Category: আধুনিক বিজ্ঞান

কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য। শুধু মাত্র দুইজন ব্যাক্তি জানেন আসল রেসিপি?

কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় হলো কোকাকোলা।  কোকাকোলা হল একপ্রকার কার্বোনেটেড কোমল পানীয়। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রেস্তোরাঁ জেনারেল ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর ভেন্ডিং মেশিন সহ বিভিন্ন স্থানে কোকো কলা বিক্রি করা হয়। বর্তমান পৃথিবীর প্রায় ২০০ টিরও বেশি দেশে কোকাকোলা বিক্রি হয়। সর্বপ্রথম প্রস্তুত করেছে জন পেম্বারটন। প্রায় একশ পয়ত্রিশ বছরের ইতিহাসে কোকাকোলা অসংখ্য মানুষের মন জয় করে আসছে। সারাবিশ্বে অতি পরিচিত এই পানি হের নামে রয়েছে আজব রকমের সব তথ্য। আমাদের আজকের এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা কোকাকোলা সম্পর্কে আজব তথ্য গুলো আপনাদের সামনে প্রকাশ করছি। Read in English

আপনি যদি কোকাকোলা পছন্দ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই কোকাকোলা নিয়ে এইসব আজব তথ্য গুলো জেনে থাকবেন। কোকাকোলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, কোকাকোলার ইতিহাস ইত্যাদি নিয়ে আমাদের আজকের এই নিবন্ধটি সাজানো হয়েছে। আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনারা কোকাকোলা সম্পর্কে জানা-অজানা অসংখ্য তথ্য সমূহ জানতে পারবেন।

Nobel Prize Winners list 2021

কোকাকোলা তৈরীর ইতিহাস

১৮৮৬ সালে যখন আটলান্টা অফ উল্ট্রন কাউন্টি বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে আইন পাস করে তখন কোকাকোলার প্রথম প্রস্তুতকারী জন পেম্বারটন কোকাকোলা তৈরি শুরু করেন। ১৮৮৬ সালে কোকাকোলা একটি পেটেন্ট ভুক্ত ওষুধ হিসেবে বিক্রি শুরু হয়েছিল। স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এরকম বিশ্বাসের কারণে পুরো যুক্তরাষ্ট্রেই কোকাকোলার যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কোকাকোলা তৈরি শুরুর প্রথম বছরে মাত্র ৯ গ্লাস কোকাকোলা বিক্রি করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রতিদিন সারা বিশ্বে প্রায় ১৬০ কোটি গ্লাস কোকাকোলা বিক্রি করা হয়।

কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য

জন পেম্বারটন কোকাকোলা তৈরির সময় দাবি করেছিলেন কোকাকোলা বিভিন্ন রোগ প্রতিকার করে। তার দাবি মতে কোকাকোলা মরফিন আসক্তি বদহজম স্নায়ুবিক দুর্বলতা মাথাব্যথা এবং প্রভৃতি উপসর্গ করে বলে জানান। ১৮৮৬ সালের ২৯ শে মে আটলান্টা জার্নাল পত্রিকায় সর্বপ্রথম কোকাকোলার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।

Strange-facts-about-Coca-Cola-1

কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য

কোকাকোলা নিয়ে অনেক আজব তথ্য রয়েছে। প্রায় শতাব্দী ধরেই কোকাকোলা নিয়ে এই সকল তথ্য ছড়িয়ে আসছে। সাধারণত আমরা বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে নানা ধরনের গুজব শুনে থাকি। কোকাকোলা নিয়েও এরকম অনেক গুজব রয়েছে।

মূলত কোকাকোলার প্রথম প্রস্তুতকারক জন পেম্বারটন কোকাকোলা সম্পর্কে প্রচার এর জন্যই প্রথমে এর প্রস্তুত প্রণালী প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকেন। তখন প্রচার করা হয় কোন কলাতে স্পেশাল দ্রব্য থাকে এবং এর প্রস্তুত প্রণালি পৃথিবীর সবচেয়ে সিক্রেট একটি জিনিস। এবং এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোকাকোলা জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে।

কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য

1925 সালে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য কোকাকোলার লিখিত প্রস্তুত প্রণালি জমা দিতে হয় প্রায় 95 বছর ধরে ব্যাংকের ভল্টে রয়েছে। সেই থেকে প্রচলিত হয়ে আসছে এটি কোকাকোলার একমাত্র লিখিত প্রস্তুত প্রণালী।

শুধু মাত্র দুইজন ব্যাক্তি জানেন আসল রেসিপি?

কোকাকোলা সম্পর্কে আরো একটি গুজব প্রচলিত আছে যে শুধুমাত্র দুইজন ব্যক্তি কোকাকোলার প্রস্তুত প্রণালী সম্পর্কে জানেন এবং তারা দুইজন একই সাথে একটি বিমানে উঠতে পারবেন না। তবে এটি মোটেও সঠিক নয়।

Nelson Mandela Famous Quotes

পৃথিবীর প্রায় ২০০ টি দেশে কোকাকোলা প্রস্তুত এবং বিক্রি করা হয়ে থাকে। প্রায় সাত লক্ষেরও বেশি মানুষ কোকাকোলা তৈরীর কাজে নিয়োজিত। এটি থেকে বোঝা যায় শুধু মাত্র দুইজন ব্যক্তি তৈরি করতে পারে না।

Strange-facts-about-Coca-Cola১৯২৫ এরপর কোম্পানি একটি নতুন পলিসি বানায়। সেই পলিসি অনুযায়ী বোর্ড প্রেসিডেন্ট এবং চেয়ারম্যান এর অনুমতি বাদে কোন কলা তৈরীর প্রস্তুত প্রণালী আর কেউ জানতে পারে না। এবং প্রস্তুত প্রণালি জানা ব্যক্তিরা সবসময় বিশেষ নজরদারিতে থাকে। কম্পানি জানাই কোকাকোলা তৈরির প্রস্তুত প্রণালি শুধুমাত্র স্বল্পসংখ্যক মানুষই জানে তবে সংখ্যাটি কখনোই নির্দিষ্ট নয়।

কোকাকোলা তৈরীর প্রস্তুত প্রণালী শুধু মাত্র দুইজন মানুষই জানে এমন একটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন থেকে ছড়িয়েছে। এই বিজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল যে প্রস্তুত প্রণালি তথ্য শুধুমাত্র দুজন ব্যক্তি জানেন তাই তারা কখনো একই বিমানে ভ্রমণ করে না।

Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Famous Quotes

কোকাকোলা তে শূকরের মাংস ব্যবহার করা হয় কি?

কোকাকোলার বেশিরভাগ প্রোডাক্টে কোন প্রকার আমিষ ব্যবহার করা হয় না। কোন ক্ষেত্রে আমিষ ব্যবহার করা হলে সেটিতে পশুর অংশ ব্যবহার করা হয় না। কোকাকোলা তে আমি হিসেবে মাঝে মাঝে দুধ অথবা মাছের অংশে ব্যবহার করা হয় যা রেসিপিতে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। তাই কোকাকোলা তে শূকরের মাংস ব্যবহার করা হয় এই কথার কোন ভিত্তি নেই।

১৯৯৩ সালে মাঠ নামে এক ব্যক্তি কোন কলার উপাদান গুলো নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেন। এছাড়াও ১৯৭৯ সালে পাওয়া একটি ডাইরির অংশে কোকাকোলার উপাদান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।

কোকাকোলার মূল উপাদান কখনোই গোপন করা হয়নি। কোকাকোলা তৈরির পর থেকে বার করে আসছে। তবে এই উপাদানগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কম্পানি নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করে। মূলত কোন সম্পর্কিত বিভিন্ন গুজব এর জনপ্রিয়তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা কিসের উপর নির্ভর করে?

সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা কিসের উপর নির্ভর করে: বিশেষজ্ঞদের মতে খাদ্য নির্বাচনের ওপর শরীরের বর্ণ কেমন হবে তা নির্ভর করে না, সাধারণত সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা নির্ভর করে বাবা-মার কাছ থেকে সন্তান যে জিন পেয়েছে তার ওপর। সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা কিসের উপর নির্ভর করে এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই অনেক সময় জানতে চাই। আমরা আমাদের আজকের এই নিবন্ধের মাধ্যমে পাঠকদের এই প্রশ্নের উত্তর প্রদানের চেষ্টা করেছি। Read in English

শুধুমাত্র ত্বকের সৌন্দর্যে কোন মানুষের একান্ত আশার বিষয় কখনোই হতে পারেনা। গর্ভবতী মায়েদের উচিত সন্তানের রং এর কথা চিন্তা না করে একটি সুস্থ স্বাভাবিক ও মেধাবী শিশু জন্মদানের চেষ্টা করা। আমরা আমাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে পাঠকদের সুবিধার্থে সকল তথ্য সমূহ সহজ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশাকরি আমাদের আজকের এই আলোচনার পর থেকে আপনারা সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা কিসের উপর নির্ভর করে এই বিষয়ক তথ্য সমূহ জানতে পারবেন। 

ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করবে যে ৬ টি খাবার

সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা কিসের উপর নির্ভর করে

গর্ভবতী মহিলাদের স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি ক্ষুধা পায়। এবং গর্ভাবস্থায় ঠিক সময়মতো খাওয়া-দাওয়া করা টা খুবই জরুরী। ঠিক সময় নিয়ম মেনে খাবার গ্রহণ শিশুর জন্য খুবই উপকারী। গর্ভাবস্থায় অবশ্যই অ্যালকোহল এর অভ্যাস বর্জন করা উচিত। গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, খুব বেশি ওজন হলে প্রি ম্যাচিউর বেবির জন্ম হয় যা বাচ্চার আইকিউর ওপর প্রভাব ফেলে।

গর্ভাবস্থায় অবশ্যই নিয়মিত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। এই ব্যায়ামের ফলে শিশুর ব্রেনের গঠন ভালো হয় এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠনে সহায়তা করে।

সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা কিসের উপর নির্ভর করে

গর্ভের শিশুর সাথে নিয়মিত কথা বলা উচিত, এই সময় গর্ভবতী মায়ের ধর্মীয় বই বা বিখ্যাত মণীষীদের জীবনী পড়া উচিত। গবেষণাই জানা যাই গর্ভাবস্থায় শিশুর যে কণ্ঠস্বর শুনেছে জন্মের পর সেই কণ্ঠস্বর শুনলে শিশু শান্ত হয়।

যে খাবার খেলে শিশুর বর্ণ ফর্সা হতে পারে

নিচে কিছু খাবারের তালিকা উল্লেখ করা হলো যেগুলো নিয়মিত খেলে শিশুর বর্ণ ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

নারিকেল

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী নারিকেলের সাদা অংশ গর্ভের শিশুর রং ফর্সা করতে পারে। তবে উল্লেখ্য যে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত নারিকেল খাওয়া কখনোই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

মস্তিষ্ক সুস্থ রাখার উপায় । মস্তিষ্কের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার

দুধ

গর্ভাবস্থায় দুধ পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুধ শিশুর ব্রেন ও হাড় গঠনে সহায়তা করে। তাই গর্ভবতী মায়ের নিয়মমতো দুধ খেতে হবে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী দুধ শিশুর রং ফর্সা করতে সাহায্য করে।

জাফরান দুধ

গর্ভাবস্থায় অনেক গর্ভবতী মায়েরা জাফরান মিশ্রিত দুধ খেয়ে থাকেন। প্রচলিত রয়েছে জাফরান সহ দুধ খেলে গর্ভের শিশুর রং ফর্সা হয়।Depending-on-What-the-Child-Black-or-White-2টমেটো

টমেটোতে লাইকোপেন থাকে যা শরীরকে ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রং থেকে এবং সূর্যের প্রখর আলো থেকে রক্ষা করে। মনে করা হয় গর্ভাবস্থায় নিয়মমতো টমেটো খেলে গর্ভের শিশুর রং ফর্সা হয়।

চেরি ও বেরি জাতীয় ফল

চেরি ও বেরি জাতীয় ফল উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। চেরি ও বেরি জাতীয় ফল টক এর বিভিন্ন ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। তাই গর্ভাবস্থায় অনেকেই স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি ফল খায় গর্ভের শিশুর রং ফর্সা করার উদ্দেশ্যে।

ধুমপান এর ক্ষতিকর দিক সমূহ এবং ভুল ধারণা

ডিম

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে ডিমের সাদা অংশ খাওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় তিন মাসে ডিমের সাদা অংশ খেলে শিশুর রং ফর্সা হয় এরকম প্রচলিত ধারণা রয়েছে।

গর্ভাবস্থায় অবশ্যই ডিম খাওয়া খুব জরুরি। দি শিশুর দৈহিক গঠন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ত বে কোন সময় সংবাদে খাওয়া চলবে না।

আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে যে সকল তথ্য বলে উল্লেখ করা হলো সেগুলো অনুসরণ করে শিশুর রং ফর্সা হবে বলে আশা করা যায়। তবে আবারো বলা হচ্ছে যে কোনভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য দিয়ে একজনকে বিচার করা সঠিক নয়। বাবার কাছ থেকে এবং মায়ের কাছ থেকে সন্তান যেদিন লাভ করে সেই জিনের মাধ্যমে তার গায়ের রং নির্ধারণ করা হয়।

আজকের আলোচনার কোনো অংশ বুঝতে সমস্যা হলে অথবা আলোচনা সম্পর্কিত যে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের সকল প্রকার সাহায্য করার আপ্রাণ চেষ্টা করব। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোন তথ্য সমূহ জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল প্রকার তথ্যসমূহ নিয়মিত ভাবে প্রকাশ করা হয়। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ একই হলে সুবিধা ও অসুবিধা

স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ একই হলে সুবিধা ও অসুবিধা: স্বামী ও স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ এক হলে নানা ধরনের সুবিধা ও অসুবিধা বিদ্যমান। আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে এই সম্পর্কিত তথ্য জানাবো। স্বামী ও স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ এক হলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে সে তথ্য গুলো জানতে হলে আমাদের এই আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। স্বামী ও স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ অনেক ক্ষেত্রেই এক হতে পারে সেই ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি এবং এর ফলে আমাদের কি কি সমস্যায় ভুগতে হতে পারে বা আমরা কি কি সুবিধা পেতে পারি সে সংক্রান্ত তথ্য সমূহ আজকে বিস্তারিতভাবে জানাবো। Read in English 

আশা করি আপনারা অনেকেই এ সম্পর্কিত তথ্য জানতে আগ্রহী এবং আমাদের আলোচনা থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য জেনে আপনারা উপকৃত হবেন। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখে থাকি স্বামী ও স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ একই হলে বা তাদের ব্লাড গ্রুপ মিলে গেলে বাচ্চা জন্মের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা হয়। তবে বর্তমান বিজ্ঞান এসকল সমস্যার সমাধান জানিয়েছে। আপনি নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলেই সকল সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এসকল তথ্য আজকের নিবন্ধে প্রকাশিত হয়েছে।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় ( Online Earning Way)

স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ একই হলে সুবিধা ও অসুবিধা

স্বামী এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একই হলে সাধারণত কোন ধরনের সমস্যা দেখা যায় না। তবে যদি স্বামীর রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হয় সে ক্ষেত্রে লিথাল জিন বা মারণ জিন নামক একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাধা দেয়। তাই অবশ্যই বিয়ের সময় স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে জানতে হবে।

লিথাল জিন বা মারন জিন এর ফলে মৃত বাচ্চার জন্ম হতে পারে অথবা বাচ্চা হতে পারে জন্মান্ধ। এছাড়াও যখন কোন নেগেটিভ গ্রুপের মাধ্যমে ধারণ করে তখন সাধারণত প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে কোন রকম সমস্যা হয় না তবে ডেলিভারির সময় ভ্রূণের রক্ত গর্ভফুল এর বাধা ভেদ করে মায়ের শরীরে প্রবেশ করে। এবং মায়ের শরীরেও প্রসবের সময় যে রক্ত প্রবেশ করবে তা প্রসবের কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে আরএইচ অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এবং দ্বিতীয় সন্তানের সময় তার বোনের ব্লাড গ্রুপ যদি পজিটিভ হয় তাহলে মায়ের শরীরে আগে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল সেটি প্লাসেন্টার এর বাধা ভেদ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করে। স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ একই হলে সুবিধা ও অসুবিধা। 

স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ একই হলে সুবিধা ও অসুবিধা-1

স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হলে করণীয়

স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ’ হলে অবশ্যই কিছু করণীয় আছে। স্বামীর রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ হলে বাচ্চার জন্মের সময়ই তার রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করার পর যদি দেখা যায় বাচ্চার রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ তাহলে কোন কিছু করার প্রয়োজন হয় না কিন্তু যদি বাচ্চার রক্তের গ্রুপ পজিটিভ হয় তাহলে অবশ্যই এন্টি ডি ইনজেকশন দিতে হবে ডেলিভারী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে।

অনলাইন ইনকাম সোর্স কোনগুলো

এন্টি ডি ইনজেকশন এবং নিজ স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ হলে অবশ্যই যদি বাচ্চার ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ হয় তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাকে এন্টি ডি ইনজেকশন দিতে হবে। এবং অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে সন্তানের যে জটিলতা হয়

স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় বা স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হওয়া ভালো না এটা একটু বহুল প্রচলিত কোনো সত্যতা নেই। স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কোন সমস্যা হয় না। তবে আগেই আমরা উল্লেখ করেছি স্ত্রী নেগেটিভ আর স্বামী পজেটিভ হলে এবং সন্তান পিতার গ্রুপ পেলে নবজাতকের জন্ডিস সহ বেশ কিছু জটিলতা হতে পারে। স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ একই হলে সুবিধা ও অসুবিধা। স্বামী স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ একই হলে সুবিধা ও অসুবিধা

তাই সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আগে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাচ্চার জন্মের পূর্বে স্বামী স্ত্রীকে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। বাচ্চা যদি পজিটিভ রক্তের গ্রুপ পায় তাহলে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার প্রয়োজনে ইনজেকশন দিতে হবে।

পেওনিয়ার থেকে কিভাবে বিকাশে টাকা আনবেন

আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ এবং স্ত্রীর রক্তের নেগেটিভ হলে কি জটিলতা হয় এবং স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একই হলে কোন রকম সমস্যা হয় কিনা সে বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করেছি। আলোচনার কোনো অংশ যদি বুঝতে সমস্যা হয় অথবা আলোচনা সম্পর্কিত কোন তথ্য জানতে চাইলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনার যেকোনো সমস্যার সমাধান করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মহাকাশে মোট কতটি স্যাটেলাইট আছে? এবং এদের কাজ কি?

মহাকাশে মোট কতটি স্যাটেলাইট আছে? এবং এদের কাজ: প্রিয় পাঠকগণ, বর্তমানে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বাস করছি। যেই যুগে ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, টেলিভিশন ইত্যাদি ছাড়া জীবন কল্পনাও করা যায় না। তবে একসময় কিন্তু এসবের কিছুই ছিল না। তখন জীবন চলত স্বাভাবিক নিয়মে। এই যে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করছি স্মার্টফোন বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে বিশ্বের অন্য প্রান্তের খবর খুব সহজে পেয়ে যাচ্ছি এই সকল কিছু সম্ভব হয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট এর কল্যাণে। স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যতীত কোন ভাবেই এগুলো সম্ভব হতো না। সারা বিশ্বের প্রায় ৪০ টির ও বেশি দেশ থেকে প্রায় ৯ হাজার কৃত্রিম উপগ্রহ মহাবিশ্বে পৃথিবীর চারপাশে ঘুর না এমন অবস্থায় রয়েছে। Read in English

এই স্যাটেলাইটগুলো কিভাবে কাজ করে থাকে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয় আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয়। স্যাটেলাইট গুলো কিভাবে কাজ করে থাকে এবং এই স্যাটেলাইট এর কল্যাণে আমাদের পৃথিবীটা কত এগিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। সকল মানুষই এই সকল বিজ্ঞানের তথ্য জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। এগুলো জানতে এবং জানাতে সবারই খুব ভালো লাগে। আমি আপনাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে সংক্ষিপ্তভাবে স্যাটেলাইট সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি আজকে আলোচনাটি আপনার খুব ভালো লাগবে।

স্যাটেলাইট এর পরিচিতি

স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমাদের প্রথমে জানা প্রয়োজন স্যাটেলাইট বলতে কী বোঝায়। স্যাটেলাইট মূলত একটি ল্যাটিন শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ অনুসরণ করা। স্যাটেলাইট এমন একটি বস্তু যা অপর একটি বড় বস্তু কে কেন্দ্র করে তার চারপাশে ঘুরতে থাকে।

আমরা যদি স্যাটেলাইটের এমন একটি সংজ্ঞা দাঁড় করায় তাহলে আমরা বুঝতে পারবো যে পৃথিবীর একটি স্যাটেলাইট কেন না সে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান।Satellites-2

আবার চাঁদ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে তার ফলে চাঁদ কিন্তু একটা স্যাটেলাইট। তবে চাঁদ বা পৃথিবীর প্রাকৃতিক স্যাটেলাইট। এবং যেই স্যাটেলাইটগুলো মানুষ তৈরি করে পৃথিবীর চারপাশে কেন্দ্র করে ঘোরার জন্য মহাকাশে প্রেরণ করেছে সেগুলো কৃত্তিম স্যাটেলাইট। আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় এই কৃত্রিম স্যাটেলাইট কে নিয়ে।

নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে?

মহাকাশে কোন দেশের কতটি স্যাটেলাইট আছে?

এই মাত্র আমরা জানালাম প্রায় ৪০ টি দেশ ৯ হাজারের মতো স্যাটেলাইট মহাবিশ্বে উৎক্ষেপণ করেছে। সবচেয়ে বেশি স্যাটেলাইট রয়েছে আমেরিকার।

এখন পর্যন্ত আমেরিকা ১,৬১৬ টি স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে।

আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের স্যাটেলাইট রয়েছে 88 টি।

পাকিস্তানের স্যাটেলাইট রয়েছে ৩ টি।

ফুটবলের দেশ আর্জেন্টিনার স্যাটেলাইট রয়েছে ১৮ টি।

আরো একটি ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে স্যাটেলাইট রয়েছে মোট ১৭ টি।

মহাকাশে সাউথ কোরিয়ার ২৭ টি স্যাটেলাইট রয়েছে।

মহাকাশে রাশিয়ার স্যাটেলাইট কতটি আছে তা নিয়ে দ্বিমত থাকলেও সংখ্যাটি ১৪২ এর আশেপাশে।

থাইল্যান্ডের ৯ টি স্যাটেলাইট রয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত দেশ জাপানের মোট ১৭২ টি স্যাটেলাইট মহাকাশে রয়েছে।

বাংলাদেশের একটি এবং কেনিয়ার ১ টি স্যাটেলাইট রয়েছে। এছাড়াও চীনের মতো দেশে অনেক স্যাটেলাইট বিদ্যমান।

বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের রং কালো দেখায় কেন?

স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে

স্যাটেলাইট মূলত একটি বস্তু যেখানে বলকে কাজে লাগানো হয়। পৃথিবীর অভিকর্ষ বল কে উপেক্ষা করে খুব দ্রুত অতিক্রম করতে থাকে বলে স্যাটেলাইট মহাকাশে ভাসতে থাকে পৃথিবীতে ছিটকে পড়ে না। পৃথিবীর কনভেনশন স্যাটেলাইটগুলো কে মহাকাশে গমন করতে সাহায্য করে এবং পৃথিবীতে পুনরায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে।

পৃথিবীর কক্ষপথে অনেক অংশজুড়ে রয়েছে স্যাটেলাইট গুলো ঘোরার জন্য অরবিট সমূহ। অরবিট গুলো পৃথিবীর কক্ষপথে ১৬০ থেকে ২,০০০ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থান করে। এই ক্ষেত্র জুড়ে আইএসএস এবং অন্য শাটল আরবি তাদের কাজ কর্ম সম্পাদন করে।

পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা এই স্যাটেলাইটগুলো থেকে পৃথিবীর মানুষ উপকার লাভ করে।

স্যাটেলাইট এর উপকার সমূহ

এই যে আপনি আপনার স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটারের সামনে বসে এই আর্টিকেলটি পড়ছেন এটি সম্ভব হয়েছে মূলত স্যাটেলাইট এর কারণে। যদি পৃথিবী থেকে এই অসংখ্য স্যাটেলাইটগুলো মহাকাশে প্রেরণ করার না হতো তাহলে আপনার এই কার্যক্রম করা সম্ভব হতো না। আমরা দেশের যেকোন স্থানে বসে দেশেরই কিংবা বিদেশের যেকোনো ধরনের খেলা বা বিনোদন অনুষ্ঠান সরাসরি টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখতে পাই। এগুলো সম্ভব হয়েছে স্যাটেলাইটের কারণে। পৃথিবীর বেশিরভাগ যোগাযোগ মাধ্যমগুলো স্যাটেলাইট এর দরুন এই সম্ভব হয়ে থাকে।Satellites-1

স্যাটেলাইট গুলো যদি না থাকে তাহলে পৃথিবী মুহূর্তের মধ্যেই অচল হয়ে পড়বে কেননা আমরা যে সকল কাজগুলো অভ্যস্থ হয়ে পড়েছি সেগুলো স্যাটেলাইট ছাড়া করা কখনও সম্ভব হবে না। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা এই সকল কার্যক্রম আরও উন্নত করার জন্য চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে স্যাটেলাইট সম্পর্কিত জানা সকল ইনফরমেশন গুলো আরো আপডেট হয়ে যাবে।

স্মার্টফোনের বিকল্প হিসেবে নতুন প্রযুক্তির ভবিষ্যৎবাণী করলেন বিল গেটস

স্যাটেলাইট এর প্রকারভেদ

মহাকাশ বিষয়ক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংস্থা নাসা থেকেই বেশিরভাগ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই স্যাটেলাইটগুলো মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট এর প্রকারভেদ গুলো হল-

  • জিওস্টেশনারি
  • পোলার

জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট গুলো সাধারণত পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে অবস্থান করে। অন্যদিকে স্যাটেলাইটগুলো উত্তর ও দক্ষিণ দিকে অবস্থান করে। সাধারণত আমরা যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে স্যাটেলাইটগুলো সুবিধা পেয়ে থাকে সেগুলো জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর সমান গতিতে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ঘুরতে থাকে। এর ফলে জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট বল পৃথিবীর যে কোনো স্থানে তথ্য অন্য স্থানে প্রদান করতে সক্ষম। অন্যদিকে মহাকাশে থাকা পোলার স্যাটেলাইট গুলো বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলতে ব্যস্ত থাকে। সারাক্ষণ পৃথিবীর বিভিন্ন ছবি মেয়ে রুবা বিষুবরেখার ছবিগুলো তুলে পৃথিবীতে প্রেরণ করতে থাকে। এই পোলার স্যাটেলাইট গুলো খুব দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে পারে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছবি তুলতে খুব বেশি সময় তাদের লাগেনা।Satellites-3

স্যাটেলাইট কিভাবে চলে? স্যাটেলাইট শক্তি কোথায় পায়?

শক্তির উৎস হিসেবে স্যাটেলাইটে সোলার প্যানেল বা ব্যাটারি যোগ করা হয়। এই সোলার প্যানেল বা ব্যাটারি থেকে শক্তি গ্রহণ করে স্যাটেলাইট পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে এই সোলার সেল গুলো শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। সূর্যালোক না থাকলে স্যাটেলাইটের ব্যাটারিগুলো তাকে শক্তি প্রদান করে।

স্মার্টফোন বাচ্চাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ

স্যাটেলাইট কিভাবে পাঠানো হয়?

বেশিরভাগ স্যাটেলাইট রকেট বা স্পেস শাটল এর কার্গো পে এর সাহায্যে মহাকাশে প্রেরণ করা হয়। পৃথিবীর অভিকর্ষ কে ছাড়িয়ে যেতে এই রকেটকে প্রায় ঘন্টায় ২৫ হাজার ৩৯ মাইল ত্বরনে ছুটতে হয়। পৃথিবীর তার এবং মধ্যাকর্ষণ শক্তির মধ্যে যখন ভারসাম্য তৈরি হয় তখন স্যাটেলাইট পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে পারে।

কৃত্রিম উপগ্রহ উপস্থাপনের সময় পৃথিবীর এবং তার কক্ষীয় গতির জড়তা রয়েছে বা পৃথিবীর অভিকর্ষজ যে প্রভাব রয়েছে এই ভারসাম্য ঠিক না হলে স্যাটেলাইট কখনোই চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে হয়তো বা স্যাটেলাইট একটি সরল রেখায় উড়বে অথবা পৃথিবীতে পতিত হবে। এজন্য কৃত্রিম উপগ্রহ ১৫০ মাইল উচ্চতাবিশিষ্ট কক্ষপথে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১৭,০০০ মাইল গতিতে পরিভ্রমণ করানো হয়ে থাকে।

স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ সম্পর্কিত আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের বিস্তারিত তথ্য জানানো হলো। আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনারা স্যাটেলাইট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ জানতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য প্রদানের চেষ্টা করেছি। আমাদের উল্লেখিত সকল তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা।

১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি কিভাবে তোলা হলো?

১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি: সম্প্রতি নাসা ৪৫০ কোটি বছর থেকে শুরু করে ১৩০০ কোটি বছর আগের পর্যন্ত বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। নাসা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে এই ছবিগুলো তুলেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইরের এই সকল ছবিগুলো অবমুক্ত করে গর্ভের সাথে অনেক বড় একটি ভাষণ দিয়েছেন। এখন আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে নাসা ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি কিভাবে তুললো। ১৩৮০ কোটি বছর আগে মহাবিশ্বের জন্ম, বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে। তখন এই পৃথিবী ছিলনা আবার এই সৌরজগত ছিল না। Read in English

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় ( Online Earning Way)

এটা কিভাবে সম্ভব? অর্থাৎ জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ পৃথিবীর জন্মের আগের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। এই টেলিস্কোপ কি টাইম মেশিনে গিয়ে ১৩০০ কোটি বছর আগে চলে গিয়েছিল? তারপর এই ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে? আমাদের আজকের এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা এই সকল তথ্যগুলো আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করব। চলুন তাহলে মূল আলোচনায় ফিরে আসা যাক এবং ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি গুলো কিভাবে তোলা হল এবং এর পিছনে বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করছেন সেগুলো জানার চেষ্টা করি।

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ টি বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে। এবং সেইখান থেকেই পৃথিবীর বা আমাদের এই সৌরজগতের প্রায় ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। নাসা বলছে মহাশূন্যের সবচেয়ে স্পষ্ট এবং গভীরতম ইনফ্রা রেড ছবি এটি।

বর্তমানে এই ছবিটি বিশ্বজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বিজ্ঞান কতটা এগিয়ে গেছে আমরা তা এখন বুঝতে পারছি। মনে করা হচ্ছে, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের সবেমাত্র শুরু এটি। এই টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে পৃথিবী সম্পর্কিত এবং আমাদের সৌরজগৎ সম্পর্কিত আরো অনেক তথ্য জানার এখনো বাকি রয়েছে।

SEE MORE

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন জেমস ওয়েট টেলিস্কোপ আমাদের নতুন দিগন্তে নিয়ে এসে হাজির করবে। আমরা ধীরে ধীরে এমন সকল তথ্য জানতে পারবো যা আগে কখনোই কল্পনা করতে পারিনি। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ টি কিভাবে ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠালো তা জেনে নেই।

১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি

নাসা ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি তুলে প্রকাশ করেছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে এই ছবি তোলা হয়। নাসা কর্তৃক প্রকাশিত এই ছবিগুলোতে মহাবিশ্বের ছড়িয়ে থাকা জল জলে অসংখ্য নক্ষত্রের আলোকরশ্মির বিচ্ছুরণ ফুটে উঠেছে। এই ছবিটিকে মহাবিশ্বের প্রাচীনতম রূপ বলে ধরা হচ্ছে। বর্তমান পৃথিবীতে এই ছবিগুলো নিয়ে হইচই পড়ে গেছে।

১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি-1১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি-2

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এর পূর্বেও নাসা আগের হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে ছবি তুলেছিল। তবে হাবল টেলিস্কোপের ছবিগুলোর থেকে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে তোলা ছবিগুলো অনেক বেশি পরিষ্কার। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ হাবল টেলিস্কোপের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। জেমস ওয়েট টেলিস্কোপ তৈরি করতে খরচ হয়েছে এক হাজার কোটি ডলার।

SEE MORE

জেমস হাবল টেলিস্কোপ টি প্রায় ৩ যুগ ধরে নির্মিত। আশা করা যায় এই টেলিস্কোপ টি মহাবিশ্বের সম্পর্কে পুরো পৃথিবীর ধারণাকে পাল্টে দিবে।

কিভাবে এই ছবি তোলা হল?

আমরা জানি সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে প্রায় ৮ মিনিট সময় লাগে। অর্থাৎ আমরা প্রতিনিয়ত যে সূর্যকে দেখতে পাই তা ৮ মিনিট আগের সূর্য। সূর্য যদি কোন কারনে বন্ধ হয়ে যায় বা সূর্যের আলো নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আমরা তা ৮ মিনিট পরে জানতে পারব। আমরা যে সকল নক্ষত্র গুলো দেখতে পাই সেগুলোর হ্যালো পৃথিবীতে আসতে প্রায় চার হাজার বছরের মতো সময় লাগে। এগুলো এতটাই দূরে অবস্থিত।

অর্থাৎ আমরা আকাশের দিকে তাকালে যে নক্ষত্র গুলো দেখতে পায় তা প্রায় চার হাজার বছর আগের। আমরা যদি টেলিস্কোপ দিয়ে মহাকাশে তাকাই তাহলে এমন অনেক প্রকার নক্ষত্র দেখতে পাবো। এমনও হতে পারে অনেক নক্ষত্রগুলো বর্তমানে মরে গেছে কিন্তু সেই গুলো থেকে যে আলো নির্গত হয়েছিল তা বর্তমানে আমরা টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। অর্থাৎ ব্যাপারটা এমন যে আমরা দেখছি ওই নক্ষত্রটি আছে কিন্তু আসলে সেটি নেই।

SEE MORE

১৩০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের এই সকল ছায়া পথের আলো এতদিন পরে টেলিস্কোপে এসে ধরা পড়ছে। অর্থাৎ আমরা ছবিটি বর্তমানে তুললেও যে আলো গুলোর মাধ্যমে ছবিটি তোলা হচ্ছে তা প্রায় ১৩০০ কোটি বছর পুরনো। এই ভাবেই আমরা ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি দেখতে পাচ্ছি।

বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের রং কালো দেখায় কেন?

উপসংহার

বিগ ব্যাং এর শুরুতে এই মহাজগতের প্রসারণ বেগ অনেক বেশি ছিল। এবং তার ফলে আলোর গতির চেয়ে বহুগুণ বেশি এই গতিতে আমরা এতদূরে এসে পড়েছি। বর্তমানে সেই গতি আর নেই। যার ফলে ১৩০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ছায়া পথ গুলোর আলো এখন আমরা আমাদের টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি।

১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি কিভাবে তোলা হলো এবং কিভাবে আমরা এই ছবিগুলো এখন দেখতে পাচ্ছি আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এরপরেও যদি কোন অংশ বুঝতে সমস্যা হয় অথবা নতুন কিছু জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণী কি স্বপ্ন দেখতে পারে

মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণী কি স্বপ্ন দেখতে পারে: মানুষ ব্যতীত অন্য কোনো প্রাণী দাও কি স্বপ্ন থাকে এইটা আমাদের জানার একটা আকাঙ্ক্ষা। অনেকে এ বিষয়ে জানতে চাই। ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে না এমন মানুষের সংখ্যা আমাদের এই পৃথিবীতে নিতান্তই কম। আমরা ঘুমের সময় ভালো-খারাপ ভয় ইত্যাদি স্বপ্ন দেখে থাকি। আমাদের এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা নিয়ে বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। একদল বিজ্ঞানী স্বপ্ন নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালাচ্ছে। আর তাদের এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। Read in English

মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণী কি স্বপ্ন দেখতে পারে এই সংক্রান্ত তথ্যাদি আমাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আপনার প্রশ্নের উত্তর হতে পারে মানুষের মত অন্য প্রাণীরা ও স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখার সময় তাদের মস্তিষ্কেও নানা রকম পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। বিজ্ঞানীরা এই পরিবর্তনকেই স্বপ্নের সাথে তুলনা করেছেন। চলুন এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

Top 5 Online Income sources

মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণী কি স্বপ্ন দেখতে পারে

মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর স্বপ্ন বিষয়ক তথ্যগুলোকে গবেষণা করার জন্য বিজ্ঞানীরা আলাদা একটি শাখা তৈরি করেছেন যে শাখার নাম অনাইরলজি। বিজ্ঞানের এই শাখার বিজ্ঞানীরা স্বপ্ন বিষয়ক অনেক আজব তথ্য প্রকাশ করেছে। এই যেমন মনে করেন, একজন মানুষ যদি ৭০ বছর বাঁচে তাহলে তার জীবদ্দশায় প্রায় ৬ বছর সে স্বপ্ন দেখে কাটিয়ে ফেলে।

মানুষ ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীরা ও স্বপ্ন দেখে। একজন মানুষ স্বপ্ন দেখার সময় তার শরীরে বা মস্তিষ্কে যে ধরনের পরিবর্তন ঘটে এই পরিবর্তনগুলো অনেক প্রাণীর ক্ষেত্রে দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রাণী দের কে নিয়ে এই পরীক্ষা চালিয়েছেন। ঘুমানোর সময় সেই প্রাণীদের মস্তিষ্কে কিরূপ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সেই থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণীরা মোটামুটি স্বপ্ন দেখে। তবে তারা স্বপ্নের কথা প্রকাশ করতে পারে না।

মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণী কি স্বপ্ন দেখতে পারে1

মানুষ কিভাবে স্বপ্ন দেখে

ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখার সময় মানুষের মস্তিষ্কে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে। ঘুমের বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্যে আর ই এম (র্যাপিড আই মুভমেন্ট) অন্যতম। মানুষের ঘুমের এই পর্যায়ে মানুষ স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখার সময় মানুষের মস্তিষ্কে অনেক ধরনের পদ্ধতি ক্রিয়া-কলাপ সংঘটিত হয়। এই ক্রিয়া-কলাপ গুলোকে মানুষ স্বপ্ন হিসেবে তার মস্তিষ্কে ধারণ করে। ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখার সময় মানুষের মস্তিষ্কে যে ধরনের পরিবর্তন গুলো লক্ষ্য করা যায় সেই পর্যায়ে আর ই এম সর্বপ্রথম আবিষ্কার হয় ১৯৫৩ সালে।

How to make money online (অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়)

আবিষ্কার হওয়ার পরে বিভিন্ন প্রাণীর ঘুমের সময় তাদের মস্তিষ্কে এই পর্যায়ের উপস্থিতি খোঁজার জন্য বিভিন্ন গবেষণা চালানো হয়। যদি অন্য কোন প্রাণীর মস্তিষ্কে এই ধরনের পর্যায় গুলো লক্ষ্য করা যায় তাহলে বলা যেতে পারে তারাও স্বপ্ন দেখছে।

মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীদের স্বপ্ন দেখা

অন্যান্য প্রাণীদের সব অনুভূতি নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক গবেষণা চালানো হয়েছে। মানুষ ব্যতীত অন্যান্য অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে আর ই এম (র্যাপিড আই মুভমেন্ট) পর্যায়ে লক্ষ্য করা গেছে। যেহেতু আমরা জানি এই পর্যায়ে টির কারণেই মানুষ স্বপ্ন দেখে তাই অন্যান্য প্রাণীদের মস্তিষ্কে এই পর্যায়ের উপস্থিতি মানে তারাও স্বপ্ন দেখতে পারে।

মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণী কি স্বপ্ন দেখতে পারে-2

অন্যান্য সকল প্রাণীদের মধ্যে ও স্বপ্নের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। ন আমরা যেমন ভাল, মন্দ, খারাপ ভয় নানা বিষয়ে স্বপ্ন দেখি এসকল প্রাণীগুলো ও স্বপ্ন দেখতে পারে। হয়তোবা তাদের সমগোত্রীয় প্রাণীদের নিকট এই স্বপ্নের কথা প্রকাশ করতেও পারে। যে বিষয়টি এখন আমাদের অজানা। মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণী কি স্বপ্ন দেখতে পারে। 

স্বপ্ন সংক্রান্ত তথ্যের জন্য অন্যান্য প্রাণীদের ওপর গবেষণা

অন্যান্য প্রাণী গুলো স্বপ্ন দেখে কিনা এই পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিজ্ঞানীগণ নানা ধরনের গবেষণা চালিয়ে আসছে। নিউরন জার্নাল ২০০১ সালে একটি ইঁদুর নিয়ে পর্যবেক্ষণ চালায়। দৌড়াদৌড়ি কালে এবং ঘুমানোর সময় উক্ত প্রাণীর মস্তিষ্কে একই ধরনের কার্যকলাপ লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ বলা যায় ইঁদুর স্বপ্ন দেখেনা।

Earn Money by Playing Games Bkash Payment (500-5000 Taka per day)

আবার ২০১৫ সালে ইলাইফ জার্নাল একটি পর্যবেক্ষণ চালায়। ইঁদুরের ওপর তারা একটি পরীক্ষা চালায় যার ফলাফল পরবর্তীতে প্রকাশ করে। এই পরীক্ষায় কতগুলো ইঁদুরকে অনেকগুলো খাবার দেখানোর পরে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ঘুমানোর সময় তাদের মস্তিষ্কের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন এদের মস্তিষ্কে কিছু কোষ কিভাবে খাবার সংগ্রহ করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা করছে। অর্থাৎ ইঁদুর স্বপ্ন দেখছে।

এসকল গবেষণার ফলাফল হিসেবে আমরা বলতে পারি শুধু মানুষ নই, অন্যান্য প্রাণীরাও স্বপ্ন দেখতে পারে।