কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় হলো কোকাকোলা। কোকাকোলা হল একপ্রকার কার্বোনেটেড কোমল পানীয়। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রেস্তোরাঁ জেনারেল ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর ভেন্ডিং মেশিন সহ বিভিন্ন স্থানে কোকো কলা বিক্রি করা হয়। বর্তমান পৃথিবীর প্রায় ২০০ টিরও বেশি দেশে কোকাকোলা বিক্রি হয়। সর্বপ্রথম প্রস্তুত করেছে জন পেম্বারটন। প্রায় একশ পয়ত্রিশ বছরের ইতিহাসে কোকাকোলা অসংখ্য মানুষের মন জয় করে আসছে। সারাবিশ্বে অতি পরিচিত এই পানি হের নামে রয়েছে আজব রকমের সব তথ্য। আমাদের আজকের এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা কোকাকোলা সম্পর্কে আজব তথ্য গুলো আপনাদের সামনে প্রকাশ করছি। Read in English
আপনি যদি কোকাকোলা পছন্দ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই কোকাকোলা নিয়ে এইসব আজব তথ্য গুলো জেনে থাকবেন। কোকাকোলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, কোকাকোলার ইতিহাস ইত্যাদি নিয়ে আমাদের আজকের এই নিবন্ধটি সাজানো হয়েছে। আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনারা কোকাকোলা সম্পর্কে জানা-অজানা অসংখ্য তথ্য সমূহ জানতে পারবেন।
কোকাকোলা তৈরীর ইতিহাস
১৮৮৬ সালে যখন আটলান্টা অফ উল্ট্রন কাউন্টি বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে আইন পাস করে তখন কোকাকোলার প্রথম প্রস্তুতকারী জন পেম্বারটন কোকাকোলা তৈরি শুরু করেন। ১৮৮৬ সালে কোকাকোলা একটি পেটেন্ট ভুক্ত ওষুধ হিসেবে বিক্রি শুরু হয়েছিল। স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এরকম বিশ্বাসের কারণে পুরো যুক্তরাষ্ট্রেই কোকাকোলার যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কোকাকোলা তৈরি শুরুর প্রথম বছরে মাত্র ৯ গ্লাস কোকাকোলা বিক্রি করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রতিদিন সারা বিশ্বে প্রায় ১৬০ কোটি গ্লাস কোকাকোলা বিক্রি করা হয়।
কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য
জন পেম্বারটন কোকাকোলা তৈরির সময় দাবি করেছিলেন কোকাকোলা বিভিন্ন রোগ প্রতিকার করে। তার দাবি মতে কোকাকোলা মরফিন আসক্তি বদহজম স্নায়ুবিক দুর্বলতা মাথাব্যথা এবং প্রভৃতি উপসর্গ করে বলে জানান। ১৮৮৬ সালের ২৯ শে মে আটলান্টা জার্নাল পত্রিকায় সর্বপ্রথম কোকাকোলার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।
কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য
কোকাকোলা নিয়ে অনেক আজব তথ্য রয়েছে। প্রায় শতাব্দী ধরেই কোকাকোলা নিয়ে এই সকল তথ্য ছড়িয়ে আসছে। সাধারণত আমরা বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে নানা ধরনের গুজব শুনে থাকি। কোকাকোলা নিয়েও এরকম অনেক গুজব রয়েছে।
মূলত কোকাকোলার প্রথম প্রস্তুতকারক জন পেম্বারটন কোকাকোলা সম্পর্কে প্রচার এর জন্যই প্রথমে এর প্রস্তুত প্রণালী প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকেন। তখন প্রচার করা হয় কোন কলাতে স্পেশাল দ্রব্য থাকে এবং এর প্রস্তুত প্রণালি পৃথিবীর সবচেয়ে সিক্রেট একটি জিনিস। এবং এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোকাকোলা জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে।
কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য
1925 সালে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য কোকাকোলার লিখিত প্রস্তুত প্রণালি জমা দিতে হয় প্রায় 95 বছর ধরে ব্যাংকের ভল্টে রয়েছে। সেই থেকে প্রচলিত হয়ে আসছে এটি কোকাকোলার একমাত্র লিখিত প্রস্তুত প্রণালী।
শুধু মাত্র দুইজন ব্যাক্তি জানেন আসল রেসিপি?
কোকাকোলা সম্পর্কে আরো একটি গুজব প্রচলিত আছে যে শুধুমাত্র দুইজন ব্যক্তি কোকাকোলার প্রস্তুত প্রণালী সম্পর্কে জানেন এবং তারা দুইজন একই সাথে একটি বিমানে উঠতে পারবেন না। তবে এটি মোটেও সঠিক নয়।
পৃথিবীর প্রায় ২০০ টি দেশে কোকাকোলা প্রস্তুত এবং বিক্রি করা হয়ে থাকে। প্রায় সাত লক্ষেরও বেশি মানুষ কোকাকোলা তৈরীর কাজে নিয়োজিত। এটি থেকে বোঝা যায় শুধু মাত্র দুইজন ব্যক্তি তৈরি করতে পারে না।
১৯২৫ এরপর কোম্পানি একটি নতুন পলিসি বানায়। সেই পলিসি অনুযায়ী বোর্ড প্রেসিডেন্ট এবং চেয়ারম্যান এর অনুমতি বাদে কোন কলা তৈরীর প্রস্তুত প্রণালী আর কেউ জানতে পারে না। এবং প্রস্তুত প্রণালি জানা ব্যক্তিরা সবসময় বিশেষ নজরদারিতে থাকে। কম্পানি জানাই কোকাকোলা তৈরির প্রস্তুত প্রণালি শুধুমাত্র স্বল্পসংখ্যক মানুষই জানে তবে সংখ্যাটি কখনোই নির্দিষ্ট নয়।
কোকাকোলা তৈরীর প্রস্তুত প্রণালী শুধু মাত্র দুইজন মানুষই জানে এমন একটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন থেকে ছড়িয়েছে। এই বিজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল যে প্রস্তুত প্রণালি তথ্য শুধুমাত্র দুজন ব্যক্তি জানেন তাই তারা কখনো একই বিমানে ভ্রমণ করে না।
Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Famous Quotes
কোকাকোলা তে শূকরের মাংস ব্যবহার করা হয় কি?
কোকাকোলার বেশিরভাগ প্রোডাক্টে কোন প্রকার আমিষ ব্যবহার করা হয় না। কোন ক্ষেত্রে আমিষ ব্যবহার করা হলে সেটিতে পশুর অংশ ব্যবহার করা হয় না। কোকাকোলা তে আমি হিসেবে মাঝে মাঝে দুধ অথবা মাছের অংশে ব্যবহার করা হয় যা রেসিপিতে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। তাই কোকাকোলা তে শূকরের মাংস ব্যবহার করা হয় এই কথার কোন ভিত্তি নেই।
১৯৯৩ সালে মাঠ নামে এক ব্যক্তি কোন কলার উপাদান গুলো নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেন। এছাড়াও ১৯৭৯ সালে পাওয়া একটি ডাইরির অংশে কোকাকোলার উপাদান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
কোকাকোলার মূল উপাদান কখনোই গোপন করা হয়নি। কোকাকোলা তৈরির পর থেকে বার করে আসছে। তবে এই উপাদানগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কম্পানি নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করে। মূলত কোন সম্পর্কিত বিভিন্ন গুজব এর জনপ্রিয়তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।