দেখায় কেন? কেনইবা আকাশের রং সবুজ হলো না? Read in English

আপনি যদি না জেনে থাকেন আকাশ নীল দেখায় কেন তাহলে আপনি আজকে তা জানতে পারবেন। আমাদের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব। সুতরাং আকাশ নীল দেখায় কেন জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

দুঃস্বপ্ন দূর করে শান্তির ঘুম আনার চিকিৎসা

আকাশ নীল দেখায় কেন?

আকাশ নীল দেখায় কেন এই প্রশ্নটা হয়তো অনেকের মাঝেই রয়েছে। আবার অনেকেই জানতে চেয়েছেন আকাশ নীল দেখায় কেন? বর্তমান সময়ে ফেসবুকে এবং কুয়ারাতে এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। অনেকে অনেক মন্তব্য করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য কেউই তুলে ধরে নি। সুতরাং আজকে আমরা আমাদের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আমাদের এই আলোচনাটি আপনি পড়লে জানতে পারবেন আকাশের রং নীল দেখায় কেন।

এই প্রশ্নটা যেমন মজার তেমনি এর উত্তর টাও অনেক মজার। তবে সেই প্রশ্নের উত্তরটা জানতে হলে আগে জানতে হবে আকাশ কি?

আকাশ হচ্ছে আসলে আমাদের বায়ুমণ্ডল। বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জলীয়বাষ্প দিয়ে তৈরি এটি। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে এটি চারপাশ থেকে পৃথিবী কে ঘিরে আছে। আপনি পৃথিবী ছেড়ে যত উপরে যাবেন বায়ুমণ্ডল তথা হালকা হতে থাকবে। এবং আস্তে আস্তে এটি আর থাকবে না। এজন্য মহাশূন্যে কোন বায়ুমণ্ডল নেই।

পারফিউম এর সৌরভ বর্ধমান গুনাগুন

আকাশের রং নীল কেন

পৃথিবীর চারপাশে বায়ুমন্ডলে ভাসমান ছোট ছোট ধূলিকণা রয়েছে। সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে আসার সময় ঐ কণাগুলি দ্বারা বিচ্ছুরিত হয়ে যায়। এবং নীল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম বলে Rayleigh scattering এর সূত্র অনুযায়ী তা সবচেয়ে বেশি বিচ্ছুরিত হয়। যার কারনে দিনের আলোতে আকাশকে নীল দেখায়। আর রাতের বেলা সূর্যরশ্মির অনুপস্থিতির কারনে বিচ্ছুরন ঘটেনা এবং আকাশ কালো দেখায়।

আকাশ নীল দেখায় কেন?

এরপর আমাদের জানতে হবে সূর্যের আলোর কথা। আমরা সূর্যের আলোকে সোনালী রঙের দেখি কিন্তু এটি আসলে রংধনুর সাত রং এর মিশ্রণ। সূর্যের আলোয় রঙধনুর সাত রংই আছে। প্রিজম নামে এক ধরনের বিশেষ আকৃতির তৈরি ক্রিস্টাল রয়েছে সূর্যের আলোয় যদি কখনো প্রয়োজন ধরেন। তাহলে দেখবেন আলোটা সাতরঙে ভাগ হয়ে যাবে।

আগে মনে করা হত বাস্প, ধূলিকণা সব কিছুই আকাশের নীল রঙ এর জন্যে দায়ী। কিন্তু পরবর্তীকালে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেন যে, যদি বাস্পকণাও বিচ্ছুরণের কারন হত, তাহলে স্থানভেদে আদ্রতা, কুয়াশা ইত্যাদির ভিন্নতার কারণে এক এক স্থানে আকাশের রঙ এক এক রকম দেখাতো! তাই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আকাশের বিভিন্ন স্তরে অবস্থিত অক্সিজেন আর নাইট্রোজেনের অনুগুলোই এই বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে আকাশকে নীল দেখানোর পক্ষে যথেষ্ট।

তবে একটা প্রশ্ন উঠতে পারে, বেগুনী রঙের আলোকরশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য তো নীল আলোর থেকেও কম তাহলে আকাশ কেন বেগুনী দেখায় না?

পাঁচটি নিয়ম মেনে গরমকালে আপনার ত্বক করুন আরও উজ্জ্বল

প্রথমত, বায়ুমন্ডলে বিচ্ছুরিত আলোকরশ্মির বিচ্ছুরণ সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য সমান নয়। একই সাথে বায়ুমন্ডল পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে এত উঁচুতে অবস্থিত যে সেখান থেকে বিচ্ছুরিত আলো পৌঁছাতে পৌঁছাতে বায়ুমণ্ডলে ঐ বেগুনী আলোর অনেকটা শোষিত হয়ে যায়।

আকাশ নীল দেখায় কেন?

দ্বিতীয়ত, মানুষের রেটিনায় তিন ধরনের কোণ কোষ (cone cells) থাকে। অন্যান্য রঙের চেয়ে এরা লাল, নীল এবং সবুজ আলোতে সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীলতা দেখায়। এই কোণগুলোর বিভিন্ন অনুপাতের সংবেদনশীলতার সমন্বয়েই আমরা বিভিন্ন রঙ দেখে থাকি। আমাদের চোখের কোষগুলি ‘অতিবেগুনী’ আলোক-সংবেদনশীল না। এ জন্য মানুষের কাছে আকাশকে গাঢ় বেগুনী বলে মনে হয় না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভূপৃষ্ঠের নীচের দিকে নীল আলো আরও বিচ্ছুরিত হতে থাকার ফলে দিগন্তের কাছাকাছি আকাশের রঙ ক্রমশই ফ্যাকাশে হতে থাকে ।

আমাদের এই আলোচনাটি পড়ে হয়তো আপনি জেনে গেছেন আকাশের রং নীল দেখায় কেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আপনাদের এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দিতে। এরকম মজার এবং শিক্ষামূলক পোস্ট আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে করে থাকি সবসময়। সুতরাং আপনি যদি এরকম ইন্টারেস্টিং এবং মজার টপিক নিয়ে আলোচনা জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যেকোন বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হলে তা আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করব আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ কত?

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ কত?

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ কত: বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব স্যাটেলাইট হলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বানাতে বাংলাদেশের প্রায় ২,৭৬৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে শুরুতে বাজেট ২৯৬৭.৯৫ কোটি টাকা ধরা হলেও পরবর্তীতে মোট খরচ হয় ২,৭৬৫ কোটি টাকা। আমাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ ও অন্যান্য তথ্য সমূহ বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আপনারা যারা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই আজকের এই আলোচনাটি কাজে আসবে। Read in English 

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরির জন্য বাংলাদেশের নিজস্ব ১,৩১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এবং বাকিটা এসেছে বিদেশি অর্থায়ন থেকে। এই স্যাটেলাইট এর জন্য রাশিয়ার থেকে ১৫ বছরের জন্য অরবিটাল স্লট কেনা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর স্থায়িত্ব হতে পারে ১৮ বছর পর্যন্ত।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে আমাদের আজকের এই আলোচনাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য সমূহ আগ্রা আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।

How Many Satellites are There in Space? And How It Works?

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর ধরন

মহাকাশে প্রায় ৫০ টিরও বেশি দেশের ৯,০০০ টি স্যাটেলাইট বিদ্যমান। এগুলোর মধ্যে অনেক রকম ভাগ রয়েছে। স্যাটেলাইট এর মধ্যে রয়েছে আবহাওয়া স্যাটেলাইট, পর্যবেক্ষক স্যাটেলাইট, নেভিগেশন স্যাটেলাইট ইত্যাদি।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ হলো যোগাযোগ ও সম্প্রচার স্যাটেলাইট। বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট যোগাযোগ এবং সম্প্রচারের ক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস তৈরি করবে বলে আশা করা যায়। এর মাধ্যমে যোগাযোগ এবং সম্প্রচার খরচ অনেক কমে আসবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর ওজন ৩.৭ টন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর ডিজাইন এবং স্যাটেলাইট তৈরি করেছে ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস। যে রকেট এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ মহাকাশে প্রেরণ করা হয় সেই রকেট তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস এক্স। এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট লঞ্চ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর পেছনে বিপুল টাকা খরচ করা হয়।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ মহাকাশে প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কারী দেশের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরি করতে এবং উৎক্ষেপণ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে তার সম্পূর্ণটা আগামী ৭  বছরের মধ্যে আয় করা সম্ভব হলে কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়।Bangabandhu-Satellite

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ফুট প্রিন্ট

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান হলো ১১৯.১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমার কক্ষপথ। ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর ফুটপ্রিন্ট বা কভারেজ বিস্তৃত।

What are Planets and Stars? What is the Difference Between them? Is the Sun a Planet or a Star?

শক্তিশালী কেইউ সি ব্যান্ডের মাধ্যমে এই স্যাটেলাইট সবচেয়ে ভালো কভার করবে পুরো বাংলাদেশ। এছাড়াও স্যার ভুক্ত দেশ সমূহ ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর সুবিধা পাবে।

বিশ্বব্যাপী এর সুবিধা ছড়িয়ে দিয়ে আগামী ৭ বছরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর পুরো খরচ তুলে আনা সম্ভব বলে জানানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

১৭ ই মে ২০২২ তারিখে দিবাগত রাতে ২ টা ১৪ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স এর যে রকেট এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণ করা হয় সেই রকেটের নাম ফ্যালকন -৯। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ৩৩ মিনিট পর ২টা ৪৭ মিনিটে কক্ষপথে পৌঁছায় বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ সহ সম্পূর্ণ টাকা আগামী ৭ বছরের মধ্যে উঠে আসবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এবং এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশ সকল দিক থেকে উপকৃত হবে বলে জানানো হয়।Bangabandhu-Satellite-2

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর প্রধান কাজ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর প্রধান কাজ হবে টিভি চ্যানেল গুলোর স্যাটেলাইট সেবা নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট 1 এর মাধ্যমে চালু করা যাবে ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম সার্ভিস।

যে সকল স্থানে অপটিক কেবল বা সাবমেরিন ক্যাবল পৌঁছানো সম্ভব হয়নি সেসব স্থানে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা যাবে।

What is NASAs Income Source?

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট অপারেশন

আর্থ স্টেশন থেকে ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্যাটেলাইট টি কক্ষপথে যেতে আর থেকে ১১ দিন সময় লেগেছে। এবং পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ পুরোপুরি কাজের জন্য প্রস্তুত হয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ মহাকাশে প্রেরণের পর প্রথম তিন বছর খেলার ইন্ডিয়ার সহায়তায় দেখভাল করা হয়।

এবং তিন বছর সম্পন্ন হবার পরে এর দেখভালের সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের হাতে। বাংলাদেশের গাজীপুর ও রাঙ্গামাটির বেদবুনিয়া আর্থ স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কাজ, সহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট 1 সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সমূহ আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করা চাই আপনারা সকলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট 1 সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।

আমরা বিস্তারিতভাবে সকল তথ্য সমূহ উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। তবে আলোচনার কোনো অংশ ভুল বলে মনে হলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন। আমরা তৎক্ষণাৎ তা সংশোধন করার চেষ্টা করব। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ কি? বাংলাদেশ এর কতটা সুবিধা পাবে?

১২ ই মে ২০১৮ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে সাধারন মানুষের জানার আগ্রহের শেষ নেই। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হয়েছে। তবে অনেকের জিজ্ঞাসা ছিল প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরী এই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর কাজ কি এবং মানুষ এর কি সুবিধা পাবে? আমাদের আজকের আলোচনায় এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বিস্তারিত বলবো। Read in English

মূলত তিন ধরনের সুবিধা দেশের মানুষ পেতে পারে এই স্যাটেলাইট থেকে।

  • প্রথমত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর সক্ষমতা বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও সাশ্রয় করা সম্ভব।
  • দ্বিতীয়তঃ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রচার করা সম্ভব হবে।
  • তৃতীয়তঃ দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা ও ব্যবস্থাপনায় দারুণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে এই স্যাটেলাইট।

এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কে কাজে লাগানো সম্ভব।

Bangabandhu-Satellite-2

তবে এসব ভাবনাকে ছড়িয়ে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তা হলো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি। বঙ্গবন্ধু-১ এর মাধ্যমে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির অভিজাত দেশের ক্লাব বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। বঙ্গবন্ধু-১ তৈরীর ঘোষণা আসার পরপরই ব্র্যাক বাংলাদেশ ন্যানো স্যাটেলাইট প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করে ব্যাংক অন্বেষা নামে এই ন্যানো স্যাটেলাইট তৈরি করেছে এদেশের এই কয়েকজন তরুণ। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চারজন ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পে কাজ করে চলেছে। বর্তমানে আরো কিছু তরুণ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এ কাজের জন্য যোগদান করেছে। এ তরুণেরা বলেছেন সরকারের দিক থেকে কিছুটা সহযোগিতা পেলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের স্যাটেলাইট তৈরি করা সম্ভব। তারা মনে করে নিজেদের স্যাটেলাইট তৈরি হওয়ার কারণেই এত বড় স্বপ্ন এবং চিন্তা ভাবনা করতে পারছেন তারা।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় ( Online Earning Way)

স্যাটেলাইট এর বাণিজ্যিক দিক

এবার আসা যাক বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর বাণিজ্যিক দিকে। এখন দেশে প্রায় ৩০টি স্যাটেলাইট চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। এসব চ্যানেল সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এ জন্য প্রতি মাসে একটি চ্যানেলের ভাড়া বাবদ গুনতে হয় তিন থেকে ছয় হাজার মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে চ্যানেলগুলোর খরচ হয় ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ভাড়া কমবে। আবার দেশের টাকা দেশেই থেকে যাবে।

শুধু তা-ই নয়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর ট্রানসপন্ডার বা সক্ষমতা অন্য দেশের কাছে ভাড়া দিয়েও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ থাকবে। এই স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রানসপন্ডারের মধ্যে ২০টি ভাড়া দেওয়ার জন্য রাখা হবে বলে সরকার থেকে বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে এই স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার বিক্রির জন্য সরকারের গঠন করা বঙ্গবন্ধু কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি (বিসিএসবি) লিমিটেড কাজ শুরু করেছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ কি? বাংলাদেশ এর কতটা সুবিধা পাবে?

 

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর আরেকটি বিক্রয়যোগ্য পণ্য হবে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২৬টি কেইউ-ব্যান্ড ও ১৪টি সি-ব্যান্ড। প্রতিটি ট্রান্সপন্ডার থেকে ৪০ মেগাহার্টজ হারে তরঙ্গ বরাদ্দ (ফ্রিকোয়েন্সি) সরবরাহ পাওয়া সম্ভব। এ হিসাবে ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মোট ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষমতা হলো ১ হাজার ৬০০ মেগাহার্টজ। কিছু কারিগরি সীমাবদ্ধতার কারণে এই ১ হাজার পুরোটা ব্যবহার করা যাবে না। তবে কমপক্ষে ১ হাজার ৪০০ মেগাহার্টজ ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

অনলাইন ইনকাম সোর্স কোনগুলো

তবে স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইডথ ও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে যে ইন্টারনেট পাওয়া যাবে, তা বেশ ব্যয়বহুল। ফাইবার অপটিক দিয়ে সরবরাহ করা ব্যান্ডউইডথের তুলনায় স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের খরচ প্রায় ১০০ গুণ বেশি। দেশের ৭৫০ ইউনিয়নে এখন ফাইবার অপটিক ইন্টারনেটের সংযোগ নেই। ইন্টারনেটবঞ্চিত এমন এলাকার মধ্যে রয়েছে পার্বত্য ও হাওর অঞ্চল। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব, যদি সরকার এই খাতে বিশেষ প্রণোদনা দেয় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

ঝড় বা বড় ধরনের দুর্যোগে যোগাযোগব্যবস্থা সচল রাখতেও কার্যকর হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। এ ধরনের বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোবাইল নেটওয়ার্ক অনেক সময় অচল হয়ে পড়ে। তখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব হবে। সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের মানুষের ইন্টারনেট ও ব্যাংকিং সেবা, টেলিমেডিসিন ও দূরনিয়ন্ত্রিত শিক্ষাব্যবস্থা প্রসারেও ব্যবহার করা যাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর এসব সুবিধা নিশ্চিত করতে হলে দরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা। আর এ ক্ষেত্রে প্রথম উদ্যোগটি সরকারকেই নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর নিয়ন্ত্রণ ও বিপণনের কাজটিও করতে হবে দক্ষতার সঙ্গে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। সব বিষয় যাতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় না পড়ে, সেটি নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উৎক্ষেপণের পর মুহূর্ত থেকে এ স্যাটেলাইটের মেয়াদ থাকবে ১৫ বছর। অযথা সময়ক্ষেপণ করা হলে বাংলাদেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে তৈরি এ স্যাটেলাইটের উদ্দেশ্য পূরণ কঠিন হবে।

২০২৪ সালের মধ্যেই মহাকাশে তৈরি হবে ফিল্ম স্টুডিও

২০২৪ সালের মধ্যেই মহাকাশে তৈরি হবে ফিল্ম স্টুডিও: সম্প্রতি টম ক্রুজের আসন্ন স্পেস সেট ফিল্মের প্রযোজকসহ বিভিন্ন বিবৃতিতে জানা গেছে পৃথিবীর ২৫০ মাইল উপরে একটি প্রোডাকশন স্টুডিও তৈরি হবে। ২০২৪ সালের মধ্যেই তৈরি হতে যাচ্ছে এই ফিল্ম স্টুডিও। কেমন হতে পারে সে ফিল্ম স্টুডিও টি? জানতে আগ্রহী অনেকেই। আমাদের এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা সেই মহাকাশে তৈরি ফিল্ম স্টুডিও সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের জানার আগ্রহ কিছুটা হলেও সম্পন্ন করতে পারব আমরা। Read in English

গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স কি

টম ক্রুজ সম্প্রতি একটি নতুন সিনেমা তৈরি করতে যাচ্ছে। এ সিনেমাটি হবে সম্পূর্ণ স্পেস ভিত্তিক। এবং এই সিনেমার প্রয়োজনের খাতিরে মহাকাশ একটি ফিল্ম স্টুডিও তৈরি করার কথা চিন্তা করছে এই সিনেমার সহ-প্রযোজক সহ স্পেস এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ। তারা জানিয়েছে ২০২৪ সালের মধ্যেই তারা এই ফিল্ম স্টুডিও তৈরি করবে। সে সংক্রান্ত সকল তথ্য সমূহ আজকের এই আলোচনার মূল বিষয়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কেমন হতে পারে সে ফিল্মস্টুডিও টি।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় ( Online Earning Way)

২০২৪ সালের মধ্যেই মহাকাশে তৈরি হবে ফিল্ম স্টুডিও

হলিউড অভিনেতাদের মধ্যে টম ক্রুজের দাপট অনেকটাই বেশি। বিশ্বের সকল কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার অসংখ্য অনুরাগী গন। তবে এই অভিনেতার অনুরাগী এত হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যার অন্যতম প্রধান কারণ তার অ্যাকশন সিনেমা গুলো। এই অভিনেতা তার সিনেমার সকল একশন সেকেন্ড গুলো কোনরকম বরাবর ব্যবহার না করেই নিজে সম্পন্ন করেন। সেটা হোক শূন্যে বাইক নিয়ে লাফালাফি করা অথবা হেলিকপ্টার এর নিচে ঝুলে পড়া।

বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের মেঘ কেন কালো দেখায় ?

সম্প্রতি এই অভিনেতা একটি স্পেস ভিত্তিক সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এই সিনেমার প্রযোজক সংস্থা এবং পরিচালকগণ সিনেমাটি কেয়ার রিয়ালিস্টিক করে তুলতে একটি স্টুডিও করার কথা চিন্তা করছেন। স্পেসে তৈরি স্টুডিওর মাধ্যমে সিনেমার অ্যাকশান সেটিংস গুলো আরো রিয়ালিস্টিক করে তোলা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনলাইন ইনকাম সোর্স কোনগুলো

মহাকাশে তৈরি হবে ফিল্ম স্টুডিও

প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় মানুষ এখন অসম্ভব কে সম্ভব করে তুলছে। প্রতিনিয়ত বিজ্ঞান তাদের পথে আগের চেয়ে আরও অনেক ধাপ এগিয়ে চলছে। একসময় যেখানে মহাকাশে যাওয়াটাই স্বপ্নের মতো ছিল এখন সেই মহাকাশে ফিল্মস্টুডিও তৈরির কথা চিন্তা করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ও বিজ্ঞানের সফলতা আরো এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

Film-Studio-to-Be-Built-in-Space-by-2024-1

টম ক্রুজ এর আসন্ন স্পেস সেট ফিল্মের জন্য পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২৫০ মাইল উপরে একটি প্রোডাকশনের স্টুডিও তৈরি করা হবে। সিনেমার জন্য শূন্য মাধ্যমে একটি প্রোডাকশন স্টুডিও এবং একটি স্টেডিয়াম স্থাপনের পরিকল্পনা হচ্ছে। ২০২৪ সাল থেকেই প্রযোজক সংস্থা এই সিনেমার শুটিং শুরু করার কথা চিন্তা করছেন। তাদের মাধ্যমে জানানো হয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে স্পেস এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ তাদের SEE-1 নামের মডিউলটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন এর বাণিজ্যিক শাখা অক্সি আমি স্টেশনে সংযুক্ত করবে। ২০২৪ সালের মধ্যেই মহাকাশে তৈরি হবে ফিল্ম স্টুডিও

গ্রহ ও নক্ষত্র এর মধ্যে পার্থক্য

কেমন হবে মহাকাশে তৈরি ফিল্ম স্টুডিও

পরিকল্পনা অনুযায়ী মহাকাশে তৈরি এই ফ্যান স্টুডিওর মাধ্যমে সিনেমা টেলিভিশন সংগীত ইভেন্টগুলি সরাসরি প্রচার করা সম্ভব হবে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো মাধ্যমে সেইখানে দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পর্কিত কোন তথ্য জানানো হয়নি। তবে নির্মাতাগণ পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২৫০ মাইল উপরে যে কোন কিছুর রেকর্ড ও সম্প্রচার করতে পারবে।

স্পেস এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ জানিয়েছে তাদের এই নির্মাণ সম্পন্ন হলে শুধুমাত্র তারাই যে এর সুবিধা ভোগ করবে এমন টি নই। তারা জানিয়েছে তাদের তৈরিকৃত এই স্টুডিও টি তৃতীয় পক্ষ ও ব্যবহার করতে পারবে।Film-Studio-to-Be-Built-in-Space-by-2024-2

মহাকাশে তৈরি ফিল্ম স্টুডিও

যদিও মহাকাশে ফিল্ম স্টুডিও তৈরীর কথা এই প্রথম আলোচনায় আসেনি। এর অনেক আগে থেকেই প্রযোজক এবং পরিচালকগণ তাদের বিভিন্ন সিনেমার শুটিং মহাকাশে করার চিন্তা করেছেন। যদিও সে সময় যৌক্তিক এবং আর্থিক বাধা গুলির কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সম্প্রতি শূন্য মাধ্যমে এবং মহাকাশের ক্লাস্টোফোবিয়া পুনরায় তৈরি করা সম্ভব হয় এই প্রচেষ্টা গুলি নতুনভাবে তৈরি সম্ভব হচ্ছে।

পেওনিয়ার থেকে কিভাবে বিকাশে টাকা আনবেন

এই সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলতে স্পেস এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ স্পেসে তাদের নতুন মডিউলটি প্রেরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই কাজটি সম্ভব হয় তাহলে তা বিনোদন জগতে একটি বিপ্লব নিয়ে আসবে। এবং বিনোদন প্রেমীরা খুব শীঘ্রই এই ধরনের সম্ভাবনাকে সত্য হওয়া দেখতে চাই।

২০২৪ সালের মধ্যেই মহাকাশে তৈরি হবে ফিল্ম স্টুডিও এই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে উল্লেখ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের এই আলোচনায় প্রকাশিত সকল তথ্য সমূহ ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আলোচনার কোন অংশে বুঝতে সমস্যা হলে অথবা আলোচনা সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের সকল প্রকার সাহায্য করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

মহাকাশে মোট কতটি স্যাটেলাইট আছে? এবং এদের কাজ কি?

মহাকাশে মোট কতটি স্যাটেলাইট আছে? এবং এদের কাজ: প্রিয় পাঠকগণ, বর্তমানে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বাস করছি। যেই যুগে ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, টেলিভিশন ইত্যাদি ছাড়া জীবন কল্পনাও করা যায় না। তবে একসময় কিন্তু এসবের কিছুই ছিল না। তখন জীবন চলত স্বাভাবিক নিয়মে। এই যে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করছি স্মার্টফোন বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে বিশ্বের অন্য প্রান্তের খবর খুব সহজে পেয়ে যাচ্ছি এই সকল কিছু সম্ভব হয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট এর কল্যাণে। স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যতীত কোন ভাবেই এগুলো সম্ভব হতো না। সারা বিশ্বের প্রায় ৪০ টির ও বেশি দেশ থেকে প্রায় ৯ হাজার কৃত্রিম উপগ্রহ মহাবিশ্বে পৃথিবীর চারপাশে ঘুর না এমন অবস্থায় রয়েছে। Read in English

এই স্যাটেলাইটগুলো কিভাবে কাজ করে থাকে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয় আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয়। স্যাটেলাইট গুলো কিভাবে কাজ করে থাকে এবং এই স্যাটেলাইট এর কল্যাণে আমাদের পৃথিবীটা কত এগিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। সকল মানুষই এই সকল বিজ্ঞানের তথ্য জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। এগুলো জানতে এবং জানাতে সবারই খুব ভালো লাগে। আমি আপনাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে সংক্ষিপ্তভাবে স্যাটেলাইট সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি আজকে আলোচনাটি আপনার খুব ভালো লাগবে।

স্যাটেলাইট এর পরিচিতি

স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমাদের প্রথমে জানা প্রয়োজন স্যাটেলাইট বলতে কী বোঝায়। স্যাটেলাইট মূলত একটি ল্যাটিন শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ অনুসরণ করা। স্যাটেলাইট এমন একটি বস্তু যা অপর একটি বড় বস্তু কে কেন্দ্র করে তার চারপাশে ঘুরতে থাকে।

আমরা যদি স্যাটেলাইটের এমন একটি সংজ্ঞা দাঁড় করায় তাহলে আমরা বুঝতে পারবো যে পৃথিবীর একটি স্যাটেলাইট কেন না সে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান।Satellites-2

আবার চাঁদ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে তার ফলে চাঁদ কিন্তু একটা স্যাটেলাইট। তবে চাঁদ বা পৃথিবীর প্রাকৃতিক স্যাটেলাইট। এবং যেই স্যাটেলাইটগুলো মানুষ তৈরি করে পৃথিবীর চারপাশে কেন্দ্র করে ঘোরার জন্য মহাকাশে প্রেরণ করেছে সেগুলো কৃত্তিম স্যাটেলাইট। আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় এই কৃত্রিম স্যাটেলাইট কে নিয়ে।

নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে?

মহাকাশে কোন দেশের কতটি স্যাটেলাইট আছে?

এই মাত্র আমরা জানালাম প্রায় ৪০ টি দেশ ৯ হাজারের মতো স্যাটেলাইট মহাবিশ্বে উৎক্ষেপণ করেছে। সবচেয়ে বেশি স্যাটেলাইট রয়েছে আমেরিকার।

এখন পর্যন্ত আমেরিকা ১,৬১৬ টি স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে।

আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের স্যাটেলাইট রয়েছে 88 টি।

পাকিস্তানের স্যাটেলাইট রয়েছে ৩ টি।

ফুটবলের দেশ আর্জেন্টিনার স্যাটেলাইট রয়েছে ১৮ টি।

আরো একটি ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে স্যাটেলাইট রয়েছে মোট ১৭ টি।

মহাকাশে সাউথ কোরিয়ার ২৭ টি স্যাটেলাইট রয়েছে।

মহাকাশে রাশিয়ার স্যাটেলাইট কতটি আছে তা নিয়ে দ্বিমত থাকলেও সংখ্যাটি ১৪২ এর আশেপাশে।

থাইল্যান্ডের ৯ টি স্যাটেলাইট রয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত দেশ জাপানের মোট ১৭২ টি স্যাটেলাইট মহাকাশে রয়েছে।

বাংলাদেশের একটি এবং কেনিয়ার ১ টি স্যাটেলাইট রয়েছে। এছাড়াও চীনের মতো দেশে অনেক স্যাটেলাইট বিদ্যমান।

বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের রং কালো দেখায় কেন?

স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে

স্যাটেলাইট মূলত একটি বস্তু যেখানে বলকে কাজে লাগানো হয়। পৃথিবীর অভিকর্ষ বল কে উপেক্ষা করে খুব দ্রুত অতিক্রম করতে থাকে বলে স্যাটেলাইট মহাকাশে ভাসতে থাকে পৃথিবীতে ছিটকে পড়ে না। পৃথিবীর কনভেনশন স্যাটেলাইটগুলো কে মহাকাশে গমন করতে সাহায্য করে এবং পৃথিবীতে পুনরায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে।

পৃথিবীর কক্ষপথে অনেক অংশজুড়ে রয়েছে স্যাটেলাইট গুলো ঘোরার জন্য অরবিট সমূহ। অরবিট গুলো পৃথিবীর কক্ষপথে ১৬০ থেকে ২,০০০ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থান করে। এই ক্ষেত্র জুড়ে আইএসএস এবং অন্য শাটল আরবি তাদের কাজ কর্ম সম্পাদন করে।

পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা এই স্যাটেলাইটগুলো থেকে পৃথিবীর মানুষ উপকার লাভ করে।

স্যাটেলাইট এর উপকার সমূহ

এই যে আপনি আপনার স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটারের সামনে বসে এই আর্টিকেলটি পড়ছেন এটি সম্ভব হয়েছে মূলত স্যাটেলাইট এর কারণে। যদি পৃথিবী থেকে এই অসংখ্য স্যাটেলাইটগুলো মহাকাশে প্রেরণ করার না হতো তাহলে আপনার এই কার্যক্রম করা সম্ভব হতো না। আমরা দেশের যেকোন স্থানে বসে দেশেরই কিংবা বিদেশের যেকোনো ধরনের খেলা বা বিনোদন অনুষ্ঠান সরাসরি টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখতে পাই। এগুলো সম্ভব হয়েছে স্যাটেলাইটের কারণে। পৃথিবীর বেশিরভাগ যোগাযোগ মাধ্যমগুলো স্যাটেলাইট এর দরুন এই সম্ভব হয়ে থাকে।Satellites-1

স্যাটেলাইট গুলো যদি না থাকে তাহলে পৃথিবী মুহূর্তের মধ্যেই অচল হয়ে পড়বে কেননা আমরা যে সকল কাজগুলো অভ্যস্থ হয়ে পড়েছি সেগুলো স্যাটেলাইট ছাড়া করা কখনও সম্ভব হবে না। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা এই সকল কার্যক্রম আরও উন্নত করার জন্য চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে স্যাটেলাইট সম্পর্কিত জানা সকল ইনফরমেশন গুলো আরো আপডেট হয়ে যাবে।

স্মার্টফোনের বিকল্প হিসেবে নতুন প্রযুক্তির ভবিষ্যৎবাণী করলেন বিল গেটস

স্যাটেলাইট এর প্রকারভেদ

মহাকাশ বিষয়ক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংস্থা নাসা থেকেই বেশিরভাগ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই স্যাটেলাইটগুলো মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট এর প্রকারভেদ গুলো হল-

  • জিওস্টেশনারি
  • পোলার

জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট গুলো সাধারণত পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে অবস্থান করে। অন্যদিকে স্যাটেলাইটগুলো উত্তর ও দক্ষিণ দিকে অবস্থান করে। সাধারণত আমরা যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে স্যাটেলাইটগুলো সুবিধা পেয়ে থাকে সেগুলো জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর সমান গতিতে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ঘুরতে থাকে। এর ফলে জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট বল পৃথিবীর যে কোনো স্থানে তথ্য অন্য স্থানে প্রদান করতে সক্ষম। অন্যদিকে মহাকাশে থাকা পোলার স্যাটেলাইট গুলো বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলতে ব্যস্ত থাকে। সারাক্ষণ পৃথিবীর বিভিন্ন ছবি মেয়ে রুবা বিষুবরেখার ছবিগুলো তুলে পৃথিবীতে প্রেরণ করতে থাকে। এই পোলার স্যাটেলাইট গুলো খুব দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে পারে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছবি তুলতে খুব বেশি সময় তাদের লাগেনা।Satellites-3

স্যাটেলাইট কিভাবে চলে? স্যাটেলাইট শক্তি কোথায় পায়?

শক্তির উৎস হিসেবে স্যাটেলাইটে সোলার প্যানেল বা ব্যাটারি যোগ করা হয়। এই সোলার প্যানেল বা ব্যাটারি থেকে শক্তি গ্রহণ করে স্যাটেলাইট পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে এই সোলার সেল গুলো শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। সূর্যালোক না থাকলে স্যাটেলাইটের ব্যাটারিগুলো তাকে শক্তি প্রদান করে।

স্মার্টফোন বাচ্চাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ

স্যাটেলাইট কিভাবে পাঠানো হয়?

বেশিরভাগ স্যাটেলাইট রকেট বা স্পেস শাটল এর কার্গো পে এর সাহায্যে মহাকাশে প্রেরণ করা হয়। পৃথিবীর অভিকর্ষ কে ছাড়িয়ে যেতে এই রকেটকে প্রায় ঘন্টায় ২৫ হাজার ৩৯ মাইল ত্বরনে ছুটতে হয়। পৃথিবীর তার এবং মধ্যাকর্ষণ শক্তির মধ্যে যখন ভারসাম্য তৈরি হয় তখন স্যাটেলাইট পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে পারে।

কৃত্রিম উপগ্রহ উপস্থাপনের সময় পৃথিবীর এবং তার কক্ষীয় গতির জড়তা রয়েছে বা পৃথিবীর অভিকর্ষজ যে প্রভাব রয়েছে এই ভারসাম্য ঠিক না হলে স্যাটেলাইট কখনোই চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে হয়তো বা স্যাটেলাইট একটি সরল রেখায় উড়বে অথবা পৃথিবীতে পতিত হবে। এজন্য কৃত্রিম উপগ্রহ ১৫০ মাইল উচ্চতাবিশিষ্ট কক্ষপথে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১৭,০০০ মাইল গতিতে পরিভ্রমণ করানো হয়ে থাকে।

স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ সম্পর্কিত আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের বিস্তারিত তথ্য জানানো হলো। আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনারা স্যাটেলাইট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ জানতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য প্রদানের চেষ্টা করেছি। আমাদের উল্লেখিত সকল তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা।

নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে?

নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে?

নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থ কোথা থেকে আসে: ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (National aeronautics and space administration) যাকে সংক্ষেপে NASA বলে অভিহিত করা হয়, সেটি হল যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বাধীন সংস্থা। এই সংস্থাটি মূলত মহাকাশ সম্পর্কিত গবেষণা পরিচালনা করে। এছাড়াও নাসা বিমানচালনা বিদ্যা সম্পর্কিত গবেষণা গুলো সম্পন্ন করে। Read in English

ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) সর্বপ্রথমে ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। নাসার হাত ধরেই সর্বপ্রথম এবং শেষ বারের মত মানুষ চাঁদে পৌঁছেছিল। 1969 সালে নাসা চাঁদের উদ্দেশ্যে মহাকাশযান পাঠাই। এবং ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে নীল আর্মস্ট্রং এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে বাজ আল্ড্রিন চাঁদের মাটিতে পা রাখেন।

এখন আমাদের মনে এই প্রশ্নটিই অবশ্যই আসতে পারে নাসা এত টাকা কোথায় পাই? মহাকাশ বিষয়ক গবেষণা করার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয় প্রতিনিয়ত এই গবেষণা পরিচালনা করার জন্য। পৃথিবীর বাইরে কি আছে পৃথিবীর বাইরের মানুষ কিভাবে আরো কর্তৃত্ব প্রদান করতে পারে সেই সকল গবেষণার জন্য নাসা প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে আসছে। আমাদের সবার মনেই প্রায় সময় এই প্রশ্নটি আসে যে নাসা কিভাবে তাদের অর্থের যোগান দেয়। আপনাদের এই সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের আজকের এই আলোচনা থেকে জানতে পারবেন।

স্মার্টফোনের বিকল্প হিসেবে নতুন প্রযুক্তির ভবিষ্যৎবাণী করলেন বিল গেটস

নাসার পরিচিতি ও সৃষ্টি

১৯৪৬ সালে অ্যাডভাইজারি কমিটি ফর আর অন্যটি রকেট বিমান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছিল। সেই সময় প্রতিষ্ঠানটি সুপারসনিক বেল এক্স ১ নিয়ে তাদের গবেষণা চালাচ্ছিল। পরবর্তীতে ১৯৫০ এর দশকের শুরুর দিকে এ কমিটির ওপর একটি কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের গুরু দায়িত্ব এসে পড়ে। এ প্রজেক্ট এর নাম দেওয়া হয় ভ্যানগার্ড। ১৯৬৭ সালের ৪ অক্টোবর সোভিয়েত স্টেজ প্রোগ্রাম এর প্রথম কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত তাদের প্রথম কৃত্রিম স্বাধীনতার জন্য এই প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়। নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থ প্রয়োজন হয় অনেক। 

এবং তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ও তার উপদেষ্টারা আলোচনা করার মাধ্যমে ১৯৫৮ সালের ১৪ ই জানুয়ারি ন্যাশনাল রিসার্চ প্রোগ্রাম ফর স্পেস টেকনোলজি নামে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এবং এই পরিকল্পনা অনুযায়ী পরবর্তীতে ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) প্রতিষ্ঠা করা হয়।নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে?

নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে?

নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে? এই প্রশ্নটিই অনেকের মনেই ঘুরতে থাকে। অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। আমরা আমাদের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের জন্য একটি মানানসই উত্তর তৈরি করেছি। নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে? প্রশ্নের উত্তর আমাদের আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারবেন।

নাসা বা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বছর জাতীয় বাজেট থেকে নির্দিষ্ট একটি অংশ নাসার কার্যক্রম চালানোর জন্য নির্ধারণ করা হয়। প্রতিবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বাজেটের ০.৪৮% অর্থ নাসার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যয় করা হয়। ২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বাজেটের এই অংশের হিসাব করলে দাঁড়ায় ২২.৬২৯ বিলিয়ন ডলার। এবং প্রতি বছর এই বাজেট বৃদ্ধি হচ্ছে।

স্মার্টফোন বাচ্চাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট এবং নাসার অংশ

১৯৬৬ সালে অ্যাপোলো প্রোগ্রাম চলাকালীন সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বাজার থেকে নাসা কে ৪.৪১% শতাংশ অর্থ প্রদান করা হয়। এই নির্দিষ্ট পরিমাণ অংশ থেকে নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থ প্রদান করা হয়। ১৯৭৫ সালে ফেডারেল বাজেটের অংশ নাচার জন্য বরাদ্দ করা হয় মোট ১%। এবং ১৯৯৯ সালে পর্যন্ত নাসার জন্য বরাদ্দকৃত অংশ প্রায় ১ শতাংশ ছিল। তবে এরপর থেকে ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে এবং ২০০৬ সালে তা দাড়ায় ০.৫ শতাংশ।

রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে নাসার ট্রানজিশন অথোরাইজেশন একটা স্বাক্ষর করে এর বাজেট প্রায় ১৯.৫ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করে। নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থ এইভাবেই যোগান দেয়া হয়। 

তবে ২০২০ এর ফেডারেল বাজেট অনুযায়ী নাসার গবেষণার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ দাঁড়ায় প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার।

নাসার অর্থ ব্যয়ের খাত

নাসা মূলত তাদের বিভিন্ন গবেষণার কাজেই এই অর্থ খরচ করে থাকে। মহাকাশ জ্যোতির্বিজ্ঞান স্পেসশিপ ইত্যাদি খাতে নাসা প্রধানত তাদের অর্থ ব্যয় করে। এবং এই কাজে নিয়োজিত বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়। নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থ যোগান কোথা থেকে আসে?NASA-And-Space-X

নাসায় কর্মরত সকল বিজ্ঞানীদের বেতন নির্ধারণ করা হয় আমেরিকার সরকারের বেতন রেখা অনুসরণ করে।

যারা নাসায় কাজ করে তারা বেশিরভাগই আমেরিকার সরকারের কর্মচারী এবং প্রত্যেকেই আমেরিকান। নাসা একটি সরকারি সংস্থা এবং প্রতি বছর আমেরিকার ফেডারেল বাজেটের নির্দিষ্ট অর্থ সাহায্যের প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। তাই সরকারি বেতন নীতি অনুযায়ী নাচাতে কর্মরত সকল বিজ্ঞানী এবং কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করা হয়। নাসার বিশাল একটি অর্থ ব্যয় হয় এর কর্মরত বিজ্ঞানী ও অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন প্রদান করতে।

নাসার কর্মচারী ও ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন তালিকা

নাসা বিজ্ঞানীদের অর্থ কোথা থেকে আসে বা কোন উৎস থেকে নাসা অর্থ পায় যা দিয়ে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে সে বিষয়ে তথ্য জানার পর অবশ্যই আপনাদের জানতে ইচ্ছা হবে নাসায় কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার বা বিজ্ঞানীদের কি পরিমান বেতন দেওয়া হয়। আপনি যদি এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন তাহলে অবশ্যই আমাদের আজকের এই আলোচনাটি আপনার উপকারে আসবে। আমাদের আজকের এই আলোচনা থেকে আপনারা এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থ সংক্রান্ত তথ্য দেখুন।  

স্মার্ট হব কিভাবে? স্মার্ট হয়ে ওঠার সহজ উপায়

বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন তালিকা

ইঞ্জিনিয়ার বেতন
কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার  ৯৮ হাজার মার্কিন ডলার
ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার  ৯৯ হাজার মার্কিন ডলার
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার  ১ লক্ষ মার্কিন ডলার
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার  ৯৫ হাজার মার্কিন ডলার
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার  ৯৯ হাজার মার্কিন ডলার
প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার  ৭৮ হাজার মার্কিন ডলার
প্রসেস ইঞ্জিনিয়ার  ৯০ হাজার মার্কিন ডলার

পরিচালন বিভাগের কর্মচারীদের বেতন তালিকা

কর্মচারী বেতন
সুরক্ষা ইঞ্জিনিয়ার  ১ লক্ষ ৩৬ হাজার মার্কিন ডলার
প্রযুক্তিগত পরিচালক ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মার্কিন ডলার
বিভাগীয় প্রধান ১ লক্ষ ৭৮ হাজার মার্কিন ডলার
উপ-পরিচালক ১ লক্ষ ৮১ হাজার মার্কিন ডলার
তথ্য বিশেষজ্ঞ ৮৫ হাজার মার্কিন ডলার
চুক্তি বিশেষজ্ঞ ৮৪ হাজার মার্কিন ডলার

কিভাবে নাসায় চাকরি পাওয়া যায়?

কিভাবে নাসায় চাকরি পাওয়া যায় এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে ইচ্ছা পোষণ করলে আমাদের আজকের আলোচনার এই অংশটি আপনাদের বিশেষ কাজে আসবে। আলোচনার এই অংশে আমরা আপনাদের জানাব কিভাবে নাসাঈ চাকরির জন্য যোগ্যতা অর্জন করা যায়।

নাসায় চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে যে তথ্যটি জানা দরকার সেটি হল নাসা তাদের নিজস্ব দেশের নাগরিক ব্যতীত অন্য কাউকে চাকরি প্রদান করে না। অর্থাৎ নাসায় চাকরি পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে আমেরিকার নাগরিক হতে হবে। নাসায় চাকরি নেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞান শাখায় ডিগ্রী অর্জন করতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগের মধ্যে গণিত পদার্থবিজ্ঞান রসায়নবিজ্ঞান ইত্যাদি বিভাগ থেকে আপনার গ্রাজুয়েট ডিগ্রী অবশ্যই থাকতে হবে। এবং শূন্য পদ অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগের যোগ্যতা ভিন্ন হয় এবং নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হতে পারে।

যে কোন দেশের মহাকাশ সম্পর্কিত তথ্য সমূহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনভাবেই এই সকল প্রজেক্টে তথ্য বাট এটা যাতে চুরি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হয়। তাই সরাসরি অন্য দেশের কোনো নাগরিককে নাসাতে চাকরি দেওয়া হয় না।

নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থ কোথা থেকে আসে? নাসার বিভিন্ন কর্মচারী ও বিজ্ঞানীদের বেতন তালিকা, নাসার পরিচিতিও সৃষ্টি, নাসায় চাকরি পাওয়ার নূন্যতম যোগ্যতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আজকের এই আলোচনায় উল্লেখ করা হলো। আজকের আলোচনার মূল বিষয় ছিল নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান। সেই তথ্যসমূহ আলোকপাত করার পরেও আমরা নাসা সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন তথ্য আপনাদের জানিয়েছি। আশা করি আমাদের প্রকাশিত প্রতিটি তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। এবং আপনাদের জানার ইচ্ছা পূর্ণ হবে। তবে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানতে চাইলে অবশ্যই আমাদের সাথে

১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি কিভাবে তোলা হলো?

১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি: সম্প্রতি নাসা ৪৫০ কোটি বছর থেকে শুরু করে ১৩০০ কোটি বছর আগের পর্যন্ত বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। নাসা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে এই ছবিগুলো তুলেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইরের এই সকল ছবিগুলো অবমুক্ত করে গর্ভের সাথে অনেক বড় একটি ভাষণ দিয়েছেন। এখন আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে নাসা ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি কিভাবে তুললো। ১৩৮০ কোটি বছর আগে মহাবিশ্বের জন্ম, বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে। তখন এই পৃথিবী ছিলনা আবার এই সৌরজগত ছিল না। Read in English

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় ( Online Earning Way)

এটা কিভাবে সম্ভব? অর্থাৎ জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ পৃথিবীর জন্মের আগের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। এই টেলিস্কোপ কি টাইম মেশিনে গিয়ে ১৩০০ কোটি বছর আগে চলে গিয়েছিল? তারপর এই ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে? আমাদের আজকের এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা এই সকল তথ্যগুলো আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করব। চলুন তাহলে মূল আলোচনায় ফিরে আসা যাক এবং ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি গুলো কিভাবে তোলা হল এবং এর পিছনে বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করছেন সেগুলো জানার চেষ্টা করি।

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ টি বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে। এবং সেইখান থেকেই পৃথিবীর বা আমাদের এই সৌরজগতের প্রায় ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। নাসা বলছে মহাশূন্যের সবচেয়ে স্পষ্ট এবং গভীরতম ইনফ্রা রেড ছবি এটি।

বর্তমানে এই ছবিটি বিশ্বজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বিজ্ঞান কতটা এগিয়ে গেছে আমরা তা এখন বুঝতে পারছি। মনে করা হচ্ছে, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের সবেমাত্র শুরু এটি। এই টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে পৃথিবী সম্পর্কিত এবং আমাদের সৌরজগৎ সম্পর্কিত আরো অনেক তথ্য জানার এখনো বাকি রয়েছে।

SEE MORE

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন জেমস ওয়েট টেলিস্কোপ আমাদের নতুন দিগন্তে নিয়ে এসে হাজির করবে। আমরা ধীরে ধীরে এমন সকল তথ্য জানতে পারবো যা আগে কখনোই কল্পনা করতে পারিনি। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ টি কিভাবে ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠালো তা জেনে নেই।

১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি

নাসা ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি তুলে প্রকাশ করেছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে এই ছবি তোলা হয়। নাসা কর্তৃক প্রকাশিত এই ছবিগুলোতে মহাবিশ্বের ছড়িয়ে থাকা জল জলে অসংখ্য নক্ষত্রের আলোকরশ্মির বিচ্ছুরণ ফুটে উঠেছে। এই ছবিটিকে মহাবিশ্বের প্রাচীনতম রূপ বলে ধরা হচ্ছে। বর্তমান পৃথিবীতে এই ছবিগুলো নিয়ে হইচই পড়ে গেছে।

১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি-1১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি-2

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এর পূর্বেও নাসা আগের হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে ছবি তুলেছিল। তবে হাবল টেলিস্কোপের ছবিগুলোর থেকে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে তোলা ছবিগুলো অনেক বেশি পরিষ্কার। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ হাবল টেলিস্কোপের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। জেমস ওয়েট টেলিস্কোপ তৈরি করতে খরচ হয়েছে এক হাজার কোটি ডলার।

SEE MORE

জেমস হাবল টেলিস্কোপ টি প্রায় ৩ যুগ ধরে নির্মিত। আশা করা যায় এই টেলিস্কোপ টি মহাবিশ্বের সম্পর্কে পুরো পৃথিবীর ধারণাকে পাল্টে দিবে।

কিভাবে এই ছবি তোলা হল?

আমরা জানি সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে প্রায় ৮ মিনিট সময় লাগে। অর্থাৎ আমরা প্রতিনিয়ত যে সূর্যকে দেখতে পাই তা ৮ মিনিট আগের সূর্য। সূর্য যদি কোন কারনে বন্ধ হয়ে যায় বা সূর্যের আলো নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আমরা তা ৮ মিনিট পরে জানতে পারব। আমরা যে সকল নক্ষত্র গুলো দেখতে পাই সেগুলোর হ্যালো পৃথিবীতে আসতে প্রায় চার হাজার বছরের মতো সময় লাগে। এগুলো এতটাই দূরে অবস্থিত।

অর্থাৎ আমরা আকাশের দিকে তাকালে যে নক্ষত্র গুলো দেখতে পায় তা প্রায় চার হাজার বছর আগের। আমরা যদি টেলিস্কোপ দিয়ে মহাকাশে তাকাই তাহলে এমন অনেক প্রকার নক্ষত্র দেখতে পাবো। এমনও হতে পারে অনেক নক্ষত্রগুলো বর্তমানে মরে গেছে কিন্তু সেই গুলো থেকে যে আলো নির্গত হয়েছিল তা বর্তমানে আমরা টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। অর্থাৎ ব্যাপারটা এমন যে আমরা দেখছি ওই নক্ষত্রটি আছে কিন্তু আসলে সেটি নেই।

SEE MORE

১৩০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের এই সকল ছায়া পথের আলো এতদিন পরে টেলিস্কোপে এসে ধরা পড়ছে। অর্থাৎ আমরা ছবিটি বর্তমানে তুললেও যে আলো গুলোর মাধ্যমে ছবিটি তোলা হচ্ছে তা প্রায় ১৩০০ কোটি বছর পুরনো। এই ভাবেই আমরা ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি দেখতে পাচ্ছি।

বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের রং কালো দেখায় কেন?

উপসংহার

বিগ ব্যাং এর শুরুতে এই মহাজগতের প্রসারণ বেগ অনেক বেশি ছিল। এবং তার ফলে আলোর গতির চেয়ে বহুগুণ বেশি এই গতিতে আমরা এতদূরে এসে পড়েছি। বর্তমানে সেই গতি আর নেই। যার ফলে ১৩০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ছায়া পথ গুলোর আলো এখন আমরা আমাদের টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি।

১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি কিভাবে তোলা হলো এবং কিভাবে আমরা এই ছবিগুলো এখন দেখতে পাচ্ছি আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এরপরেও যদি কোন অংশ বুঝতে সমস্যা হয় অথবা নতুন কিছু জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

গ্রহ এবং নক্ষত্র কি? এদের মধ্যে পার্থক্য কি? সূর্য একটি গ্রহ নাকি নক্ষত্র?

মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুবই নগণ্য। বিজ্ঞানীরা বহু বছর থেকে চেষ্টা করে মহাবিশ্ব সম্পর্কে সামান্য ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন। বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত নক্ষত্র এবং গ্রহ পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। এই নক্ষত্র আর গ্রহ নিয়ে গবেষণা কে জ্যোতির্বিজ্ঞান বলা হয়। বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের আকার খুঁজে বের করতে চায় এর উত্তর এখনও তাদের ধারণার বাইরে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন এটি এখনও বাড়ন্ত অবস্থায় রয়েছে তা কবে কমবে কেউ জানে না। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় গ্রহ এবং নক্ষত্র কি? এদের মধ্যে পার্থক্য কি? সূর্য একটি গ্রহ নাকি নক্ষত্র? Read in English

আপনি যদি গ্রহ নক্ষত্র বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এখানে আমরা গ্রহনক্ষত্র সম্পর্কে ধারণা দিব এদের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করব। সুতরাং আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্রহ এবং নক্ষত্র কি?

গ্রহ (Planet)

গ্রহ হচ্ছে মহাকাশে ভাসমান নক্ষত্র থেকে সৃষ্ট যে সকল জ্যোতিষ্কের নিজস্ব কোন আলো ও তাপ নেই, এরা উৎস নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হয় ও সেই উৎস নক্ষত্র কে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে তাকে গ্রহ বলে

যেমন : পৃথিবী মঙ্গল বৃহস্পতি ও শনি

মহাকাশে মোট কতটি স্যাটেলাইট আছে? এবং এদের কাজ কি?

গ্রহ এবং নক্ষত্র কি? এদের মধ্যে পার্থক্য কি?

গ্রহ হচ্ছে জ্যোতি বিজ্ঞানের মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যেখানে কেবলমাত্র মহাকর্ষ বলের প্রভাবে গোলাকার রূপ ধারণ করে এবং ক্ষমতা রাখে। গ্রহ বলতে জ্যোতির্বিজ্ঞানে মহাবিশ্বের এমন বস্তুকে বোঝানো হয় যার কেবলমাত্র নিজের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে গোলাকার রূপ ধারণ করার ক্ষমতা আছে। যার ভর তাপনিউক্লীয় বিক্রিয়া শুরু করে সূর্যের মত শক্তি উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট নয়, এবং যে তার প্রতিবেশের সব ছোট ছোট বস্তুকে সরিয়ে দিয়েছে বা নিজের মধ্যে অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। সাধারণত গ্রহরা কোন না কোন তারা বা নাক্ষত্রিক ধ্বংসাবশেষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।

নক্ষত্র (Stars)

মহাকাশে অবস্থিত যে সকল বৃহৎ জ্যোতিষ কি নিজস্ব আলো ও তাপ রয়েছে এবং যাদের কেন্দ্র করে বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহ সহ মহাজাগতিক বস্তু সমূহ নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে তাদের নক্ষত্র বলে

যেমন : সূর্য সিরিয়াস লুব্ধক ইত্যাদি

ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান ও আর্যদের জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে নক্ষত্র হল চন্দ্রপথের ২৮টি ভাগ যেগুলো “চন্দ্রনিবাস” হিসেবে পরিচিত । সূর্যের গতিপথকে যেমন ১২ ভাগে ভাগ করে প্রতি ভাগের নাম রাখা হয়েছে রাশি তেমনি চন্দ্রপথকে ২৮ ভাগে ভাগ করে প্রতি ভাগের নাম রাখা হয়েছে নক্ষত্র। এছাড়া তারা, তারকা বা নক্ষত্র বলতে মহাশূন্যে প্লাজমা দশায় অবস্থিত অতি উজ্জ্বল এবং সুবৃহৎ গোলাকার বস্তুপিণ্ডকেও বোঝায়।

গ্রহ এবং নক্ষত্র কি? এদের মধ্যে পার্থক্য কি?

উচ্চ তাপে তারা নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগত নিজের জ্বালানি উৎপন্ন করে। জ্বালানি উৎপন্ন করে রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোকবিন্দুর সৃষ্টি করে থাকে। এই সব আলোকবিন্দুর মধ্যে কোনোটি মিটমিট করে জ্বলে আবার কোনোটি স্থির হয়ে জ্বলে। মিটমিট করা এইসব আলোকবিন্দুকে তারা, স্টার কিংবা নক্ষত্র বলা হয়।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২২

গ্রহ এবং নক্ষত্রের মধ্যে পার্থক্য

এবং নক্ষত্রের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। গ্রহ এবং নক্ষত্র সৃষ্টি, আলো ও তাপ, আলোর প্রকৃতি, গঠন, অবস্থান, ক্ষেত্রমান, বয়স, কক্ষপথ সবকিছুর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। চলুন তাহলে গ্রহ এবং নক্ষত্রের মধ্যে বিস্তারিতভাবে পার্থক্যগুলি লক্ষ্য করি।

গ্রহ হচ্ছে জ্যোতি বিজ্ঞানের মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যেখানে কেবলমাত্র মহাকর্ষ বলের প্রভাবে গোলাকার রূপ ধারণ করে। গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেখানো হলো

  • মহাবিশ্বে সৃষ্টির সময় অসংখ্য ধূলিকণা ও গ্যাসের মহাজাগতিক মেঘ বা ণীহারিকা থেকে প্র্রকাণ্ড আকারের জ্বলন্ত নক্ষত্রের সৃষ্টি। অন্যদিকে নক্ষত্র সৃষ্টির পর মহাবিস্ফোরনের ফলে নক্ষত্র থেকে বিভিন্ন গ্রহের সৃষ্টি হয়।
  • নক্ষত্রদের নিজস্ব আলোও তাপ রয়েছে। নক্ষত্রগুলি নিউক্লিয় ভিভাজনের মাধ্যমে আলো ও তাপের সৃষ্টি করে। অন্যদিকে গ্রহদের নিজস্ব আলো ও তাপ নেই, এরা নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত ও উত্তপ্ত হয়।
  • নক্ষত্র আকাশে মিটমিট করে জ্বলে। অন্যদিকে নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হয় বিধায় গ্রহের আলো স্থির।
  • নক্ষত্র গুলো হয় আকারে বৃহৎ এবং জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিণ্ড । অন্যদিকে গ্রহ গুলো অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র এবং শীতল।
  • নক্ষত্রগুলো স্থির থাকে। ফলে নক্ষত্রদের পারস্পারিক দূরত্ব সব সময় একই থাকে। অন্যদিকে গ্রহগুলো নক্ষত্রের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে থাকে। ফলে তাদের দূরত্বের বৃদ্ধি ঘটে।
  • নক্ষত্রগুলোর নিজস্ব কক্ষপথের পরিধি বিশাল হয়ে থাকে । অন্যদিকে গ্রহগুলোর নিজস্ব কক্ষপথের পরিধি তুলনামুলকভাবে অনেক ছোট।

সূর্য একটি গ্রহ নাকি নক্ষত্র?

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি গ্রহ এবং নক্ষত্র সম্পর্কে। গ্রহ হচ্ছে মহাকাশে ভাসমান নক্ষত্র থেকে সৃষ্ট যে সকল জ্যোতিষ্কের নিজস্ব কোন আলো ও তাপ নেই, এরা উৎস নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হয় ও সেই উৎস নক্ষত্র কে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে। আর নক্ষত্র হচ্ছে মহাকাশে অবস্থিত যে সকল বৃহৎ জ্যোতিষ কি নিজস্ব আলো ও তাপ রয়েছে এবং যাদের কেন্দ্র করে বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহ সহ মহাজাগতিক বস্তু সমূহ নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে।

সূর্য হচ্ছে সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দু। এখন আমরা জানি সূর্যের নিজস্ব আলো রয়েছে। এবং সূর্যের চারিদিকে পৃথিবী মঙ্গল বৃহস্পতি ও শনি প্রদক্ষিণ করছে।

সুতরাং গ্রহ এবং নক্ষত্রের সংজ্ঞা এবং ধারণা থেকে আমরা বলতে পারি সূর্য হচ্ছে একটি নক্ষত্র।

সূর্যের আলো এবং তাপ পৃথিবীর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। সূর্যের তাপ এবং আলো না থাকলে পৃথিবীর অস্তিত্ব কল্পনা করা খুব কঠিন। সূর্যের আলো এবং তাপ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে পৃথিবীতে সকল কার্যক্রম চলছে। পৃথিবীর সকল উৎসের মনে হচ্ছে এই সূর্য। সূর্য সম্পর্কে আমরা অন্য একটি পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়া সূর্য নিভে গেলে কি হবে এসব ক্যামেরা অন্য একটি পোস্টে আলোচনা করব।

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় গ্রহ এবং নক্ষত্র কি? এদের মধ্যে পার্থক্য কি? সূর্য একটি গ্রহ নাকি নক্ষত্র? আমরা চেষ্টা করেছি গ্রহ এবং নক্ষত্র কি? এদের মধ্যে পার্থক্য কি? সূর্য একটি গ্রহ নাকি নক্ষত্র? এ বিষয়ে একটি ধারণা দিতে। আমাদের এই আলোচনাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে অবশ্যই আপনি গ্রহনক্ষত্র সম্পর্কে ধারনা পাবেন এবং সূর্য গ্রহ নক্ষত্র সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাছাড়া আপনি জানতে পারবেন গ্রহ এবং নক্ষত্রের মধ্যে পার্থক্য কি। এরকম মজার মজার তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সবসময় আমাদের পাশে থাকুন সহযোগিতা করুন। কোন ভুল হলে তা কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।