Category: আবহাওয়া

বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের রং কালো দেখায় কেন?

বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের রং কালো দেখায় কেন: পৃথিবীতে প্রকৃতির নিয়মে নানা ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে। প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকায় এই ঘটনাগুলো আমাদের মনে অনেক আগ্রহের সৃষ্টি করে। বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাগুলো কারণ সম্পর্কে জানার ইচ্ছা আমাদের মনে জেগে ওঠে। তেমনি একটি ঘটনা হলো মেঘের রং। আমরা দেখে থাকি বিভিন্ন সময়ে মেঘের রং বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। আমাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানাবো বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের রং কালো দেখায় কেন। আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তাহলে অবশ্যই আজকের এই আলোচনাটি আপনার ভালো লাগবে। Read in English 

বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের রং কালো দেখায় কেন এই বিষয়ে সঠিক এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ আমরা আজকের এই নিবন্ধে উল্লেখ করার চেষ্টা করব। আশা করি আজকের আলোচনাটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে মূল আলোচনায় আসা যাক।

স্মার্টফোনের বিকল্প হিসেবে নতুন প্রযুক্তির ভবিষ্যৎবাণী করলেন বিল গেটস

মেঘের রং সাদা বা কালো কেন হয়?

বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের রং কালো দেখায় কেন এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার আগে অবশ্যই আমাদের জানতে হবে মেঘের রং সাদা বাবু কালো কেন হয়। মেঘের রং সাদা বা কালো হয় কি কারনে। আমরা যখন আকাশে মেঘ দেখি তখন দুই রকমের রং দেখতে পায়। যখন আকাশ পরিষ্কার থাকে তখন পেঁজা তুলোর মতো সাদা সাদা মেঘ দেখা যায়। আবার আসার মাসে বৃষ্টির সময় আকাশের মেঘগুলো হয়ে ওঠে ঘন কালো।

Why-the-color-of-the-sky-looks-black-before-the-rainআমরা জানি কোন বস্তুতে আলো পড়ার পর তার থেকে যে আলোটি প্রতিফলিত হয় সেই বস্তুটি আমরা ওই রঙের দেখতে পাই। আর যে ক্ষেত্রে কোন বস্তুর সম্পূর্ণ আলো শোষণ করে ফেলে তখন সেটাকে আমরা কালো দেখি।

যখন মেঘে আলো পড়ে তা থেকে প্রতিফলিত হয়ে আরও টি আমাদের চোখে আসলে তখন আমরা মেয়েকে সাদা দেখি আবার যখন কোন আলোর প্রতিফলন হয় না তখন সে মেয়েকে আমরা কালো ধূসর রঙের দেখে থাকি।

রঙের এই প্রতিফলনের কারণেই মূলত আমরা মেঘের রং সাদা বা কালো দেখতে পাই। অসংখ্য জলকণা দিয়ে মেঘ তৈরি হয়। পানির কনা খুবই ক্ষুদ্র হওয়ার কারণে আমরা আলাদা ভাবে তা দেখতে পায়না বরং একত্রে মেঘ আকারে দেখতে পাই। আর আলোর প্রতিফলনের কারণেই আমরা বিভিন্ন সময় মেঘের রং বিভিন্ন রকম দেখতে পাই।

বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের রং কালো দেখায় কেন

বৃষ্টির সময় বা বর্ষাকালে যখন অসংখ্য জলকণা দিয়ে মেঘ তৈরি হয় তখন সেই জলকণা গুলো অনেক ভারী হয়ে থাকে। সেই মুহূর্তে এই ভারী জল কণাগুলো আর মেঘের আকারে থাকতে পারে না বরং বৃষ্টি হয়ে পৃথিবীতে চলে আসতে চায়। অনেক ভারী হওয়ার কারণে এই জল কণাগুলোর বা সম্পূর্ণ মেঘের ঘনত্ব অনেক বেশি হয়ে যায়।

স্মার্ট হব কিভাবে? স্মার্ট হয়ে ওঠার সহজ উপায়

আমরা যারা বিজ্ঞানের ছাত্র আছি তারা অবশ্যই জানি যে আলো অধিক ঘন কোন বস্তুর মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হতে পারে না। বৃষ্টির আগমুহূর্তে মেঘ অধিক ঘন হয়ে থাকার কারণে সঠিক নিয়মে সূর্যের আলো গুলো এর মধ্য দিয়ে প্রতিফলন ও প্রতিসরণ ঘটতে পারে না। আর সে সময় আমরা মেঘের রং কালো দেখতে পাই।

Different-Color-of-Cloudsবর্ষাকালে যখন জল কণাগুলো অধিক ভারি হয়ে ওঠে তার মধ্য দিয়ে সূর্যের আলো কোনভাবেই প্রতিফলন ঘটাতে পারে না। জলকণা গুলো এত পুরু হয়ে ওঠে যে চারপাশের ওর জন্য আকাশের বিপরীতে সেই ঘন মেঘ ঘন কালো দেখায়। আর এই কালো মেঘ বৃষ্টি হয়ে জমিতে পড়ে। বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের রং কালো দেখায় কেন। 

মেঘের রং এর তারতম্য

তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম যে সাধারনত আলোর প্রতিসরণ বা প্রতিফলনের ফলে মেঘের রং এর নানাবিধ তারতম্য ঘটে। আলো যখন সম্পূর্ণরূপে প্রতিফলন হতে পারে তখন সেই মেয়েকে আমরা সারা দেখতে পাই এবং যখন আলো কোনভাবেই প্রতিফলন ও প্রতিসরণ ঘটাতে পারে না তখন সেই মেঘকে আমরা কাল দেখতে পাই।

নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে?

সাধারণ সময় মেঘ আলোর সবকটি রং প্রতিফলন করতে পারে। সব কয়টি রং প্রতিফলন হওয়ার ফলে সেই রংগুলো সরাসরি আমাদের চোখের রেটিনাতে ধরা দেয় এবং সব রং মিশ্রন বা সাদা রং আমরা দেখতে পাই। আর মেঘ ঘন হওয়ার ফলে কোন রঙের প্রতিফলন হয় না যার ফলে আমরা মেঘটাকে কাল দেখি।

আপনাদের সহজ উপায়ে আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের রং কালো দেখায় কেন এই তথ্য প্রদান করেছি। আশা করি আজকের প্রকাশিত তথ্য থেকে আপনারা খুব সহজেই আপনাদের প্রশ্নের উত্তর জানতে পেরেছেন। এধরনের বিজ্ঞানসম্মত নানাবিধ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মহাকাশে মোট কতটি স্যাটেলাইট আছে? এবং এদের কাজ কি?

মহাকাশে মোট কতটি স্যাটেলাইট আছে? এবং এদের কাজ: প্রিয় পাঠকগণ, বর্তমানে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বাস করছি। যেই যুগে ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, টেলিভিশন ইত্যাদি ছাড়া জীবন কল্পনাও করা যায় না। তবে একসময় কিন্তু এসবের কিছুই ছিল না। তখন জীবন চলত স্বাভাবিক নিয়মে। এই যে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করছি স্মার্টফোন বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে বিশ্বের অন্য প্রান্তের খবর খুব সহজে পেয়ে যাচ্ছি এই সকল কিছু সম্ভব হয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট এর কল্যাণে। স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যতীত কোন ভাবেই এগুলো সম্ভব হতো না। সারা বিশ্বের প্রায় ৪০ টির ও বেশি দেশ থেকে প্রায় ৯ হাজার কৃত্রিম উপগ্রহ মহাবিশ্বে পৃথিবীর চারপাশে ঘুর না এমন অবস্থায় রয়েছে। Read in English

এই স্যাটেলাইটগুলো কিভাবে কাজ করে থাকে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয় আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয়। স্যাটেলাইট গুলো কিভাবে কাজ করে থাকে এবং এই স্যাটেলাইট এর কল্যাণে আমাদের পৃথিবীটা কত এগিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। সকল মানুষই এই সকল বিজ্ঞানের তথ্য জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। এগুলো জানতে এবং জানাতে সবারই খুব ভালো লাগে। আমি আপনাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে সংক্ষিপ্তভাবে স্যাটেলাইট সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি আজকে আলোচনাটি আপনার খুব ভালো লাগবে।

স্যাটেলাইট এর পরিচিতি

স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমাদের প্রথমে জানা প্রয়োজন স্যাটেলাইট বলতে কী বোঝায়। স্যাটেলাইট মূলত একটি ল্যাটিন শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ অনুসরণ করা। স্যাটেলাইট এমন একটি বস্তু যা অপর একটি বড় বস্তু কে কেন্দ্র করে তার চারপাশে ঘুরতে থাকে।

আমরা যদি স্যাটেলাইটের এমন একটি সংজ্ঞা দাঁড় করায় তাহলে আমরা বুঝতে পারবো যে পৃথিবীর একটি স্যাটেলাইট কেন না সে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান।Satellites-2

আবার চাঁদ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে তার ফলে চাঁদ কিন্তু একটা স্যাটেলাইট। তবে চাঁদ বা পৃথিবীর প্রাকৃতিক স্যাটেলাইট। এবং যেই স্যাটেলাইটগুলো মানুষ তৈরি করে পৃথিবীর চারপাশে কেন্দ্র করে ঘোরার জন্য মহাকাশে প্রেরণ করেছে সেগুলো কৃত্তিম স্যাটেলাইট। আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় এই কৃত্রিম স্যাটেলাইট কে নিয়ে।

নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে?

মহাকাশে কোন দেশের কতটি স্যাটেলাইট আছে?

এই মাত্র আমরা জানালাম প্রায় ৪০ টি দেশ ৯ হাজারের মতো স্যাটেলাইট মহাবিশ্বে উৎক্ষেপণ করেছে। সবচেয়ে বেশি স্যাটেলাইট রয়েছে আমেরিকার।

এখন পর্যন্ত আমেরিকা ১,৬১৬ টি স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে।

আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের স্যাটেলাইট রয়েছে 88 টি।

পাকিস্তানের স্যাটেলাইট রয়েছে ৩ টি।

ফুটবলের দেশ আর্জেন্টিনার স্যাটেলাইট রয়েছে ১৮ টি।

আরো একটি ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে স্যাটেলাইট রয়েছে মোট ১৭ টি।

মহাকাশে সাউথ কোরিয়ার ২৭ টি স্যাটেলাইট রয়েছে।

মহাকাশে রাশিয়ার স্যাটেলাইট কতটি আছে তা নিয়ে দ্বিমত থাকলেও সংখ্যাটি ১৪২ এর আশেপাশে।

থাইল্যান্ডের ৯ টি স্যাটেলাইট রয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত দেশ জাপানের মোট ১৭২ টি স্যাটেলাইট মহাকাশে রয়েছে।

বাংলাদেশের একটি এবং কেনিয়ার ১ টি স্যাটেলাইট রয়েছে। এছাড়াও চীনের মতো দেশে অনেক স্যাটেলাইট বিদ্যমান।

বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের রং কালো দেখায় কেন?

স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে

স্যাটেলাইট মূলত একটি বস্তু যেখানে বলকে কাজে লাগানো হয়। পৃথিবীর অভিকর্ষ বল কে উপেক্ষা করে খুব দ্রুত অতিক্রম করতে থাকে বলে স্যাটেলাইট মহাকাশে ভাসতে থাকে পৃথিবীতে ছিটকে পড়ে না। পৃথিবীর কনভেনশন স্যাটেলাইটগুলো কে মহাকাশে গমন করতে সাহায্য করে এবং পৃথিবীতে পুনরায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে।

পৃথিবীর কক্ষপথে অনেক অংশজুড়ে রয়েছে স্যাটেলাইট গুলো ঘোরার জন্য অরবিট সমূহ। অরবিট গুলো পৃথিবীর কক্ষপথে ১৬০ থেকে ২,০০০ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থান করে। এই ক্ষেত্র জুড়ে আইএসএস এবং অন্য শাটল আরবি তাদের কাজ কর্ম সম্পাদন করে।

পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা এই স্যাটেলাইটগুলো থেকে পৃথিবীর মানুষ উপকার লাভ করে।

স্যাটেলাইট এর উপকার সমূহ

এই যে আপনি আপনার স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটারের সামনে বসে এই আর্টিকেলটি পড়ছেন এটি সম্ভব হয়েছে মূলত স্যাটেলাইট এর কারণে। যদি পৃথিবী থেকে এই অসংখ্য স্যাটেলাইটগুলো মহাকাশে প্রেরণ করার না হতো তাহলে আপনার এই কার্যক্রম করা সম্ভব হতো না। আমরা দেশের যেকোন স্থানে বসে দেশেরই কিংবা বিদেশের যেকোনো ধরনের খেলা বা বিনোদন অনুষ্ঠান সরাসরি টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখতে পাই। এগুলো সম্ভব হয়েছে স্যাটেলাইটের কারণে। পৃথিবীর বেশিরভাগ যোগাযোগ মাধ্যমগুলো স্যাটেলাইট এর দরুন এই সম্ভব হয়ে থাকে।Satellites-1

স্যাটেলাইট গুলো যদি না থাকে তাহলে পৃথিবী মুহূর্তের মধ্যেই অচল হয়ে পড়বে কেননা আমরা যে সকল কাজগুলো অভ্যস্থ হয়ে পড়েছি সেগুলো স্যাটেলাইট ছাড়া করা কখনও সম্ভব হবে না। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা এই সকল কার্যক্রম আরও উন্নত করার জন্য চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে স্যাটেলাইট সম্পর্কিত জানা সকল ইনফরমেশন গুলো আরো আপডেট হয়ে যাবে।

স্মার্টফোনের বিকল্প হিসেবে নতুন প্রযুক্তির ভবিষ্যৎবাণী করলেন বিল গেটস

স্যাটেলাইট এর প্রকারভেদ

মহাকাশ বিষয়ক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংস্থা নাসা থেকেই বেশিরভাগ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই স্যাটেলাইটগুলো মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট এর প্রকারভেদ গুলো হল-

  • জিওস্টেশনারি
  • পোলার

জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট গুলো সাধারণত পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে অবস্থান করে। অন্যদিকে স্যাটেলাইটগুলো উত্তর ও দক্ষিণ দিকে অবস্থান করে। সাধারণত আমরা যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে স্যাটেলাইটগুলো সুবিধা পেয়ে থাকে সেগুলো জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর সমান গতিতে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ঘুরতে থাকে। এর ফলে জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট বল পৃথিবীর যে কোনো স্থানে তথ্য অন্য স্থানে প্রদান করতে সক্ষম। অন্যদিকে মহাকাশে থাকা পোলার স্যাটেলাইট গুলো বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলতে ব্যস্ত থাকে। সারাক্ষণ পৃথিবীর বিভিন্ন ছবি মেয়ে রুবা বিষুবরেখার ছবিগুলো তুলে পৃথিবীতে প্রেরণ করতে থাকে। এই পোলার স্যাটেলাইট গুলো খুব দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে পারে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছবি তুলতে খুব বেশি সময় তাদের লাগেনা।Satellites-3

স্যাটেলাইট কিভাবে চলে? স্যাটেলাইট শক্তি কোথায় পায়?

শক্তির উৎস হিসেবে স্যাটেলাইটে সোলার প্যানেল বা ব্যাটারি যোগ করা হয়। এই সোলার প্যানেল বা ব্যাটারি থেকে শক্তি গ্রহণ করে স্যাটেলাইট পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে এই সোলার সেল গুলো শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। সূর্যালোক না থাকলে স্যাটেলাইটের ব্যাটারিগুলো তাকে শক্তি প্রদান করে।

স্মার্টফোন বাচ্চাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ

স্যাটেলাইট কিভাবে পাঠানো হয়?

বেশিরভাগ স্যাটেলাইট রকেট বা স্পেস শাটল এর কার্গো পে এর সাহায্যে মহাকাশে প্রেরণ করা হয়। পৃথিবীর অভিকর্ষ কে ছাড়িয়ে যেতে এই রকেটকে প্রায় ঘন্টায় ২৫ হাজার ৩৯ মাইল ত্বরনে ছুটতে হয়। পৃথিবীর তার এবং মধ্যাকর্ষণ শক্তির মধ্যে যখন ভারসাম্য তৈরি হয় তখন স্যাটেলাইট পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে পারে।

কৃত্রিম উপগ্রহ উপস্থাপনের সময় পৃথিবীর এবং তার কক্ষীয় গতির জড়তা রয়েছে বা পৃথিবীর অভিকর্ষজ যে প্রভাব রয়েছে এই ভারসাম্য ঠিক না হলে স্যাটেলাইট কখনোই চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে হয়তো বা স্যাটেলাইট একটি সরল রেখায় উড়বে অথবা পৃথিবীতে পতিত হবে। এজন্য কৃত্রিম উপগ্রহ ১৫০ মাইল উচ্চতাবিশিষ্ট কক্ষপথে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১৭,০০০ মাইল গতিতে পরিভ্রমণ করানো হয়ে থাকে।

স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ সম্পর্কিত আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের বিস্তারিত তথ্য জানানো হলো। আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনারা স্যাটেলাইট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ জানতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য প্রদানের চেষ্টা করেছি। আমাদের উল্লেখিত সকল তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা।