Category: বিজ্ঞান বাক্স

আকাশ নীল দেখায় কেন?

আকাশ নীল দেখায় কেন? : নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে আমাদের কত না ভালো লাগে। খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে কেমন করে যেন মন ভালো হয়ে যায়

আকাশের দিকে তাকাও তাহলেই তুমি রংধনু খুজে পাবে, না হলে তোমার জীবন অন্ধকারেই থেকেই যাবে।
— চার্লি চ্যাপলিন

অনেক সাহিত্যিক লেখক কবি আকাশ নিয়ে অনেক কবিতা লিখে গেছেন সাহিত্য লিখেছেন।

কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন আকাশ নীল দেখায় কেন? কেনইবা আকাশের রং সবুজ হলো না? Read in English

আপনি যদি না জেনে থাকেন আকাশ নীল দেখায় কেন তাহলে আপনি আজকে তা জানতে পারবেন। আমাদের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব। সুতরাং আকাশ নীল দেখায় কেন জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

দুঃস্বপ্ন দূর করে শান্তির ঘুম আনার চিকিৎসা

আকাশ নীল দেখায় কেন?

আকাশ নীল দেখায় কেন এই প্রশ্নটা হয়তো অনেকের মাঝেই রয়েছে। আবার অনেকেই জানতে চেয়েছেন আকাশ নীল দেখায় কেন? বর্তমান সময়ে ফেসবুকে এবং কুয়ারাতে এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। অনেকে অনেক মন্তব্য করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য কেউই তুলে ধরে নি। সুতরাং আজকে আমরা আমাদের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আমাদের এই আলোচনাটি আপনি পড়লে জানতে পারবেন আকাশের রং নীল দেখায় কেন।

এই প্রশ্নটা যেমন মজার তেমনি এর উত্তর টাও অনেক মজার। তবে সেই প্রশ্নের উত্তরটা জানতে হলে আগে জানতে হবে আকাশ কি?

আকাশ হচ্ছে আসলে আমাদের বায়ুমণ্ডল। বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জলীয়বাষ্প দিয়ে তৈরি এটি। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে এটি চারপাশ থেকে পৃথিবী কে ঘিরে আছে। আপনি পৃথিবী ছেড়ে যত উপরে যাবেন বায়ুমণ্ডল তথা হালকা হতে থাকবে। এবং আস্তে আস্তে এটি আর থাকবে না। এজন্য মহাশূন্যে কোন বায়ুমণ্ডল নেই।

পারফিউম এর সৌরভ বর্ধমান গুনাগুন

আকাশের রং নীল কেন

পৃথিবীর চারপাশে বায়ুমন্ডলে ভাসমান ছোট ছোট ধূলিকণা রয়েছে। সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে আসার সময় ঐ কণাগুলি দ্বারা বিচ্ছুরিত হয়ে যায়। এবং নীল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম বলে Rayleigh scattering এর সূত্র অনুযায়ী তা সবচেয়ে বেশি বিচ্ছুরিত হয়। যার কারনে দিনের আলোতে আকাশকে নীল দেখায়। আর রাতের বেলা সূর্যরশ্মির অনুপস্থিতির কারনে বিচ্ছুরন ঘটেনা এবং আকাশ কালো দেখায়।

আকাশ নীল দেখায় কেন?

এরপর আমাদের জানতে হবে সূর্যের আলোর কথা। আমরা সূর্যের আলোকে সোনালী রঙের দেখি কিন্তু এটি আসলে রংধনুর সাত রং এর মিশ্রণ। সূর্যের আলোয় রঙধনুর সাত রংই আছে। প্রিজম নামে এক ধরনের বিশেষ আকৃতির তৈরি ক্রিস্টাল রয়েছে সূর্যের আলোয় যদি কখনো প্রয়োজন ধরেন। তাহলে দেখবেন আলোটা সাতরঙে ভাগ হয়ে যাবে।

আগে মনে করা হত বাস্প, ধূলিকণা সব কিছুই আকাশের নীল রঙ এর জন্যে দায়ী। কিন্তু পরবর্তীকালে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেন যে, যদি বাস্পকণাও বিচ্ছুরণের কারন হত, তাহলে স্থানভেদে আদ্রতা, কুয়াশা ইত্যাদির ভিন্নতার কারণে এক এক স্থানে আকাশের রঙ এক এক রকম দেখাতো! তাই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আকাশের বিভিন্ন স্তরে অবস্থিত অক্সিজেন আর নাইট্রোজেনের অনুগুলোই এই বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে আকাশকে নীল দেখানোর পক্ষে যথেষ্ট।

তবে একটা প্রশ্ন উঠতে পারে, বেগুনী রঙের আলোকরশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য তো নীল আলোর থেকেও কম তাহলে আকাশ কেন বেগুনী দেখায় না?

পাঁচটি নিয়ম মেনে গরমকালে আপনার ত্বক করুন আরও উজ্জ্বল

প্রথমত, বায়ুমন্ডলে বিচ্ছুরিত আলোকরশ্মির বিচ্ছুরণ সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য সমান নয়। একই সাথে বায়ুমন্ডল পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে এত উঁচুতে অবস্থিত যে সেখান থেকে বিচ্ছুরিত আলো পৌঁছাতে পৌঁছাতে বায়ুমণ্ডলে ঐ বেগুনী আলোর অনেকটা শোষিত হয়ে যায়।

আকাশ নীল দেখায় কেন?

দ্বিতীয়ত, মানুষের রেটিনায় তিন ধরনের কোণ কোষ (cone cells) থাকে। অন্যান্য রঙের চেয়ে এরা লাল, নীল এবং সবুজ আলোতে সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীলতা দেখায়। এই কোণগুলোর বিভিন্ন অনুপাতের সংবেদনশীলতার সমন্বয়েই আমরা বিভিন্ন রঙ দেখে থাকি। আমাদের চোখের কোষগুলি ‘অতিবেগুনী’ আলোক-সংবেদনশীল না। এ জন্য মানুষের কাছে আকাশকে গাঢ় বেগুনী বলে মনে হয় না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভূপৃষ্ঠের নীচের দিকে নীল আলো আরও বিচ্ছুরিত হতে থাকার ফলে দিগন্তের কাছাকাছি আকাশের রঙ ক্রমশই ফ্যাকাশে হতে থাকে ।

আমাদের এই আলোচনাটি পড়ে হয়তো আপনি জেনে গেছেন আকাশের রং নীল দেখায় কেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আপনাদের এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দিতে। এরকম মজার এবং শিক্ষামূলক পোস্ট আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে করে থাকি সবসময়। সুতরাং আপনি যদি এরকম ইন্টারেস্টিং এবং মজার টপিক নিয়ে আলোচনা জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যেকোন বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হলে তা আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করব আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে।

মোবাইল দিয়ে এনআইডি কার্ড সংশোধন করুন

মোবাইল দিয়ে এনআইডি কার্ড সংশোধন করুন: প্রিয় ভিজিটরস আপনাদের যাদের এনআইডি কার্ড সংশোধন করার প্রয়োজন এবং এটা মোবাইল দিয়ে করতে চাচ্ছেন তাদেরকে আমাদের আজকের আলোচনায় স্বাগতম। কিভাবে মোবাইল দিয়ে আপনি আপনার এনআইডি কার্ড সংশোধন করবেন তা আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেব। এনআইডি কার্ড সংশোধন করার যে প্রক্রিয়া রয়েছে সেগুলো আপনারা মোবাইল দিয়ে করতে পারেন খুব সহজে। তবে এখানে প্রমাণপত্র স্ক্যান করার বিষয় রয়েছে। Read in English

সেই স্ক্যান করার ক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে স্ক্যান করা যাবে কিনা তা এই পোস্টে আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে বুঝিয়ে দেবো যাতে আপনারা এটি মোবাইল দিয়ে করার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। আর এটি যদি মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব হয় তাহলে ঘরে বসে এই কাজগুলো আপনারা বিনামূল্যে করতে পারবেন এবং শুধু আবেদন পত্রের খরচ আপনাদের প্রয়োজন পড়বে।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় ( Online Earning Way)

ঘরে বসে এনআইডি কার্ড সংশোধন করুন

যদি কখনো এনআইডি কার্ডের সংশোধন করার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনারা অপেক্ষা না করে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে আবেদনপত্রের সংশোধন করে নিন। যদি আপনার নামের ভুল থাকে অথবা পিতা মাতার নামের ভুল থাকে তাহলে তাদের ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অথবা ভোটার আইডি কার্ডের অরিজিনাল কপি স্ক্যান করে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। যারা মোবাইল দিয়ে আবেদন করছেন তাদের কাছে হয়তো স্ক্যানার নেই এবং এই ক্ষেত্রে আপনারা ভাবছেন কি দিয়ে স্ক্যান করবেন। তবে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি চালু হয়েছে এবং যেটি আপনি স্ক্যান করতে পারবেন সেটি চাইলে মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব। কিভাবে করবেন তা আমরা আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো।

CLICK HERE FOR KNOW MORE

মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন

মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করার জন্য যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন পড়বে তা আগে থেকেই ছবি তুলে রাখুন। এখন যে ফাইল গুলি স্ক্যান করা দরকার সেই ছবিগুলো আলাদা করে একটি ফোল্ডারে রাখুন। ছবি তুলে যে ধরনের রেজুলেশন ওয়েবসাইট চাচ্ছে সেই রেজুলেশন অনুযায়ী আগে থেকে সেট করে রাখুন। এক্ষেত্রে ক্যামেরায় ছবি তুলে আপনারা যখন সেটার রেজুলেশন বেশি দেখবেন তখন বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনারা প্রবেশ করে রেজুলেশন কমিয়ে আনতে পারেন এবং এটার সাইজ নির্দিষ্ট আকারে করতে পারেন। আপনারা গুগলে গিয়ে রেজুলেশন অথবা ছবির আকৃতি অথবা স্ক্যানকৃত কপির আকৃতি কমিয়ে নিতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ডের ভুল সংশোধন

তাহলে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে স্ক্যানের কপিগুলো মোবাইল দিয়ে তুলে ওয়েব সাইটে আপলোড করতে হবে। এখন তথ্য সংশোধন করার জন্য আপনাকে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং এখানে গিয়ে আবেদন করতে হবে। তবে এখানে তথ্য সংশোধনের আবেদনের কোন অপশন নেই বলে সরাসরি আপনাকে নিজস্ব প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ এনআইডি কার্ডের নাম্বার অনুসরণ করে আপনাকে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এখানে প্রোফাইল তৈরি করার সকল ধাপ রয়েছে এবং প্রত্যেকটি ধাপ আপনারা যদি যথেষ্ট তথ্য দিয়ে পূর্ণ করেন তাহলে আপনাদের প্রোফাইল ওপেন হয়ে যাবে।

Update Link

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন

প্রোফাইল ওপেন করার পর নিজের প্রোফাইলে লগইন করুন এবং লগইন করার পর আপনার সেখানে ব্যক্তিগত তথ্যের অথবা ঠিকানা সংগত তথ্যের সংশোধন করার প্রয়োজন হলে তা সংশোধন করে নিন। এক্ষেত্রে ওপরের দিকে এডিট অপশন রয়েছে এই এডিট অপশনে ক্লিক করে আপনারা এ কাজগুলো করতে পারেন।

আবেদন ফ্রি হিসেবে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং এর নাম্বারে এনআইডি কার্ডের জন্য ২৩০ টাকা আবেদন ফি পেমেন্ট করবেন। তথ্য এবং প্রমাণপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড করে আবেদনপত্র সম্পন্ন করে অপেক্ষা করবেন। যখন আপনার মোবাইল নাম্বারে আপনাদের এলাকার সার্ভার স্টেশন থেকে সংগ্রহ করার এসএমএস আসবে তখন গিয়ে সংগ্রহ করবেন।

উপরেতে আলোচনাটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়লে আশা করি আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি আপনার এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পারবেন। এছাড়া আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তা আমাদের কমেন্টে জানিয়ে দিতে পারেন।

কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য। শুধু মাত্র দুইজন ব্যাক্তি জানেন আসল রেসিপি?

কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় হলো কোকাকোলা।  কোকাকোলা হল একপ্রকার কার্বোনেটেড কোমল পানীয়। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রেস্তোরাঁ জেনারেল ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর ভেন্ডিং মেশিন সহ বিভিন্ন স্থানে কোকো কলা বিক্রি করা হয়। বর্তমান পৃথিবীর প্রায় ২০০ টিরও বেশি দেশে কোকাকোলা বিক্রি হয়। সর্বপ্রথম প্রস্তুত করেছে জন পেম্বারটন। প্রায় একশ পয়ত্রিশ বছরের ইতিহাসে কোকাকোলা অসংখ্য মানুষের মন জয় করে আসছে। সারাবিশ্বে অতি পরিচিত এই পানি হের নামে রয়েছে আজব রকমের সব তথ্য। আমাদের আজকের এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা কোকাকোলা সম্পর্কে আজব তথ্য গুলো আপনাদের সামনে প্রকাশ করছি। Read in English

আপনি যদি কোকাকোলা পছন্দ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই কোকাকোলা নিয়ে এইসব আজব তথ্য গুলো জেনে থাকবেন। কোকাকোলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, কোকাকোলার ইতিহাস ইত্যাদি নিয়ে আমাদের আজকের এই নিবন্ধটি সাজানো হয়েছে। আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনারা কোকাকোলা সম্পর্কে জানা-অজানা অসংখ্য তথ্য সমূহ জানতে পারবেন।

Nobel Prize Winners list 2021

কোকাকোলা তৈরীর ইতিহাস

১৮৮৬ সালে যখন আটলান্টা অফ উল্ট্রন কাউন্টি বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে আইন পাস করে তখন কোকাকোলার প্রথম প্রস্তুতকারী জন পেম্বারটন কোকাকোলা তৈরি শুরু করেন। ১৮৮৬ সালে কোকাকোলা একটি পেটেন্ট ভুক্ত ওষুধ হিসেবে বিক্রি শুরু হয়েছিল। স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এরকম বিশ্বাসের কারণে পুরো যুক্তরাষ্ট্রেই কোকাকোলার যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কোকাকোলা তৈরি শুরুর প্রথম বছরে মাত্র ৯ গ্লাস কোকাকোলা বিক্রি করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রতিদিন সারা বিশ্বে প্রায় ১৬০ কোটি গ্লাস কোকাকোলা বিক্রি করা হয়।

কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য

জন পেম্বারটন কোকাকোলা তৈরির সময় দাবি করেছিলেন কোকাকোলা বিভিন্ন রোগ প্রতিকার করে। তার দাবি মতে কোকাকোলা মরফিন আসক্তি বদহজম স্নায়ুবিক দুর্বলতা মাথাব্যথা এবং প্রভৃতি উপসর্গ করে বলে জানান। ১৮৮৬ সালের ২৯ শে মে আটলান্টা জার্নাল পত্রিকায় সর্বপ্রথম কোকাকোলার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।

Strange-facts-about-Coca-Cola-1

কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য

কোকাকোলা নিয়ে অনেক আজব তথ্য রয়েছে। প্রায় শতাব্দী ধরেই কোকাকোলা নিয়ে এই সকল তথ্য ছড়িয়ে আসছে। সাধারণত আমরা বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে নানা ধরনের গুজব শুনে থাকি। কোকাকোলা নিয়েও এরকম অনেক গুজব রয়েছে।

মূলত কোকাকোলার প্রথম প্রস্তুতকারক জন পেম্বারটন কোকাকোলা সম্পর্কে প্রচার এর জন্যই প্রথমে এর প্রস্তুত প্রণালী প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকেন। তখন প্রচার করা হয় কোন কলাতে স্পেশাল দ্রব্য থাকে এবং এর প্রস্তুত প্রণালি পৃথিবীর সবচেয়ে সিক্রেট একটি জিনিস। এবং এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোকাকোলা জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে।

কোকাকোলা নিয়ে যত আজব তথ্য

1925 সালে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য কোকাকোলার লিখিত প্রস্তুত প্রণালি জমা দিতে হয় প্রায় 95 বছর ধরে ব্যাংকের ভল্টে রয়েছে। সেই থেকে প্রচলিত হয়ে আসছে এটি কোকাকোলার একমাত্র লিখিত প্রস্তুত প্রণালী।

শুধু মাত্র দুইজন ব্যাক্তি জানেন আসল রেসিপি?

কোকাকোলা সম্পর্কে আরো একটি গুজব প্রচলিত আছে যে শুধুমাত্র দুইজন ব্যক্তি কোকাকোলার প্রস্তুত প্রণালী সম্পর্কে জানেন এবং তারা দুইজন একই সাথে একটি বিমানে উঠতে পারবেন না। তবে এটি মোটেও সঠিক নয়।

Nelson Mandela Famous Quotes

পৃথিবীর প্রায় ২০০ টি দেশে কোকাকোলা প্রস্তুত এবং বিক্রি করা হয়ে থাকে। প্রায় সাত লক্ষেরও বেশি মানুষ কোকাকোলা তৈরীর কাজে নিয়োজিত। এটি থেকে বোঝা যায় শুধু মাত্র দুইজন ব্যক্তি তৈরি করতে পারে না।

Strange-facts-about-Coca-Cola১৯২৫ এরপর কোম্পানি একটি নতুন পলিসি বানায়। সেই পলিসি অনুযায়ী বোর্ড প্রেসিডেন্ট এবং চেয়ারম্যান এর অনুমতি বাদে কোন কলা তৈরীর প্রস্তুত প্রণালী আর কেউ জানতে পারে না। এবং প্রস্তুত প্রণালি জানা ব্যক্তিরা সবসময় বিশেষ নজরদারিতে থাকে। কম্পানি জানাই কোকাকোলা তৈরির প্রস্তুত প্রণালি শুধুমাত্র স্বল্পসংখ্যক মানুষই জানে তবে সংখ্যাটি কখনোই নির্দিষ্ট নয়।

কোকাকোলা তৈরীর প্রস্তুত প্রণালী শুধু মাত্র দুইজন মানুষই জানে এমন একটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন থেকে ছড়িয়েছে। এই বিজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল যে প্রস্তুত প্রণালি তথ্য শুধুমাত্র দুজন ব্যক্তি জানেন তাই তারা কখনো একই বিমানে ভ্রমণ করে না।

Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Famous Quotes

কোকাকোলা তে শূকরের মাংস ব্যবহার করা হয় কি?

কোকাকোলার বেশিরভাগ প্রোডাক্টে কোন প্রকার আমিষ ব্যবহার করা হয় না। কোন ক্ষেত্রে আমিষ ব্যবহার করা হলে সেটিতে পশুর অংশ ব্যবহার করা হয় না। কোকাকোলা তে আমি হিসেবে মাঝে মাঝে দুধ অথবা মাছের অংশে ব্যবহার করা হয় যা রেসিপিতে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। তাই কোকাকোলা তে শূকরের মাংস ব্যবহার করা হয় এই কথার কোন ভিত্তি নেই।

১৯৯৩ সালে মাঠ নামে এক ব্যক্তি কোন কলার উপাদান গুলো নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেন। এছাড়াও ১৯৭৯ সালে পাওয়া একটি ডাইরির অংশে কোকাকোলার উপাদান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।

কোকাকোলার মূল উপাদান কখনোই গোপন করা হয়নি। কোকাকোলা তৈরির পর থেকে বার করে আসছে। তবে এই উপাদানগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কম্পানি নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করে। মূলত কোন সম্পর্কিত বিভিন্ন গুজব এর জনপ্রিয়তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা কিসের উপর নির্ভর করে?

সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা কিসের উপর নির্ভর করে: বিশেষজ্ঞদের মতে খাদ্য নির্বাচনের ওপর শরীরের বর্ণ কেমন হবে তা নির্ভর করে না, সাধারণত সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা নির্ভর করে বাবা-মার কাছ থেকে সন্তান যে জিন পেয়েছে তার ওপর। সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা কিসের উপর নির্ভর করে এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই অনেক সময় জানতে চাই। আমরা আমাদের আজকের এই নিবন্ধের মাধ্যমে পাঠকদের এই প্রশ্নের উত্তর প্রদানের চেষ্টা করেছি। Read in English

শুধুমাত্র ত্বকের সৌন্দর্যে কোন মানুষের একান্ত আশার বিষয় কখনোই হতে পারেনা। গর্ভবতী মায়েদের উচিত সন্তানের রং এর কথা চিন্তা না করে একটি সুস্থ স্বাভাবিক ও মেধাবী শিশু জন্মদানের চেষ্টা করা। আমরা আমাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে পাঠকদের সুবিধার্থে সকল তথ্য সমূহ সহজ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশাকরি আমাদের আজকের এই আলোচনার পর থেকে আপনারা সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা কিসের উপর নির্ভর করে এই বিষয়ক তথ্য সমূহ জানতে পারবেন। 

ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করবে যে ৬ টি খাবার

সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা কিসের উপর নির্ভর করে

গর্ভবতী মহিলাদের স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি ক্ষুধা পায়। এবং গর্ভাবস্থায় ঠিক সময়মতো খাওয়া-দাওয়া করা টা খুবই জরুরী। ঠিক সময় নিয়ম মেনে খাবার গ্রহণ শিশুর জন্য খুবই উপকারী। গর্ভাবস্থায় অবশ্যই অ্যালকোহল এর অভ্যাস বর্জন করা উচিত। গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, খুব বেশি ওজন হলে প্রি ম্যাচিউর বেবির জন্ম হয় যা বাচ্চার আইকিউর ওপর প্রভাব ফেলে।

গর্ভাবস্থায় অবশ্যই নিয়মিত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। এই ব্যায়ামের ফলে শিশুর ব্রেনের গঠন ভালো হয় এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠনে সহায়তা করে।

সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে তা কিসের উপর নির্ভর করে

গর্ভের শিশুর সাথে নিয়মিত কথা বলা উচিত, এই সময় গর্ভবতী মায়ের ধর্মীয় বই বা বিখ্যাত মণীষীদের জীবনী পড়া উচিত। গবেষণাই জানা যাই গর্ভাবস্থায় শিশুর যে কণ্ঠস্বর শুনেছে জন্মের পর সেই কণ্ঠস্বর শুনলে শিশু শান্ত হয়।

যে খাবার খেলে শিশুর বর্ণ ফর্সা হতে পারে

নিচে কিছু খাবারের তালিকা উল্লেখ করা হলো যেগুলো নিয়মিত খেলে শিশুর বর্ণ ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

নারিকেল

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী নারিকেলের সাদা অংশ গর্ভের শিশুর রং ফর্সা করতে পারে। তবে উল্লেখ্য যে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত নারিকেল খাওয়া কখনোই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

মস্তিষ্ক সুস্থ রাখার উপায় । মস্তিষ্কের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার

দুধ

গর্ভাবস্থায় দুধ পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুধ শিশুর ব্রেন ও হাড় গঠনে সহায়তা করে। তাই গর্ভবতী মায়ের নিয়মমতো দুধ খেতে হবে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী দুধ শিশুর রং ফর্সা করতে সাহায্য করে।

জাফরান দুধ

গর্ভাবস্থায় অনেক গর্ভবতী মায়েরা জাফরান মিশ্রিত দুধ খেয়ে থাকেন। প্রচলিত রয়েছে জাফরান সহ দুধ খেলে গর্ভের শিশুর রং ফর্সা হয়।Depending-on-What-the-Child-Black-or-White-2টমেটো

টমেটোতে লাইকোপেন থাকে যা শরীরকে ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রং থেকে এবং সূর্যের প্রখর আলো থেকে রক্ষা করে। মনে করা হয় গর্ভাবস্থায় নিয়মমতো টমেটো খেলে গর্ভের শিশুর রং ফর্সা হয়।

চেরি ও বেরি জাতীয় ফল

চেরি ও বেরি জাতীয় ফল উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। চেরি ও বেরি জাতীয় ফল টক এর বিভিন্ন ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। তাই গর্ভাবস্থায় অনেকেই স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি ফল খায় গর্ভের শিশুর রং ফর্সা করার উদ্দেশ্যে।

ধুমপান এর ক্ষতিকর দিক সমূহ এবং ভুল ধারণা

ডিম

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে ডিমের সাদা অংশ খাওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় তিন মাসে ডিমের সাদা অংশ খেলে শিশুর রং ফর্সা হয় এরকম প্রচলিত ধারণা রয়েছে।

গর্ভাবস্থায় অবশ্যই ডিম খাওয়া খুব জরুরি। দি শিশুর দৈহিক গঠন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ত বে কোন সময় সংবাদে খাওয়া চলবে না।

আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে যে সকল তথ্য বলে উল্লেখ করা হলো সেগুলো অনুসরণ করে শিশুর রং ফর্সা হবে বলে আশা করা যায়। তবে আবারো বলা হচ্ছে যে কোনভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য দিয়ে একজনকে বিচার করা সঠিক নয়। বাবার কাছ থেকে এবং মায়ের কাছ থেকে সন্তান যেদিন লাভ করে সেই জিনের মাধ্যমে তার গায়ের রং নির্ধারণ করা হয়।

আজকের আলোচনার কোনো অংশ বুঝতে সমস্যা হলে অথবা আলোচনা সম্পর্কিত যে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের সকল প্রকার সাহায্য করার আপ্রাণ চেষ্টা করব। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোন তথ্য সমূহ জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল প্রকার তথ্যসমূহ নিয়মিত ভাবে প্রকাশ করা হয়। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ডেঙ্গু তে ভয় নায়, সচেতন হন

জুনের মাঝে মাঝে থেকে অগাস্ট পর্যন্ত এই সময়টা থেকে বর্ষাকাল অর্থাৎ অনেক বৃষ্টি হয়। এই সময়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। বাসা বাড়ির আশেপাশে ছাদের টপে চৌবাচ্চায় পানি জমে। আর এইসব জমে থাকা পানিতে জন্মায় ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু বহনকারী এডিস মশা। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই এডিস মশার বিস্তার থাকে অনেক বেশি। এজন্যই সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুমও বলা হয়ে থাকে। এ সময়ের তাপমাত্রা বাতাসের আদ্রতা ও বৃষ্টির উপর নির্ভর করে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। Read in English

বর্ষাকালে সবসময় আপনাকে ডেঙ্গুর কথা মাথায় রাখতে হবে। যেকোন প্রকার জ্বর হলে কখনোই অবহেলা করা যাবে না। ডেঙ্গু জ্বর হলে তা সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে যায়। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হলে সুস্থ হতে দুই তিন সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। তবে আপনি যদি শুরুতেই সচেতন হোন তাহলে মৃত্যু ঝুঁকি কিংবা অন্যান্য জটিলতায় এড়ানো সম্ভব। এর জন্য আপনাকে সচেতন হতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক উপসর্গগুলো।

গরমে সুস্থ থাকতে যা খাবেন। প্রচন্ড গরমে স্বাস্থ্যকর খাবার

  • ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক উপসর্গ
  • তীব্র জ্বর।
  • শরীরে লালচে ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ।
  • ঘাড়, পিঠ ও মাংসপেশিতে ব্যথা।
  • অস্থিসন্ধি বা হাড়ে ব্যথা।
  • চোখের পেছনে ও চারপাশে ব্যথা।
  • খাবারে অরুচি ও স্বাদের পরিবর্তন।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য।

ডেঙ্গু

ডেঙ্গু চরে আমাদের বিভিন্ন রকমের জটিলতা দেখা দিতে পারে। চলুন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক‌। ডেঙ্গু সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। এ দুটি হল ক্লাসিক্যাল এবং হেমোরেজিক। কাছিকাল ডেঙ্গুতে জ্বর সাধারণত দুই থেকে সাত দিনের মধ্যেই সেরে যায়। তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গুতে পাঁচ থেকে সাত দিন পর থেকে জটিলতা শুরু হয়। অনেক সময় নাক মুখ দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এছাড়াও মলের সঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে। রক্তের প্লাটিলেট বা অনুচক্রিকা কমে গিয়ে শরীরের চামড়া নিচে ইন্টার্নাল ব্লিডিং বা রক্তক্ষরণ হতে থাকে।

পরিস্থিতি আরও জটিল হলে রোগীর হাতপা দ্রুত ঠান্ডা হতে শুরু করে, রক্তচাপ কমে যায়। এ সময় আক্রান্ত ব্যক্তি প্রচণ্ড ঘামতে শুরু করে ও ছটফট করতে থাকে। বমি ভাব বা বমি হতে পারে। এ সময় শ্বেতরক্তকণিকার স্বল্পতা, ইলেক্ট্রোলাইটের অসমতা, যকৃতের সমস্যা, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী শকে চলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

জিপি এসএমএস কেনার কোড ২০২২ । জিপি এসএমএস অফার ২০২২

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি চিকিৎসা নিবেন

  • ডেঙ্গু জ্বরে শরীরের তাপমাত্রা ১০২ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। এ সময় মাথায় পানি দেওয়া ও শরীর মুছে দেওয়ার মাধ্যমে জ্বর কমাতে হবে। এ ছাড়া ছয় থেকে আট ঘণ্টা পরপর জ্বরের তীব্রতা বুঝে প্যারাসিটামল জাতীয় মেডিসিন দিতে হবে।
  • ডেঙ্গু জ্বরে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলেও অ্যাসপিরিনজাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে না। এতে ডেঙ্গু জ্বর জটিল আকার ধারণ করলে রোগীর শরীরে রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে।
  • ডেঙ্গু জ্বরের মূল চিকিৎসা হলো শরীরে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাপনা। পানির পাশাপাশি ফলের রস, স্যুপ, ওরস্যালাইন, ডাবের পানি, শরবত প্রভৃতি তরল খাবার খাওয়াতে হবে।
  • ডেঙ্গু রোগী শারীরিকভাবে ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ে। উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্তত সাত দিন ভারী কাজ করা থেকে বিরত থেকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
  • জ্বরের চারপাঁচ দিন পর সিবিসি ও প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা পরীক্ষা করে নিতে হবে। প্লাটিলেট কাউন্ট লাখের কম হলে ডেঙ্গুর কথা মাথায় রেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।
  • জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডেঙ্গু

আকাশের রং নীল কেন হয়?

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সতর্কতা

ডেঙ্গু প্রতিরোধের মূলমন্ত্র হচ্ছে এডিস মশার বিস্তার রোধ করা। ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এ মশা তুলনামূলক পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানিতে বিস্তার করে। বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে সবচেয়ে বেশি। এ সময় বাড়ির আশপাশে পানি জমে এমন যায়গা, বদ্ধ জলাশয় পরিষ্কার রাখতে হবে। ফ্রিজ ও এসির পানি যেন না জমে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফুলের টবে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। অব্যবহৃত কৌটা, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি ব্যবহার করুন বা অ্যারোসল স্প্রে করুন। ডেঙ্গু মৌসুমে বাইরে গেলে হাতপা ঢেকে থাকে, এমন পোশাক পরুন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে সব সময় মশারির ভেতরে রাখুন। ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরপরই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আমাদের আজকের আলোচনা থেকে আপনি ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব এবং প্রতিরোধ দুটি জানতে পেরেছেন। সুতরাং দ্রুত সচেতন হয়ে যান। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধ করুন। সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। বাড়ি ঘরের আশেপাশে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ কত?

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ কত?

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ কত: বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব স্যাটেলাইট হলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বানাতে বাংলাদেশের প্রায় ২,৭৬৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে শুরুতে বাজেট ২৯৬৭.৯৫ কোটি টাকা ধরা হলেও পরবর্তীতে মোট খরচ হয় ২,৭৬৫ কোটি টাকা। আমাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ ও অন্যান্য তথ্য সমূহ বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আপনারা যারা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই আজকের এই আলোচনাটি কাজে আসবে। Read in English 

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরির জন্য বাংলাদেশের নিজস্ব ১,৩১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এবং বাকিটা এসেছে বিদেশি অর্থায়ন থেকে। এই স্যাটেলাইট এর জন্য রাশিয়ার থেকে ১৫ বছরের জন্য অরবিটাল স্লট কেনা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর স্থায়িত্ব হতে পারে ১৮ বছর পর্যন্ত।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে আমাদের আজকের এই আলোচনাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য সমূহ আগ্রা আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।

How Many Satellites are There in Space? And How It Works?

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর ধরন

মহাকাশে প্রায় ৫০ টিরও বেশি দেশের ৯,০০০ টি স্যাটেলাইট বিদ্যমান। এগুলোর মধ্যে অনেক রকম ভাগ রয়েছে। স্যাটেলাইট এর মধ্যে রয়েছে আবহাওয়া স্যাটেলাইট, পর্যবেক্ষক স্যাটেলাইট, নেভিগেশন স্যাটেলাইট ইত্যাদি।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ হলো যোগাযোগ ও সম্প্রচার স্যাটেলাইট। বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট যোগাযোগ এবং সম্প্রচারের ক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস তৈরি করবে বলে আশা করা যায়। এর মাধ্যমে যোগাযোগ এবং সম্প্রচার খরচ অনেক কমে আসবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর ওজন ৩.৭ টন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর ডিজাইন এবং স্যাটেলাইট তৈরি করেছে ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস। যে রকেট এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ মহাকাশে প্রেরণ করা হয় সেই রকেট তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস এক্স। এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট লঞ্চ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর পেছনে বিপুল টাকা খরচ করা হয়।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ মহাকাশে প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কারী দেশের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরি করতে এবং উৎক্ষেপণ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে তার সম্পূর্ণটা আগামী ৭  বছরের মধ্যে আয় করা সম্ভব হলে কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়।Bangabandhu-Satellite

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ফুট প্রিন্ট

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান হলো ১১৯.১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমার কক্ষপথ। ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর ফুটপ্রিন্ট বা কভারেজ বিস্তৃত।

What are Planets and Stars? What is the Difference Between them? Is the Sun a Planet or a Star?

শক্তিশালী কেইউ সি ব্যান্ডের মাধ্যমে এই স্যাটেলাইট সবচেয়ে ভালো কভার করবে পুরো বাংলাদেশ। এছাড়াও স্যার ভুক্ত দেশ সমূহ ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর সুবিধা পাবে।

বিশ্বব্যাপী এর সুবিধা ছড়িয়ে দিয়ে আগামী ৭ বছরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর পুরো খরচ তুলে আনা সম্ভব বলে জানানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

১৭ ই মে ২০২২ তারিখে দিবাগত রাতে ২ টা ১৪ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স এর যে রকেট এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণ করা হয় সেই রকেটের নাম ফ্যালকন -৯। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ৩৩ মিনিট পর ২টা ৪৭ মিনিটে কক্ষপথে পৌঁছায় বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ সহ সম্পূর্ণ টাকা আগামী ৭ বছরের মধ্যে উঠে আসবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এবং এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশ সকল দিক থেকে উপকৃত হবে বলে জানানো হয়।Bangabandhu-Satellite-2

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর প্রধান কাজ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর প্রধান কাজ হবে টিভি চ্যানেল গুলোর স্যাটেলাইট সেবা নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট 1 এর মাধ্যমে চালু করা যাবে ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম সার্ভিস।

যে সকল স্থানে অপটিক কেবল বা সাবমেরিন ক্যাবল পৌঁছানো সম্ভব হয়নি সেসব স্থানে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা যাবে।

What is NASAs Income Source?

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট অপারেশন

আর্থ স্টেশন থেকে ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্যাটেলাইট টি কক্ষপথে যেতে আর থেকে ১১ দিন সময় লেগেছে। এবং পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ পুরোপুরি কাজের জন্য প্রস্তুত হয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ মহাকাশে প্রেরণের পর প্রথম তিন বছর খেলার ইন্ডিয়ার সহায়তায় দেখভাল করা হয়।

এবং তিন বছর সম্পন্ন হবার পরে এর দেখভালের সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের হাতে। বাংলাদেশের গাজীপুর ও রাঙ্গামাটির বেদবুনিয়া আর্থ স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর খরচ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কাজ, সহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট 1 সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সমূহ আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করা চাই আপনারা সকলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট 1 সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।

আমরা বিস্তারিতভাবে সকল তথ্য সমূহ উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। তবে আলোচনার কোনো অংশ ভুল বলে মনে হলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন। আমরা তৎক্ষণাৎ তা সংশোধন করার চেষ্টা করব। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বিমানের দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ করা কেন অপরাধ?

বিমানের দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ: বিমানের দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ করা একটি মারাত্মক ধরনের অপরাধ। চলন্ত বিমান এর দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ এর ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জনগণের মোবাইল নম্বরে বিমানের দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ না করার জন্য সতর্কতামূলক এসএমএস প্রেরণ করা হচ্ছে। আপনারা অনেকেই জানেন না বিমানের দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ করলে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে? অনেকেই খেলার ছলে বিমানের দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ করে থাকেন। Read in English 

কিন্তু এই কাজটি করা ঠিক নয়। এর ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পশ্চিমা দেশগুলোতে বিমানের দিকে লেজার লাইট তাক করা নিষিদ্ধ। এবং এর কারণে জেল জরিমানা ও করা হয়ে থাকে। আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে বিমানের দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ করা কেন অপরাধ সে বিষয়ে জানাবো। তাহলে আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

Top 5 Online Income sources

বিমানের দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ

সম্প্রতি নিউইয়র্ক শহরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে একটি বিমান নিউ ইয়র্কে যাচ্ছিল। উদ্যান করার পরেই হঠাৎ সরকারি পাইলট এর চোখে একটি লেজার বিম এর রশ্মি এসে পড়ে। এই রশ্মি তার চোখ কে ক্ষণিকের জন্য অন্ধকার করে দেয় এবং চোখে যন্ত্রণা শুরু হয়। এবং এই কারণে তারা সাথে সাথেই বিমানটি আবার অবতরণ করতে বাধ্য হন।

বিমানের দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ করা কেন অপরাধ-১

তাহলে এই হঠাৎ করেই যদি বিমান কি পুনরায় অবতরণ করার না হতো তাহলে কত বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আপনার মনে হয়? বাংলাদেশ এর সকল এয়ারপোর্টে আশেপাশের লোকজনকে এ বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে। কোনভাবেই যেন কেউ উড্ডয়ন রত বিমানের দিকে লেজার তাক না করতে পারে সে জন্য সকলকে জানানো হয়েছে।

বিমানের দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ করা কেন ক্ষতিকর?

দীর্ঘদিন থেকে দেশের ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এর আশেপাশে এ ধরনের ঘটনা ঘটে আসছে। বিমান এয়ারপোর্ট থেকে উড্ডয়নের পড়ে বা অবতরণের আগে অনেকেই নিজ থেকে লেজার লাইট শো করছেন। সরাসরি বিমানের দিকে এই লেজার বিম প্রেরণ করার ফলে বিমান পরিচালনা করায় বিঘ্ন ঘটে। লেজার লাইট নিক্ষেপ করার পর সেই আলো পাইলটের চোখে পড়ার কারণে হঠাৎ করেই পাইলটের চোখ অন্ধকার হয়ে আসে যার ফলে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় ( Online Earning Way)

আকাশে লেজার লাইট নিক্ষেপ করা হলে সেটি অনেক দূর পর্যন্ত চলে যায়। সাধারন ভাবেই আমরা জানি লেজার লাইট এর আলোয় কোনো বাধা না পেলে অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে যেটি সাধারণ আলোর ক্ষেত্রে হয় না। লেজার লাইট নিক্ষেপ করা হলে সেটি বিমান যে উচ্চতায় উড়ে এসে উচ্চতা পর্যন্ত যেতে সক্ষম।

বিমানে লেজার লাইট নিক্ষেপ

আকাশে উড্ডয়নরত বিমানের দিকে নির্দেশ করে লেজার লাইট নিক্ষেপের ফলে তা খুব সহজেই পাইলটের চোখ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। আমরা সবাই জানি আলো যত দূরে যায় তার বিস্তৃতি ততই বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিমান ওড়ার মতো উচ্চতায় পৌঁছালে সেটি শুধুমাত্র একটি রশ্মি হয়ে থাকে না। এটি পাইলটদের খুবই বিরক্ত করতে পারে। যার ফলে ইমারজেন্সি ল্যান্ডিং করতে হয়।

লেজার আলো এত বেশি ছড়িয়ে যায় যেটা পাইলট চাইলেও এড়াতে পারেন না। লেজার আলোর ঝলকানি পাইলটের মনোযোগ নষ্ট করে। ঠিক সেই সময় পাইলট ইমারজেন্সি ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হয়। কারণ ইমারজেন্সি ল্যান্ডিং না করলে আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

বিমানের দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ করা কেন অপরাধ- ২

লেজার রশ্মি প্রতিসরণের কারণে পাইলটের দৃষ্টিসীমা অত্যাধিক কমে যায় যার ফলে তারা দেখতে পান না। অনেক বৈমানিক গান মনে করেন উত্তেজিত বিকিরণ এর ফলে আলোক বিবর্ধন অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটাতে সক্ষম। তাই আমাদের সকলকেই এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

Earn Money by Playing Games Bkash Payment (500-5000 Taka per day)

লেজার লাইট এর বিস্তৃতি

জেনে রাখা ভাল ইমার্জেন্সী ল্যান্ডিং, জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া, জরুরী কৌশল বা হঠাৎ করে টেক অফ করা কখনোই কোন পাইলট বা প্লেনের জন্য ভালো নয়। যাত্রীবাহী বিমান এর ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে। তাই আমাদের সকলের উচিত এ সকল বিষয় থেকে দূরে থাকা।

লেজার লাইট অতি দ্রুত বিস্তৃত হতে থাকে। আমাদের আশেপাশে ছোট বড় অনেকেই মজার ছলে বিমানের দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ করে। আমাদের উচিত এই সকল বাচ্চা বা ব্যাক্তিদের বোঝানো এবং তারা যেন আকাশে উড়ন্ত বিমানের দিকে কোনভাবেই লেজার লাইট নিক্ষেপ না করে সে সম্পর্কে বোঝানো। তাদের কি এটাও জানাতে হবে তার ছোট্ট একটি কাজের ফলে কত বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

উড্ডয়ন রত বিমানের দিকে লেজার লাইট রাগ করলে কত বড় সমস্যা হতে পারে। এবং বিমানের দিকে লেজার লাইট নিক্ষেপ করা যে কত বড় অপরাধ সেই তথ্য আমাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনারা সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য বুঝতে পেরেছেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ কি? বাংলাদেশ এর কতটা সুবিধা পাবে?

১২ ই মে ২০১৮ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে সাধারন মানুষের জানার আগ্রহের শেষ নেই। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হয়েছে। তবে অনেকের জিজ্ঞাসা ছিল প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরী এই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর কাজ কি এবং মানুষ এর কি সুবিধা পাবে? আমাদের আজকের আলোচনায় এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বিস্তারিত বলবো। Read in English

মূলত তিন ধরনের সুবিধা দেশের মানুষ পেতে পারে এই স্যাটেলাইট থেকে।

  • প্রথমত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর সক্ষমতা বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও সাশ্রয় করা সম্ভব।
  • দ্বিতীয়তঃ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রচার করা সম্ভব হবে।
  • তৃতীয়তঃ দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা ও ব্যবস্থাপনায় দারুণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে এই স্যাটেলাইট।

এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কে কাজে লাগানো সম্ভব।

Bangabandhu-Satellite-2

তবে এসব ভাবনাকে ছড়িয়ে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তা হলো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি। বঙ্গবন্ধু-১ এর মাধ্যমে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির অভিজাত দেশের ক্লাব বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। বঙ্গবন্ধু-১ তৈরীর ঘোষণা আসার পরপরই ব্র্যাক বাংলাদেশ ন্যানো স্যাটেলাইট প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করে ব্যাংক অন্বেষা নামে এই ন্যানো স্যাটেলাইট তৈরি করেছে এদেশের এই কয়েকজন তরুণ। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চারজন ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পে কাজ করে চলেছে। বর্তমানে আরো কিছু তরুণ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এ কাজের জন্য যোগদান করেছে। এ তরুণেরা বলেছেন সরকারের দিক থেকে কিছুটা সহযোগিতা পেলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের স্যাটেলাইট তৈরি করা সম্ভব। তারা মনে করে নিজেদের স্যাটেলাইট তৈরি হওয়ার কারণেই এত বড় স্বপ্ন এবং চিন্তা ভাবনা করতে পারছেন তারা।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় ( Online Earning Way)

স্যাটেলাইট এর বাণিজ্যিক দিক

এবার আসা যাক বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর বাণিজ্যিক দিকে। এখন দেশে প্রায় ৩০টি স্যাটেলাইট চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। এসব চ্যানেল সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এ জন্য প্রতি মাসে একটি চ্যানেলের ভাড়া বাবদ গুনতে হয় তিন থেকে ছয় হাজার মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে চ্যানেলগুলোর খরচ হয় ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ভাড়া কমবে। আবার দেশের টাকা দেশেই থেকে যাবে।

শুধু তা-ই নয়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর ট্রানসপন্ডার বা সক্ষমতা অন্য দেশের কাছে ভাড়া দিয়েও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ থাকবে। এই স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রানসপন্ডারের মধ্যে ২০টি ভাড়া দেওয়ার জন্য রাখা হবে বলে সরকার থেকে বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে এই স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার বিক্রির জন্য সরকারের গঠন করা বঙ্গবন্ধু কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি (বিসিএসবি) লিমিটেড কাজ শুরু করেছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ কি? বাংলাদেশ এর কতটা সুবিধা পাবে?

 

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর আরেকটি বিক্রয়যোগ্য পণ্য হবে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২৬টি কেইউ-ব্যান্ড ও ১৪টি সি-ব্যান্ড। প্রতিটি ট্রান্সপন্ডার থেকে ৪০ মেগাহার্টজ হারে তরঙ্গ বরাদ্দ (ফ্রিকোয়েন্সি) সরবরাহ পাওয়া সম্ভব। এ হিসাবে ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মোট ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষমতা হলো ১ হাজার ৬০০ মেগাহার্টজ। কিছু কারিগরি সীমাবদ্ধতার কারণে এই ১ হাজার পুরোটা ব্যবহার করা যাবে না। তবে কমপক্ষে ১ হাজার ৪০০ মেগাহার্টজ ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

অনলাইন ইনকাম সোর্স কোনগুলো

তবে স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইডথ ও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে যে ইন্টারনেট পাওয়া যাবে, তা বেশ ব্যয়বহুল। ফাইবার অপটিক দিয়ে সরবরাহ করা ব্যান্ডউইডথের তুলনায় স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের খরচ প্রায় ১০০ গুণ বেশি। দেশের ৭৫০ ইউনিয়নে এখন ফাইবার অপটিক ইন্টারনেটের সংযোগ নেই। ইন্টারনেটবঞ্চিত এমন এলাকার মধ্যে রয়েছে পার্বত্য ও হাওর অঞ্চল। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব, যদি সরকার এই খাতে বিশেষ প্রণোদনা দেয় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

ঝড় বা বড় ধরনের দুর্যোগে যোগাযোগব্যবস্থা সচল রাখতেও কার্যকর হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। এ ধরনের বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোবাইল নেটওয়ার্ক অনেক সময় অচল হয়ে পড়ে। তখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব হবে। সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের মানুষের ইন্টারনেট ও ব্যাংকিং সেবা, টেলিমেডিসিন ও দূরনিয়ন্ত্রিত শিক্ষাব্যবস্থা প্রসারেও ব্যবহার করা যাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর এসব সুবিধা নিশ্চিত করতে হলে দরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা। আর এ ক্ষেত্রে প্রথম উদ্যোগটি সরকারকেই নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর নিয়ন্ত্রণ ও বিপণনের কাজটিও করতে হবে দক্ষতার সঙ্গে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। সব বিষয় যাতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় না পড়ে, সেটি নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উৎক্ষেপণের পর মুহূর্ত থেকে এ স্যাটেলাইটের মেয়াদ থাকবে ১৫ বছর। অযথা সময়ক্ষেপণ করা হলে বাংলাদেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে তৈরি এ স্যাটেলাইটের উদ্দেশ্য পূরণ কঠিন হবে।

টিকটিকি কেন নিজের লেজ খসিয়ে ফেলে?

টিকটিকি কেন নিজের লেজ খসিয়ে ফেলে? : আমাদের মাঝে এমন মানুষ পাওয়া খুব বিরল যারা কখনো টিকটিকি দেখিনি। এই টিকটিকির ডাক নিয়ে বেশ কিছু কুসংস্কারও প্রচলিত আছে আমাদের সমাজে। তবে টিকটিকি নিয়ে আরেকটি মজার ব্যাপার হলো টিকটিকির লেজ খসে পড়া এবং নতুন লেজ গজানো। কমবেশি আমরা সবাই টিকটিকির এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি কেন টিকটিকির লেজ খসে পড়ার ঘটনা ঘটে। তাহলে চলুন আজ জেনে নেই Read in English

টিকটিকি লেস কখন খসে পড়ে? দেয়াল পরিষ্কার করার সময় হঠাৎ যদি টিকটিকি কে আঘাত করতে থাকেন তাহলে হয়তো টিকটিকির লেজ ফেলে পালানোর ঘটনা আপনার সামনেই ঘটে থাকবে। কিন্তু টিকটিকি প্রধান শত্রু পাখি কিংবা বিড়াল যদি টিকটিকি কে আক্রমণ করে সে ক্ষেত্রেও টিকটিকিকে লেজ গুটিয়ে না পালিয়ে নিয়ে পালাতে দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন এবং গবেষণা করে যা পেয়েছেন তা হল টিকটিকি শরীরে অন্যান্য অংশের চেয়ে লেজটা অনেক দুর্বল। তাই বলে এত দুর্বল নয় যে তা খসে পড়বে। লেজ তখনই খসে পড়ে যখন লেজের ভেতরে এক বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন হয়। আরও মজার ব্যাপার হল লেজ খসে পড়ার পরে লেজটা তিড়িং-বিড়িং করে লাফাতে থাকে।

টিকটিকি কেন নিজের লেজ খসিয়ে ফেলে?

তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়ালো, টিকটিকি বিপদে কিংবা আক্রমণের শিকার হলে নিজের লেজ খসায় এবং আক্রমণকারী সেই খসা লেজ দেখে কিছুটা বিভ্রান্ত হয় এবং কিছুক্ষন তিড়িং-বিড়িং করা লেজের দিকে দৃষ্টি দেয়, এই সুজুগে টিকটিকি পালিয়ে যায়। এটা টিকটিকির আত্মরক্ষার একটি কৌশল। কিন্তু লেজ খসে পড়াই শেষ নয়, টিকটিকির লেজ তার শরীরের একটি অতিব গুরুত্বপূর্ণ অংগ। আমরা অনেকেই জানিনা, টিকটিকি লেজ নাড়িয়ে একে অপরের সাথে কথা বলে। তাই লেজ না থাকা মানে টিকটিকি বোবা হয়ে যাওয়া। লেজ ছাড়া কি তার চলে? এছাড়া টিকটিকির শারীরিক ভারসাম্য বজার রাখা এবং লাফ দেয়ার কাজেও এই লেজের গুরুত্ব অপরিসীম।

এই গরমে আপনার ত্বকের বাড়তি যত্ন নিন খাবার ডাল দিয়ে

তাই দ্রুতই টিকটিকির লেজ আবার গজিয়ে যায়। কিন্তু সব টিকটিকি তার লেজ ফেরত পায়না। মজার ব্যাপার হলদ যদি লেজটি খসে পড়ার পর অক্ষত থাকে, তখন টিকটিকি সেটি তার খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে এবং পুষ্টির যোগান দেয়।

অর্থাৎ এক ঢিলে দুই পাখি। এই একটা লেজ দিয়ে আত্মরক্ষা করলো আবার নিজের পেটটাও ভরালো।
এমনকি কোন কোন টিকটিকি একবার নয় ছয়- ছয়বার পর্যন্ত তার লেজ গজাতে পারে। কিন্তু কিভাবে?

বিজ্ঞানীরা গবেষনাগারে একটি লেপার্ড গেকোর লেজ খসিয়ে দেন এবং তারা দেখতে পান গেকোর স্নায়ুরজ্জুতে রেডিয়াল গ্লিয়া নামক এক বিশেষ স্টেম কোষ সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং দ্রুত সংখ্যায় বৃদ্ধি পায় এবং স্নায়ুরজ্জু মেরামত হয়ে যায়। শুধু যে লেজের স্নায়ু তন্ত্রই এরা মেরামত করতে পারে তাই নয় বরং দেহের অন্যান্য অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হলে টিকটিকি তাও মেরামত করতে পারে। ব্যাপারটি দারুন মজার একটি ব্যাপার।

টিকটিকি কেন নিজের লেজ খসিয়ে ফেলে?

এঘটনা থেকে বিজ্ঞানীরা খুবই উৎসাহিত বোধ করছেন। কারণ সম মেরুদণ্ডিয় প্রাণীরই স্নায়ুরজ্জুতে রেডিয়াল গ্লিয়া নামক এক বিশেষ স্টেম কোষ আছে যা প্রানির প্রাথমিক স্নায়ুতন্ত্র গঠন করে এবং পরে নিস্ক্রিয় হয়ে যায়।

চলুন টিকটিকি সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে নিই

টিকটিকির বৈজ্ঞানিক নাম Hemidactylus frenatus, সরীসৃপ জাতীয় মেরুদণ্ডি প্রানি, দেখতে কুমিরের ছোট ভাই মনে হলেও এরা মোটেও নিকট আত্মীয় নয়। পায়ের আঙ্গুলের আঠালো পাতার ( কোন তরল নেই, সূক্ষ খাজকাটা ) মাধ্যমে এরা আপনার ঘরের দেয়ালে কিংবা ছাদে বেশ আরামছে চলাচল করতে পারে। বেশিরভাগ টিকটিকিই নিশাচর, দিনের বেলা লুকিয়ে থাকে, রাতে এরা খাবারের সন্ধানে বের হয়। বাসাবাড়ির টিকটিকি ৩ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা, এদের গড় আয়ু প্রায় ৫ বছর। এই ছোট ছোট টিকটিকিগুলো মোটেই বিষাক্ত নয়। সাধারনত পোকামাকড়, মাকড়সা, তেলাপোকা, মৌমাছি, প্রজাপতি ইত্যাদি এদের খাবার। মোটকথা টিকটিকি আপনার ঘরকে পোকামাকড় মুক্ত রাখতে সহায়তা করে থাকে।

জিপি ১ জিবি ৯ টাকা অফার কোড [Activation Code] । ১ জিবি ইন্টারনেট মাত্র ৯ টাকায় কেনার কোড

আমাদের এই আলোচনাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এইরকম ইন্টারেস্টিং তথ্য প্রতিনিয়ত হুঁশিয়ার করে থাকি। সুতরাং আপনি যদি এটুকু ইন্টারেস্টিং তথ্য জানতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এছাড়া আপনি কোন বিষয়ে জানতে চাইলে তা আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে ‌

২০২৪ সালের মধ্যেই মহাকাশে তৈরি হবে ফিল্ম স্টুডিও

২০২৪ সালের মধ্যেই মহাকাশে তৈরি হবে ফিল্ম স্টুডিও: সম্প্রতি টম ক্রুজের আসন্ন স্পেস সেট ফিল্মের প্রযোজকসহ বিভিন্ন বিবৃতিতে জানা গেছে পৃথিবীর ২৫০ মাইল উপরে একটি প্রোডাকশন স্টুডিও তৈরি হবে। ২০২৪ সালের মধ্যেই তৈরি হতে যাচ্ছে এই ফিল্ম স্টুডিও। কেমন হতে পারে সে ফিল্ম স্টুডিও টি? জানতে আগ্রহী অনেকেই। আমাদের এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা সেই মহাকাশে তৈরি ফিল্ম স্টুডিও সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের জানার আগ্রহ কিছুটা হলেও সম্পন্ন করতে পারব আমরা। Read in English

গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স কি

টম ক্রুজ সম্প্রতি একটি নতুন সিনেমা তৈরি করতে যাচ্ছে। এ সিনেমাটি হবে সম্পূর্ণ স্পেস ভিত্তিক। এবং এই সিনেমার প্রয়োজনের খাতিরে মহাকাশ একটি ফিল্ম স্টুডিও তৈরি করার কথা চিন্তা করছে এই সিনেমার সহ-প্রযোজক সহ স্পেস এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ। তারা জানিয়েছে ২০২৪ সালের মধ্যেই তারা এই ফিল্ম স্টুডিও তৈরি করবে। সে সংক্রান্ত সকল তথ্য সমূহ আজকের এই আলোচনার মূল বিষয়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কেমন হতে পারে সে ফিল্মস্টুডিও টি।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় ( Online Earning Way)

২০২৪ সালের মধ্যেই মহাকাশে তৈরি হবে ফিল্ম স্টুডিও

হলিউড অভিনেতাদের মধ্যে টম ক্রুজের দাপট অনেকটাই বেশি। বিশ্বের সকল কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার অসংখ্য অনুরাগী গন। তবে এই অভিনেতার অনুরাগী এত হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যার অন্যতম প্রধান কারণ তার অ্যাকশন সিনেমা গুলো। এই অভিনেতা তার সিনেমার সকল একশন সেকেন্ড গুলো কোনরকম বরাবর ব্যবহার না করেই নিজে সম্পন্ন করেন। সেটা হোক শূন্যে বাইক নিয়ে লাফালাফি করা অথবা হেলিকপ্টার এর নিচে ঝুলে পড়া।

বৃষ্টির আগমুহূর্তে আকাশের মেঘ কেন কালো দেখায় ?

সম্প্রতি এই অভিনেতা একটি স্পেস ভিত্তিক সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এই সিনেমার প্রযোজক সংস্থা এবং পরিচালকগণ সিনেমাটি কেয়ার রিয়ালিস্টিক করে তুলতে একটি স্টুডিও করার কথা চিন্তা করছেন। স্পেসে তৈরি স্টুডিওর মাধ্যমে সিনেমার অ্যাকশান সেটিংস গুলো আরো রিয়ালিস্টিক করে তোলা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনলাইন ইনকাম সোর্স কোনগুলো

মহাকাশে তৈরি হবে ফিল্ম স্টুডিও

প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় মানুষ এখন অসম্ভব কে সম্ভব করে তুলছে। প্রতিনিয়ত বিজ্ঞান তাদের পথে আগের চেয়ে আরও অনেক ধাপ এগিয়ে চলছে। একসময় যেখানে মহাকাশে যাওয়াটাই স্বপ্নের মতো ছিল এখন সেই মহাকাশে ফিল্মস্টুডিও তৈরির কথা চিন্তা করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ও বিজ্ঞানের সফলতা আরো এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

Film-Studio-to-Be-Built-in-Space-by-2024-1

টম ক্রুজ এর আসন্ন স্পেস সেট ফিল্মের জন্য পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২৫০ মাইল উপরে একটি প্রোডাকশনের স্টুডিও তৈরি করা হবে। সিনেমার জন্য শূন্য মাধ্যমে একটি প্রোডাকশন স্টুডিও এবং একটি স্টেডিয়াম স্থাপনের পরিকল্পনা হচ্ছে। ২০২৪ সাল থেকেই প্রযোজক সংস্থা এই সিনেমার শুটিং শুরু করার কথা চিন্তা করছেন। তাদের মাধ্যমে জানানো হয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে স্পেস এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ তাদের SEE-1 নামের মডিউলটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন এর বাণিজ্যিক শাখা অক্সি আমি স্টেশনে সংযুক্ত করবে। ২০২৪ সালের মধ্যেই মহাকাশে তৈরি হবে ফিল্ম স্টুডিও

গ্রহ ও নক্ষত্র এর মধ্যে পার্থক্য

কেমন হবে মহাকাশে তৈরি ফিল্ম স্টুডিও

পরিকল্পনা অনুযায়ী মহাকাশে তৈরি এই ফ্যান স্টুডিওর মাধ্যমে সিনেমা টেলিভিশন সংগীত ইভেন্টগুলি সরাসরি প্রচার করা সম্ভব হবে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো মাধ্যমে সেইখানে দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পর্কিত কোন তথ্য জানানো হয়নি। তবে নির্মাতাগণ পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২৫০ মাইল উপরে যে কোন কিছুর রেকর্ড ও সম্প্রচার করতে পারবে।

স্পেস এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ জানিয়েছে তাদের এই নির্মাণ সম্পন্ন হলে শুধুমাত্র তারাই যে এর সুবিধা ভোগ করবে এমন টি নই। তারা জানিয়েছে তাদের তৈরিকৃত এই স্টুডিও টি তৃতীয় পক্ষ ও ব্যবহার করতে পারবে।Film-Studio-to-Be-Built-in-Space-by-2024-2

মহাকাশে তৈরি ফিল্ম স্টুডিও

যদিও মহাকাশে ফিল্ম স্টুডিও তৈরীর কথা এই প্রথম আলোচনায় আসেনি। এর অনেক আগে থেকেই প্রযোজক এবং পরিচালকগণ তাদের বিভিন্ন সিনেমার শুটিং মহাকাশে করার চিন্তা করেছেন। যদিও সে সময় যৌক্তিক এবং আর্থিক বাধা গুলির কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সম্প্রতি শূন্য মাধ্যমে এবং মহাকাশের ক্লাস্টোফোবিয়া পুনরায় তৈরি করা সম্ভব হয় এই প্রচেষ্টা গুলি নতুনভাবে তৈরি সম্ভব হচ্ছে।

পেওনিয়ার থেকে কিভাবে বিকাশে টাকা আনবেন

এই সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলতে স্পেস এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ স্পেসে তাদের নতুন মডিউলটি প্রেরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই কাজটি সম্ভব হয় তাহলে তা বিনোদন জগতে একটি বিপ্লব নিয়ে আসবে। এবং বিনোদন প্রেমীরা খুব শীঘ্রই এই ধরনের সম্ভাবনাকে সত্য হওয়া দেখতে চাই।

২০২৪ সালের মধ্যেই মহাকাশে তৈরি হবে ফিল্ম স্টুডিও এই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে উল্লেখ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের এই আলোচনায় প্রকাশিত সকল তথ্য সমূহ ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আলোচনার কোন অংশে বুঝতে সমস্যা হলে অথবা আলোচনা সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের সকল প্রকার সাহায্য করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।